বান্দরবান:- স্বৈরাচারী সরকার দেশ ছেড়ে পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নিয়েছে। সেখান থেকে বসে অন্তর্বর্তীনকালী সরকারকে নানা ষড়যন্ত্র করা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু বিএনপি সেটি কখনো হতে দেবে নাহ। আ.লীগ সরকার থাকাকালীন যেসব মন্ত্রী এমপিরা দুর্নীতি করেছে তাদের নামে থানায় মামলা রয়েছে। কিন্তু সেসব দুর্নীতিবাজ নেতারা সম্মুক্ষে ঘোরাফেরা করছে। তাই এসব দুর্নীতিবাজ অপরাধীদের দ্রুত গ্রেফতার করা না হলে প্রশাসনকে জবাবদিহি দিতে হবে।
বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) বেলা তিনটায় প্রেসক্লাবের সামনে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসের গণ- জমায়েতে এসব মন্তব্যে করেন বিএনপি নেতাকর্মীরা।
এর আগে ঐতিহ্যবাহী রাজার মাঠ প্রাঙ্গণ থেকে বের করা হয় বর্ণাঢ্য র্যালী। এসময় হাতে ব্যনার নিয়ে র্যালীতে অংশ নেন নারী-পুরুষসহ অংঙ্গসংগঠনের কয়েক হাজার নেতা কর্মীরা। রাজার মাঠা প্রাঙ্গন থেকে শুরু করে শহরে প্রধান সড়ক প্রদক্ষীন করে প্রেসক্লাবে সামনে এসে শেষ হয়।
সভায় জেলা বিএনপি সহ-সভাপতি অধ্যাপন মোঃ ওসমান গনি সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটি সাবেক এমপি ও সদস্য সাচিং প্রু জেরী। এছাড়াও বিএনপি অঙ্গসংগঠনে নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, ১৬ বছর ধরে আওয়ামীলীগ সরকার বিএনপির অনেক নেতাকর্মীদের হত্যা,গুম করেছে। অনেক নেতাকর্মীরা মামলা –হামলা নিয়ে নিজ বাড়ি ছেড়ে বিভিন্ন স্থানে আশ্রয় নিতে নিয়েছে। কিন্তু ৭ আগষ্ট ছাত্র-জনতা গণ অভ্যুত্থানে এই স্বৈরাচারী আওয়ামীলীগ সরকার দেশ ছেড়ে পালাতে হয়েছে। এই গণ অভ্যুত্থানে দেশের আরো একটি স্বাধীনতা অর্জন করে এনেছে ছাত্র-জনতা। এই দেশের মাটিতে স্বৈরাচারী সরকারের কোন স্থান নাই। আগামীতে বিএনপির ক্ষমতা আসলে আ.লীগের দুর্নীতিবাজ আইনে আওতায় এনে কঠোর বিচার করা হবে বলে হুশিয়ারী দেন।
বক্তারা বলেন, ১৬ বছর ধরে বান্দরবানে বিএনপি নেতাকর্মীদের মামলা দিয়ে হয়রানি করে রেখেছে আ.লীগের নেতারা। ছাত্র জনতা গণ অভ্যুত্থানে ১৬ বছর পর বান্দরবানে এই প্রথম সমাবেশে গণ- জমায়েত হয়েছে। তাই আ.লীগ সরকার থাকাকালীন যেসব নেতারা লুটপাট, টেন্ডারবাজি, দুর্নীতি করেছে সেসব আ.লীগের দুর্নীতিবাজদের আইনের আওতায় এনে দ্রুত বিচারের দাবী জানান বক্তারা।