রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদ বিতর্কিত,ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসর ও হত্যা মামলার আসামীকে দিয়ে পুনর্গঠিত হওয়ায় তা প্রত্যাখান করে পুর্ণগঠনের দাবীতে সংবাদ সম্মেলন

রিপোর্টার
  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ১২ নভেম্বর, ২০২৪
  • ১২২ দেখা হয়েছে

রাঙ্গামাটি:- বিতর্কিত ও ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসরদের দিয়ে রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের পুনর্গঠিত অর্ন্তবর্তীকালীন পরিষদকে প্রত্যাখান করে জনগনের প্রকৃত প্রতিনিধিদের অন্তভূক্তকরার দাবী জনিয়েছেন রাঙ্গামাটির সচেতন জনসাধারণ। তাছাড়া পুনর্গঠিত অর্ন্তবর্তীকালীন রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদে হত্যা মামলার চাজর্শীটভুক্ত পলাতক আসামীকে অন্তরভুক্ত করায় এলাকার লোকজনের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছ। রাঙ্গামাটির প্রতিটি উপজেলা থেকে প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করে রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের পুনর্গঠনের দাবী জানানো হয় ।
মঙ্গলবার সকালে স্থানীয় একটি রেন্তোরায় সংবাদ সন্মেলনে এই দাবী জানানো হয়।
সংবাদ সন্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন অ্যাডভোকেট রাজীব চাকমা। সংবাদ সন্মেলনে অন্যান্যর মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অ্যাডভোকেট দীননাথ তঞ্চঙ্গ্যা, সত্য বিকাশ তঞ্চঙ্গ্যা,উথান মারমা, কাউখালী উপজেলা বাসীর পক্ষে, মোঃ জসিম উদ্দিন, ল‌লিত চন্দ্র চাকমা,মোঃ তারা মিয়া, বরকল উপজেলা বাসীর পক্ষে এমদাদ হোসেন ও পুলিন বিহারী চাকমা ও তংচংগ‌্যা সম্প্রদা‌য়ের প্রতি‌নি‌ধি রন‌জিত তংচংগা প্রমুখ।
নবগঠিত অন্তর্বর্তীকালীন রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদে কাউখালী,বরকল,জুরাছড়ি ও রাজস্থলী উপজেলার কোন প্রতিনিধি না রাখার প্রতিবাদে ৪টি উপজেলার নাগরিক সমাজের রাঙ্গামাটিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে পুনর্গঠিত অর্ন্তবর্তীকালীন পরিষদকে প্রত্যাখান করার কথা জানানো হয় এবং বঞ্চিত জনসাধারনের পক্ষে রাঙ্গামাটির প্রতিটি উপজেলা থেকে প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করে রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের পুনর্গঠনের দাবী জানানো হয় ।
সংবাদ সন্মেলনে বলা হয়, দুঃখ জনক হলেও সত্যি এই প্রথম বারের মতো জেলার অতীব গুরুত্বপূর্ন চারটি উপজেলা কাউখালী, বরকল, জুরাছড়ি ও রাজস্থলী থেকে কোন প্রতিনিধি না রেখে উপজেলাবাসীকে বঞ্চিত করে বৈষম্যমুলক রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ পূর্ণগঠন করা হয়েছে। এতে রাঙ্গামাটি জেলাব্যাপী জনগণের মধ্যে ব্যাপক হতাশা ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদে যাদেরকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে বেশির ভাগ সদস্য জন বিচ্ছিন্ন এবং পতিত সরকারের দলীয়-সবিধাভোগী । এমন ও আছে একই পরিবারের একাধিক সদস্য (ভাবী ও দেবর) এবং হত্যা মামলার চাজর্শীটভুক্ত পলাতক আসামীও রয়েছে। যার দরুন বর্তমান অন্তবর্তীকালীন সরকারের সুনাম দারুনভাবে ক্ষুন্ন হচ্ছে।
সংবাদ সন্মেলনে বলা হয় নতুন বাংলাদেশ পাওয়ার পরও ফ্যাসিষ্ট সরকারের কিছু প্রেতাত্মা পার্বত্য জেলা রাঙ্গামাটিতে এখনো বিদ্যমান রয়েছে। ছাত্র জনতার আন্দোলন ও শহীদদের রক্তের সাথে বেঈমানী করে ফ্যাসিষ্ট সরকারের দোসরদের নিয়ে গঠন করা হয়েছে অন্তর্বতীকালীন রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ। যেখানে নানিয়ার চরের একটি হত্যা মামলার পলাতক আসামীকে ও সদস্য কার হয়েছে।
সংবাদ সন্মেলনে বলা হয়,১৯৮৯ সালে তৎকালীন রাঙ্গামাটি জেলা স্থানীয় সরকার পরিষদ আইন পাশের পর স্থানীয় সরকার পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত নির্বাচনে দশটি উপজেলা থেকে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হন। ১৯৯৭ সালে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি সাক্ষরিত হবার পরবর্তীতে আইন সংশোধনের মাধ্যমে রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা স্থানীয় সরকার পরিষদের নাম রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ নামকরন হয় এবং তৎকালীন সরকার ৫ সদস্য বিশিষ্ট অন্তর্বতীকালীন পরিষদ গঠন করেন। যোগাযোগ ব্যবস্থা ও অবকাঠামো উন্নয়নের পাশাপাশি স্বাস্থ্য, শিক্ষা, সংস্কৃতি, ভাষা, পরিবেশ, পর্যটন, যুব উন্নয়ন, নারী উন্নয়ন ও ভুমি ব্যবস্থাপনা ইত্যাদি রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের কার্যাবলীর পরিধি বিবেচনা করে তৎকালীন সরকার অর্ন্তবর্তীকালীন পরিষদ ১৫ সদস্য বিশিষ্ট করতে বাধ্য হন। এরপর প্রত্যেক উপজেলা থেকে কমপক্ষে একজন করে সদস্য নিয়ে অর্ন্তবর্তীকালীন পরিষদ গঠন করে কার্যক্রম চালিয়ে আসছে। নবগঠিত অন্তর্বর্তীকালীন পরিষদ গঠিত হবার পুর্ব পর্যন্ত ধারাবাহিকভাবে এই চর্চা বিদ্যমান ছিল। যার ফলশ্রæতিতে এলাকায় সমতার ভিত্তিতে উন্নয়ন সাধন এবং এর সুফল এলাকাবাসী ভোগ করে আসছে।
আমাদের প্রত্যাশা ছিলো, গত ৫ আগষ্ট ২০২৪ খ্রিষ্ট্রাব্দ ছাত্র জনতার আন্দোলনের পর নতুন বাংলাদেশে যে ইতিবাচক পরিবর্তন এসেছে, সারা দেশের মতো রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলায়ও বৈষম্য মুক্ত পরিবেশ ফিরিয়ে আনা হবে। জেলার দশ উপজেলা থেকে দল নিরপেক্ষ ও এলাকার উন্নয়নে নিবেদিত এমন গ্রহনযোগ্য ব্যক্তিদের নিয়ে রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ পূর্ণগঠন করা হবে।
কিন্তু অত্যন্ত দুঃখ জনক হলেও সত্যি এই প্রথম বারের মতো জেলার অতীব গুরুত্বপূর্ন চারটি উপজেলা কাউখালী, বরকল, জুরাছড়ি ও রাজস্থলী থেকে কোন প্রতিনিধি না রেখে উপজেলাবাসীকে বঞ্চিত করে বৈষম্যমুলক রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ পূর্ণগঠন করা হয়েছে। যাহা রাঙ্গামাটি জেলাব্যাপী জনগণের মধ্যে ব্যাপক হতাশা ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদে যাদেরকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে বেশির ভাগ সদস্য জন বিচ্ছিন্ন এবং পতিত সরকারের দলীয়/সবিধাভোগী । এমন ও আছে একই পরিবারের একাধিক সদস্য (ভাবী ও দেবর) এবং হত্যা মামলার চাজর্শীটভুক্ত পলাতক আসামী রয়েছে। যার দরুন বর্তমান অন্তবর্তীকালীন সরকারের সুনাম দারুনভাবে ক্ষুন্ন হচ্ছে।

পুর্নগঠিত অন্তর্বতীকালীন রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের মনোনীত সদস্যদের নিয়োগ বাতিলপুর্বক কাউখালী, বরকল, জুড়াছড়ি ও রাজস্থলী উপজেলার প্রতিনিধিত্বমুলক সদস্য নিয়োগ দিয়ে অন্তর্বতীকালীন রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ পুর্নগঠন করে নতুনভাবে প্রজ্ঞাপন জারীর জন্য অর্ন্তভর্তিকালীন সরকারের প্রতি জোর দাবী জানাচ্ছি।

বিগত ফ্যাসিষ্ট সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে গিয়ে কয়েক হাজার ছাত্র জনতা শহীদ হয়েছেন। তাদেরই রক্ত এবং জীবনের বিনিময়ে আন্দোলনের ফলে ৫ আগষ্ট ফ্যাসিষ্ট সরকারের পতনের পর আমরা একটি নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি। গঠন করা হয় অর্ন্তভর্তিকালীন সরকার। যেখানে ঘোষনা দেওয়া হয় ফ্যাসিবাদের দোসররা কেউ সরকারী সুযোগ সুবিধা ভোগ করতে পারবেনা। যারই ধারাবাহিকতায় ফ্যাসিবাদ সমর্থিত লোকজনকে বিভিন্ন জনগুরুত্বপূর্ন জায়গা থেকে ইতিমধ্যে অপসারন করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হচ্ছে। অত্যন্ত দুঃখের সাথে বলতে হয় আমরা নতুন বাংলাদেশ পাওয়ার পরও ফ্যাসিষ্ট সরকারের কিছু পেতাত্তা পার্বত্য জেলা রাঙ্গামাটিতে এখনো বিদ্যমান রয়েছে। ছাত্র জনতার আন্দোলন ও শহীদদের রক্তের সাথে বেঈমানী করে ফ্যাসিষ্ট সরকারের দোসরদের নিয়ে গঠন করা হয়েছে অন্তর্বতীকালীন রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ।
সংবাদ সন্মেলনে দাবী করা হয়,যাদেরকে নিয়োগ করা হয়েছে তাদের এবং তাদের রাজনৈতিক সর্ম্পকে আপনাদেরকে অবহিত করছি। গঠিত অন্তর্বতীকালীন রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদে পার্বত্য উপদেষ্টার ঘনিষ্ট আত্মীয় রয়েছেন বেশ কয়েকজন। যাদের মধ্যে নিয়োগ পেয়েছেন পার্বত্য উপদেষ্টার একান্ত সহকারী ও উপদেষ্টার সাথে বিগত সময়ে চাকুরী করা ইউএনডিপির ও পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের সহকর্মীর মা।

নতুন অর্ন্তবর্তীকালীন পরিষদে মনোনীত রাঙাবী তঞ্চঙ্গ্যা হলেন ফ্যাসিবাদ আওয়ামী সরকার মনোনীত সাবেক অর্ন্তবর্তীকালীন জেলা পরিষদের সদস্য ও দুর্নীতিবাজ রাঙ্গামাটি জেলা আওয়ামীলীগের সাংষ্কুতিক সম্পাদক রেমলিয়ানা পাংখোয়ার বড় ভাই লাল ছোয়াক পাংখোয়ার স্ত্রী,রয়েছে তারই ভাতিজা ড্যানিয়েল লাল মুয়ান সাং পাংখোয়া। এছাড়াও রাঙাবী তঞ্চঙ্গ্যা ও প্রতুল চন্দ্র দেওয়ান পার্বত্য উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমার সাবেক কর্মস্থলের (ইউএনডিপি) সহকর্মী।

রাঙাবী তঞ্চঙ্গ্যা পাংখোয়া সম্প্রদায় বিয়ে করায় তিনি তঞ্চঙ্গ্যা সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিত্ব করতে পারেন না। প্রকৃত তঞ্চঙ্গ্যা সম্প্রদায় থেকে নিয়োগ না দিয়ে তাকে নিয়োগ দেওয়ায় তঞ্চঙ্গ্যা সম্প্রদায়ের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

সংবাদ সন্মেলনে আরো বলা হয়,এছাড়াও প্রতুল দেওয়ান পার্বত্য উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা উপদেষ্টা হওয়ার পর ব্যক্তিগত সহকারী হিসেবে ছিলেন। বৈশালী চাকমা ও সুপ্রদীপ চাকমার আত্নীয় এবং প্রতিবেশী। সাগরিকা রোয়াজা এককালে জাতীয় পাটি করতেন পরে আওয়ামীলীগে যোগ দেন তিনিও উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমার সাবেক কর্মস্থলের (পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড) এর সহকর্মী ডজি ত্রিপুড়ার মা।
বরুন বিকাশ দেওয়ান। সাবেক ফুটবল খেলোয়ার। বিগত ফ্যাসিষ্ট সরকারের সাংসদ দীপংকর তালুকদারের একান্ত আস্থাভাজন হিসেবে পরিচিত। ফ্যাসিষ্ট সরকারের সুবিধাভোগী হিসেবে দীর্ঘদিন যাবত রাঙ্গামাটি জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারন সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। দীপংকর তালুকদার তাকে জাতীয় পুরষ্কারের ও ব্যবস্থা করে দেয়ার অভিযোগ রয়েছে। তার বিরুদ্ধে রাঙ্গামাটিতে মুক্তিযোদ্ধা শহীদ আব্দুস শুক্কুর স্টেডিয়ামকে শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামের নাম করনের অভিয়োগ রয়েছে যদিও বা তা কাগজে কলমে থাকলেও বাস্তবে নেই। এখানে বেশ দূর্নীতির অভিযোগ উঠেছিলো।

সংবাদ সন্মেলনে জানানো হয়, নারী সদস্য নাইউ প্রু মারমা রাঙ্গামাটি জেলা আওয়ামীলীগের নেতা বাচ্চু মারমার স্ত্রী। নারী সদস্য লুৎফুন্নেসা বেগম হলো বিগত ফ্যাসিষ্ট সরকারের সাবেক বন ও পরিবেশ এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড.হাসান মাহমুদের পারিবারিক এনজিও সুখী বাংলা ফাউন্ডেশনের পাটনার সংস্থা পর্বত মানব উন্নয়ন সংস্থা-পাড়ার নির্বাহী পরিচালক আব্বাস উদ্দিন চৌধুরীর স্ত্রী। বিগত সময়ে তার কথিত এনজিও পাড়ার মাধ্যমে জলবায়ু ফান্ডের কোটি কোটি টাকা আত্নসাৎ করার অভিযোগ রযেছে। এ বিষয়ে বিভিন্ন পত্রিকা ও ইলেকট্রনিকস মিডিয়ায় ব্যাপকভাবে সংবাদ প্রচার হয়েছে। আব্বাস উদ্দিন চৌধুরী রাঙ্গামাটি জেলা যুবলীগের সভাপতি ও রাঙ্গামাটি পৌরসভার সাবেক মেয়র আকবর হোসেন চৌধুরীর বোনের দেবর। তাদের পুরো পরিবার আওয়ামীলীগের সুবিধাভোগী হিসেবে পরিচিত। সেই সুবাদে আব্বাস উদ্দিন চৌধুরী একবার দুদুক রাঙ্গামাটি জেলা কমিটির সাধারন সম্পাদক ও হয়েছিল। নিজে সুযোগ না পেয়ে স্ত্রীকে পদ পাইয়ে দেয়।

সদস্য দয়াল দাশ নানিয়ারচর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সহসভাপতি ছিলেন। নানিয়ারচর উপজেলা থেকে অপর সদস্য প্রনতি রঞ্জন খীসা তিনি বুড়িঘাট ইউনিয়নের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ছিলেন। তবে বর্তমানে এলাকায় নিয়মিত থাকেন না বলে জানা গেছে। তিনি হত্যা মামলার চার্জশীট ভুক্ত পলাতক আসামী। তার বিরুদ্ধে ফৌজদারী মামলা জিআর নং ৩১৯/২০১৮ রাঙ্গামাটির আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।

সদস্য মিনহাজ মুরশিদ লংগদু উপজেলার বাসিন্দা হলেও ঢাকায় একটি বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে চাকুরী করেন। ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ে লেখাপড়া কালীন সময়ে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাধারন সম্পাদক ইনানের রুমমেট ছিলো এবং ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে সরাসরি জড়িত ছিলো।

হাবিবে আজম পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদের সাধারন সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছে। বাঙ্গালী ছাত্র সংগঠনের রাজনীতি করলেও তিনি ফ্যাসিষ্ট সরকারের সাবেক সাংসদ সদস্য দীপংকর তালুকদারের পৃষ্টপোষকতায় তার সহযোগী হিসেবে কাজ করেছে বলে বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে। তিনি রাঙ্গামাটি জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ও জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য মুসা মাতব্বরের ভাতিজি জামাই।

সংবাদ সন্মেলনে এ ধরনের বিতর্কিত ও ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসরদের দিয়ে রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের অর্ন্তবর্তীকালীন পুনর্গঠিত পরিষদকে জনগণ প্রত্যাখান করেছে। আমরা জেলার প্রতিটি উপজেলা থেকে প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করে রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের পুনর্গঠনের জোর দাবী জানানো হয়।

পোস্টটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো
© All rights reserved © 2023 Chtnews24.com
Website Design By Kidarkar It solutions