খাগড়াছড়ি:- খাগড়াছড়ির সাবেক সংসদ সদস্য ও পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান এবং জেলা বিএনপির সভাপতি ওয়াদুদ ভূইয়া বলেছেন, গণমাধ্যমকর্মীরাই দেশ ও জাতির অন্যতম স্তম্ভ। দেশ ও জাতির কল্যান ও দেশের মঙ্গলের স্বার্থে স্বাধীন ও স্বচ্ছ গণমাধ্যমকর্মীদের সত্যতা, নিষ্ঠতা ও দায়বদ্ধতার বিকল্প নেই। গণমাধ্যমকর্মীরা বস্তুনিষ্ঠতা ও সত্যনিষ্ঠতার মাধ্যমে সমাজ ও দেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে পরিবর্তন ও বিবর্তনে ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে পারেন। পাশাপাশি দেশের স্বীকৃত গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠান ও গণমাধ্যমকর্মীদের লেখনির ক্ষেত্রে স্বাধীনতার বিকল্প নেই।
২২ নভেম্বর (শুক্রবার) ঐতিহ্যবাহী খাগড়াছড়ি প্রেসক্লাব’র অন্তর্বর্তীকালীন কমিটির সাধারণ সভা ও পার্বত্য অঞ্চলের গুণী সাংবাদিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বক্তব্যে প্রধান অতিথি বিগত সময়ের জেলার কিছু সাংবাদিক ও সাংবাদিকতার সমালোচনা করে বলেন, বিগত সময়ে জেলায় অনেক দুর্নীতি-অনিয়ম হয়েছে যা সাংবাদিক নেতারা দলীয় করণের মাধ্যমে পরিচালনা করেছে। তাঁরা দুর্নীতি-অনিয়ম তুলে ধরেননি। পেশাদারিত্বের বাইরে গিয়ে তাঁরা অবস্থান নিয়েছেন নানা অপকর্মে। অনেক প্রবীণ ও নবীণ সাংবাদিকদের করা হয়নি প্রেসক্লাবের সদস্য। তরুণদের মধ্যে যারা লিখতে চেষ্টা করেছে তাঁদের দমিয়ে রাখা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, গণমাধ্যমকর্মীদের কোনো দল বা মতের পক্ষে কাজ করতে হবে না। তাঁরা স্বাধীন ও স্বচ্ছ থাকবে। দল-মত নির্বিশেষে তাঁদের লেখনিতে প্রকাশ হবে সকল দুর্নীতি-অনিয়ম সহ সাধারণ মানুষের ইতিকথা। বিএনপি পূর্বেও খাগড়াছড়ি গণমাধ্যমকর্মীদের পাশে ছিলো ভবিষ্যতেও থাকবে।
সভায় পাহাড়ের সাংবাদিকতায় বিশেষ অবদানের জন্য রাঙামাটি পার্বত্য জেলার গুণী সাংবাদিক একে এম মকছুদ আহমেদ, খাগড়াছড়ির গুণী সাংবাদিক তরুণ কুমার ভট্টাচার্য ও বান্দরবানের গুণী সাংবাদিক বাদশা মিয়াকে গুণী সংবর্ধনা প্রদান করা হয়।
সভায় খাগড়াছড়ি প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি মো. জহুরুল আলমের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত থেকে বক্তব্য দেন, রাঙামাটি প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার আল হক, জামায়াতে ইসলামী খাগড়াছড়ি জেলা শাখার আমীর সৈয়দ আব্দুল মোমেন, খাগড়াছড়ি প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. জসীম উদ্দিন মজুমদার, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধি মো. জাহিদ হাসান সহ জেলার সিনিয়র সাংবাদিকবৃন্দ।
এছাড়াও সভার দ্বিতীয় অধিবেশনে খাগড়াছড়ি প্রেসক্লাবের অন্তর্বর্তীকালীন কমিটির সাধারণ সভা ও উপস্থিত জেলা-উপজেলার কর্মরত গণমাধ্যমকর্মীদের সমন্বয়ে প্রেসক্লাবের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়।