ডেস্ক রির্পোট:- দেশে বিরাজমান নানা সংকট নিরসনে জাতীয় ঐক্যের লক্ষ্যে ছাত্রনেতা, রাজনৈতিক দল ও ধর্মীয় সংগঠনগুলোর সঙ্গে বৈঠক করছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। গত মঙ্গলবার জাতীয় ঐক্যের উদ্যোগের কথা জানায় প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং। ওই দিন সন্ধ্যায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে বৈঠক হয়। গতকাল বুধবার হয়েছে রাজনৈতিক দলের সঙ্গে।
আজ বৃহস্পতিবার প্রধান উপদেষ্টা বসবেন ধর্মীয় নেতাদের সঙ্গে।
গত সপ্তাহেও প্রধান উপদেষ্টা বিএনপি ও জামায়াতের সঙ্গে আলোচনা করেন এবং বিভিন্ন সংকট নিরসনে জাতীয় ঐক্যের আহ্বান জানান। এই পরিস্থিতিতে গুঞ্জন, নির্বাচনের আগেই জাতীয় সরকার গঠন হতে পারে। এ ক্ষেত্রেও অন্তর্বর্তী সরকার বহাল এবং ড. মুহাম্মদ ইউনূসই সরকারের প্রধান উপদেষ্টা থাকবেন।
উপদেষ্টা পরিষদে পরিবর্তন এনে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের উপদেষ্টার দায়িত্ব দেওয়া এবং উপদেষ্টার সংখ্যা বাড়ানো হতে পারে।
গতকালের বৈঠক সম্পর্কে সরকারের আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল সাংবাদিকদের জানান, রাজনৈতিক দলগুলোর পক্ষ থেকে সবাই মিলে একটি সমাবেশ করা, সবাই মিলে একটি ‘পলিটিক্যাল’ কাউন্সিল করা, নিরাপত্তা কাউন্সিল করাসহ বিভিন্ন প্রস্তাব এসেছে।
বৈঠক শেষে জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, ‘অপপ্রচার মোকাবেলায় আমরা সরকারের সঙ্গে কাজ করব।…আমরা কারো পাতা ফাঁদে পা দেব না।
কারো কাছে মাথা নত করব না, আবার সীমা লঙ্ঘনও করব না। দু-এক দিনের মধ্যে সুখবর পাবেন আশা করি।’
গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা মনে করি, সামনে আরো নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ আসবে। এগুলো মোকাবেলায় আমাদের প্রস্তাব ছিল, রাজনৈতিক দলগুলোর অংশীজনদের নিয়ে আগামী দুই বছরের জন্য জাতীয় সরকার গঠন এবং দেশের স্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করার জন্য আগামী ছয় মাসের জন্য সব ধরনের সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করা। একই সঙ্গে ঐক্যবদ্ধতার প্রতিফলন হিসেবে জাতীয় পতাকা অথবা শান্তির পতাকা নিয়ে কর্মসূচি পালন করা।
’
গতকাল বিকেলে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক জোট আয়োজিত আলোচনাসভায় জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা অচিরেই জাতীয় নির্বাচনের রূপরেখা চাচ্ছি। জাতীয় সরকারের মাধ্যমেই খুনি হাসিনার কাছে স্পষ্ট বার্তা যাবে। রূপরেখা দেওয়ার মাধ্যমেই বর্তমান পরিস্থিতি ৮০ শতাংশ নিরসন হবে।’
এদিকে দ্রুত নির্বাচনের এবং নির্বাচন-পরবর্তী জাতীয় সরকার গঠনে বিএনপি তাদের আগ্রহের কথা জানিয়ে আসছে। জামায়াতে ইসলামীও দ্রুত নির্বাচনের পক্ষে। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু কালের কণ্ঠকে এ বিষয়ে বলেন, জাতীয় সরকারের চেয়ে এখন জাতীয় নির্বাচন বেশি গুরুত্বপূর্ণ। নির্বাচনের পর বিএনপি জাতীয় ঐক্যের সরকার গঠনের পক্ষে।
কিন্তু নবগঠিত নির্বাচন কমিশন বাড়ি বাড়ি গিয়ে পূর্ণাঙ্গভাবে ভোটার তালিকা করার যে সময়ের কথা জানিয়েছে, তাতে ওই ভোটার তালিকা নিয়ে নির্বাচন হতে পারে ২০২৬ সালে। এ অবস্থায় দেশের সার্বিক পরিস্থিতির উন্নয়নে রাজনৈতিক দলগুলোর চাহিদায়ও পরিবর্তন আসতে পারে বলে একটি পক্ষ মনে করছে।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে শেখ হাসিনা গত ৫ আগস্ট ভারতে পলায়নের পর দেশের দায়িত্ব নেয় অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার। তখন থেকেই ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কের টানাপড়েন চলছে। বাংলাদেশের সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর নির্যাতনের অভিযোগ নিয়ে বেশ সরব ভূমিকায় রয়েছে ভারতের গণমাধ্যম, যা অতিরঞ্জিত এবং সংঘবদ্ধ অপপ্রচার বলে প্রমাণ হচ্ছে। সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাশ ব্রহ্মচারী রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়ার পর ভারতের আগরতলার বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় দুর্বৃত্তরা বাংলাদেশের জাতীয় পতাকায় আগুন ধরিয়ে দেয়; যদিও গত সোমবারের এই হামলার ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
সার্বিক এই পরিস্থিতিতে অন্তর্বর্তী সরকার জাতীয় ঐক্যের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করছে।
পরিস্থিতি সামাল দিতে ঐক্যের প্রচেষ্টা
গত ২৭ নভেম্বর অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বিএনপির বৈঠকে চলমান বিভিন্ন সংকট নিরসনে জাতীয় ঐক্য সৃষ্টি করতে ঐকমত্য হয়। বৈঠকের পর মির্জা ফখরুল সাংবাদিকদের বলেন, ‘সাম্প্রতিককালের উদ্ভূত পরিস্থিতি, বিশেষ করে কয়েক দিন ধরে যে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি, ইসকন পরিস্থিতি, ছাত্রদের কয়েকটি কলেজের সমস্যা—এই বিষয়গুলো নিয়ে দলের পক্ষ থেকে যে উদ্বেগ, সেটা প্রধান উপদেষ্টাকে জানিয়েছি। আমরা আশা করেছি, প্রধান উপদেষ্টা তার উপদেষ্টা পরিষদ নিয়ে অতিদ্রুত সব সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধানের ব্যবস্থা করবেন। দেশে যেন কোনো রকম অস্থিতিশীল অবস্থা সৃষ্টি না হয়। তা না হলে বর্তমান অবস্থার মধ্য দিয়ে বিভাজন সৃষ্টি হবে। আমরা বলে এসেছি, এই মুহূর্তে সবচেয়ে বড় প্রয়োজন হচ্ছে জাতীয় ঐক্য। আমাদের সামনে অনেক বড় চ্যালেঞ্জ রয়েছে, সেই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করার জন্য, বিশেষ করে যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতি হুমকি হয়ে দাঁড়ায় অথবা দেশের স্থিতিশীলতা যারা বিনষ্ট করতে চায়, তাদের প্রতিহত করার জন্য, প্রতিরোধ করার জন্য আমাদের অবশ্যই একটি জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলতে হবে। সামগ্রিকভাবে সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা করে জাতীয় ঐক্য সৃষ্টি করার জন্য আমরা আহ্বান জানিয়েছি।’
ওই দিন গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানও চলমান পরিস্থিতিতে দেশের পক্ষের শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘সরকারকে আরেকটু সময় দিন। আরেকটু ধৈর্যের পরিচয় দিন। শান্ত থাকুন। পরিস্থিতির ওপর সতর্ক ও সজাগ দৃষ্টি রাখুন। দল-মত-ধর্ম-বর্ণ-নির্বিশেষে আমাদের প্রত্যেককে মনে রাখতে হবে, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার যাত্রাপথে ষড়যন্ত্রকারীদের বাধা বিচক্ষণতার সঙ্গে অতিক্রম করতে ব্যর্থ হলে স্বাধীনতাপ্রিয় জনগণকে চরম মূল্য দিতে হবে।’
তিনি অন্তর্বর্তী সরকারকে শক্ত হাতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করার আহ্বান জানিয়ে আরো বলেন, ‘সরকার পরিচালনায় দক্ষতার পরিচয় দিতে না পারলে জনগণ অসহিষ্ণু হয়ে উঠতে পারে। পলাতক স্বৈরাচারের দোসররা জনগণের অসহিষ্ণু হয়ে ওঠার অপেক্ষায় রয়েছে।’
তারেক রহমান আরো বলেন, ‘আমি বারবার বলেছি, জনগণের নিত্যদিনের দুর্দশা লাঘবে করণীয় নির্ধারণই হোক সরকারের প্রথম এবং প্রধান অগ্রাধিকার। সরকারের মনে রাখা দরকার, বর্তমান বাজার পরিস্থিতির কারণে দেশের কোটি কোটি পরিবারকে প্রতিদিন সাধ ও সাধ্যের সঙ্গে আপস করতে হচ্ছে। পারিবারিক খরচ মেটাতে এমন দুুর্বিষহ পরিস্থিতিতে অনেকের কাছেই সংস্কারের চেয়ে সংসার অগ্রাধিকার হয়ে ওঠা অস্বাভাবিক নয়।’
তারেক রহমান গত ৪ সেপ্টেম্বর নিজ দলের ঢাকা বিভাগের মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে জানান, জনগণের সমর্থন নিয়ে বিএনপি ভবিষ্যতে ‘জাতীয় সরকারের’ মাধ্যমে দেশ পরিচালনা করতে চায়। তিনি বলেন, ‘স্বাধীনতার পর একটি জাতীয় সরকারের পরিবর্তে আওয়ামী লীগের দলীয় সরকার ক্ষমতায় আসায় দেশ প্রথম দিন থেকেই বিভক্ত হয়ে পড়ে। ফলে একটি বিরাট অংশ ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও দেশ গঠনে কোনো অবদান রাখতে পারেনি। স্বাধীনতার পরপর জাতীয় ঐক্যের শক্তিকে ব্যবহার না করে সেদিন যে সুযোগ হাতছাড়া হয়েছে, আগামী দিনে আমরা তার পুনরাবৃত্তি চাই না।’ অবশ্য তিনি এটাও বলেন, ‘জনগণ নিশ্চয়ই সেসব দল বা ব্যক্তিকে জাতীয় সরকারে শামিল দেখতে চাইবে না, যারা পুরো দেশকে একটি দল আর পরিবারের ব্যক্তিগত সম্পত্তিতে পরিণত করেছিল; যারা তথাকথিত উন্নয়নের নামে আমাদের প্রত্যেকের কাঁধে দেড় লাখ টাকার ঋণের বোঝা চাপিয়ে হাজার হাজার, লাখ লাখ কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে; গুম-খুন, হামলা-মামলা, নির্যাতনে দেশের মানুষের জীবনে নাভিশ্বাস তুলেছে; নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র মানুষের ধরাছোঁয়ার বাইরে নিয়ে গেছে; আইন, বিচার, নির্বাহী বিভাগসহ রাষ্ট্রের সব স্তম্ভ ভেঙে গুঁড়িয়ে দিয়েছে। এমনকি পালিয়ে যাওয়ার পূর্বমুহূর্তেও শত শত নিরীহ মানুষের রক্তে রঞ্জিত করেছে রাজধানীসহ সারা দেশ। জনগণ নিশ্চয়ই সেই জালিমদের জাতীয় সরকারে অন্তর্ভুক্ত দেখতে চাইবে না।’ তবে তারেক রহমান যে জাতীয় সরকারের কথা বলেছেন তা নির্বাচন-পরবর্তী সরকারের ক্ষেত্রে।
গত ২৮ নভেম্বর জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক হয়, বৈঠক শেষে দলটির আমির ডা. শফিকুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, জাতি-ধর্ম-নির্বিশেষে সবাই মিলে কিভাবে সামনের দিকে এগোনো যায়, কিভাবে শান্তি-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি করা যায় এবং দ্রব্যমূল্য মানুষের ক্রয়ক্ষমতার আওতায় রাখাসহ নানা বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে তার আলোচনা হয়েছে।
টিআইবির গবেষণায় অন্তর্বর্তী সরকারের ঘাটতি
গত ১৮ নভেম্বর এক সংবাদ সম্মেলনে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) কর্তৃত্ববাদী সরকার পতনের ১০০ দিনের ওপর যে পর্যবেক্ষণ তুলে ধরে, তাতে কিছু ক্ষেত্রে অন্তর্বর্তী সরকারের অসংখ্য সময়োচিত এবং অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ইতিবাচক পদক্ষেপের কিছু ঘটতির কথা উল্লেখ করা হয়। টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, দ্রবমূল্য নিয়ন্ত্রণে প্রত্যাশিত অর্জন সম্ভব হয়নি, একইভাবে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অগ্রগতিতেও ঘাটতি দৃশ্যমান। বিদ্যমান সিন্ডিকেটের শিকড় অনেক গভীরে এবং অনেক ক্ষেত্রে ব্যক্তির পরিবর্তন হলেও চর্চার পরিবর্তন সময়সাপেক্ষ।
ঘাটতি সম্পর্কে তিনি আরো বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের ওপর অর্পিত রাষ্ট্র সংস্কার ও নতুন রাজনৈতিক সমঝোতার অভীষ্ট অর্জনের অবকাঠামো তৈরির বিশাল দায়িত্ব পালনে যথাসময়ে প্রয়োজনীয় কৌশল ও রোডম্যাপ প্রণয়ন না করা, শিক্ষা খাত ও ব্যক্তিমালিকানাধীন খাতকে সংস্কার উদ্যোগে অন্তর্ভুক্ত না করা, প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত গ্রহণে অ্যাডহক প্রবণতা লক্ষণীয়।
সংবাদ সম্মেলনে টিআইবির গবেষণা থেকে আরো বলা হয়, কর্তৃত্ববাদ পতনের বাস্তবতা মেনে নিয়ে নিজেদের ভুল স্বীকারে ভারতের ব্যর্থতা এবং এর কারণে অপতৎপরতার ফলে ভারতের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্কে টানাপড়েনে সরকার ও দেশের জন্য ঝুঁকি বেড়েছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি মনোভাব ইতিবাচক হলেও প্রস্তাবিত অর্থনৈতিক সহায়তা, বিশেষ করে বিশ্বব্যাংক, এডিবি ও আইএমএফের মতো সংস্থার ঋণ সহায়তাসংশ্লিষ্ট শর্তাবলি এবং বিশেষ করে এরই মধ্যে সুদসহ ঋণ পরিশোধের অতিরিক্ত দায় সৃষ্টি করবে বলে আশঙ্কা রয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকারের ওপর অর্পিত দায়িত্ব বাস্তবায়নে যথাসময়ে প্রয়োজনীয় কৌশল ও রোডম্যাপ প্রণয়নের সুযোগ নেওয়া হয়নি, যা এখনো অনুপস্থিত। আবার আন্দোলনে সংঘটিত সহিংসতার বিচারের উদ্যোগ নেওয়া হলেও রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে সুনির্দিষ্ট ও তথ্য-প্রমাণভিত্তিক মামলা করার উদ্যোগের ঘাটতি রয়েছে। এ ছাড়া ঢালাওভাবে শত শত মামলায় শত শত ব্যক্তিকে আসামি করার ফলে মূল অপরাধীর উপযুক্ত বিচারের সম্ভাবনা নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে।কালের কন্ঠ