রাঙ্গামাটি:- সাংবাদিক মোস্তফা কামাল সমাজের সর্বক্ষেত্রে তাঁর কীর্তির স্বাক্ষর রেখে গেছেন। সমাজের এমন কোনও ক্ষেত্র নেই, যেখানে তাঁর সরব পদচারণা ছিল না। শিক্ষা, সাংবাদিকতা, সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া সর্বক্ষেত্রে তিনি তাঁর দ্যুতি ছড়িয়েছেন। তাঁর কাছে কেউ গেলে উপকার পায়নি এমন মানুষের সংখ্যা খুবই নগণ্য। জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত তিনি সততার নীতি থেকে পদচ্যুত হয়নি। এমন মানবিক এক যুবকের অকালে চলে যাওয়া শুধু তাঁর পরিবারের ক্ষতি নয়; এই ক্ষতি এলাকার, সমাজের সর্বোপরি রাষ্ট্রের। রাঙ্গামাটির বিশিষ্ট সাংবাদিক, ক্রীড়া সংগঠক ও শিক্ষক মোস্তফা কামালের ৬ষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে স্মরণ সভা ও শিক্ষা উপকরণ বিতরণ উপলক্ষে আয়োজিত স্মরণ সভায় এসব কথা বলেন বক্তারা। শনিবার সকালে শহরের রিজার্ভ বাজারস্থ রাঙ্গামাটি শিশু নিকেতন প্রাঙ্গণে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় স্মৃতিচারণ করে বক্তারা আরো বলেন, সাংবাদিক মোস্তফা কামাল ছিলেন একজন ক্ষণজন্মা ব্যক্তিত্ব। শুধু সাংবাদিকতার ক্ষেত্রেই নয়, ক্রীড়া, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনেও ছিল তাঁর দক্ষ পদচারণা। তিনি তাঁর মেধা ও শ্রমের মাধ্যমে নিজেকে এবং রাঙ্গামাটিকে তুলে ধরেছেন এক অনন্য উচ্চতায়। মোস্তফা কামাল নিজেকে সাংবাদিক ছাড়াও একজন শিক্ষক হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করতেন। তাঁর অনেক ছাত্র-ছাত্রী আজ সফলতার সর্বোচ্চ শিখরে আরোহন করেছেন। তাঁদের সফলতার গল্পে মোস্তফা কামাল একটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র দখল করে আছেন।
সাংবাদিক মোস্তফা কামাল স্মরণ সভা পরিষদের সদস্য আহমেদ ফজলুর রশীদের সভাপতিত্বে ও স্মরণ সভা পরিষদের সদস্য শংকর হোড়ের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন রাঙ্গামাটি প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি সুনীল কান্তি দে, প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার আল হক, রাঙ্গামাটি শিশু নিকেতনের অধ্যক্ষ এসএম মঈনুদ্দীন, রাঙ্গামাটি প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি এসএম শামশুল আলম ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলী, অর্থ সম্পাদক পুলক চক্রবর্তী, সাংবাদিক মোস্তফা কামাল স্মরণ সভা পরিষদের সদস্য রমজান আলী, রাঙ্গামাটি সদর উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সাবেক সাধারণ সম্পাদক দীপ্ত হান্নান, রিজার্ভ মুখ স্পোর্টিং ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক দেবব্রত দাশ দেবু, সাবেক শিক্ষার্থী রোকসানা আক্তার রুমা। সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন রাঙ্গামাটি আবাসিক হোটেল মালিক সমিতির সভাপতি ও স্মরণ সভা পরিষদের সদস্য মো. মোস্তফা কামাল উদ্দীন।
সভা শেষে তাঁর বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। মোনাজার পরিচালনা করেন শান্তিনগর জামে মসজিদের খতিব মাওলানা শফিউল আলম আলকাদেরি। মোনাজাত শেষে শিক্ষার্থীদের হাতে শিক্ষা উপকরণ তুলে দেন অতিথিরা।