ডেস্ক রির্পোট:- সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দায়েরকৃত ‘রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলা’সহ অন্তত ১১টি মামলা বাতিল করেছেন হাইকোর্ট। এর মধ্যে নাশকতার অভিযোগে দায়ের করা মামলাও রয়েছে।
গতকাল বুধবার বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান এবং বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের ডিভিশন বেঞ্চ এ রায় দেন। বেগম খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানি করেন মো: জয়নুল আবেদীন, ব্যারিস্টার মাহবুবউদ্দিন খোকন, ব্যারিস্টার নাসিরউদ্দীন অসীম, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। তার আইনজীবীরা জানান, এর আগেও বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে শেখ হাসিনার সরকার আমলে দায়েরকৃত বেশ কিছু মামলা বাতিল এবং প্রত্যাহার হয়েছে। মামলাগুলো প্রত্যাহার কিংবা বাতিল হচ্ছে বিচারিক প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়েই। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার স্বপ্রণোদিত হয়ে বেগম খালেদা জিয়ার কোনো মামলা প্রত্যাহার করেছে বলে জানা যায় না। আইনজীবীরা আশা প্রকাশ করছেন, মামলাগুলো যেহেতু বেগম খালেদা জিয়াকে রাজনৈতিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন করার লক্ষ্যেই দায়ের করা হয়েছিল তাই বিচারিকভাবেই মামলাগুলো মিথ্যা প্রতিপন্ন এবং বাতিল হবে।
ভারতে পালিয়ে যাওয়া শেখ হাসিনা তার ফ্যাসিজমকে দীর্ঘায়িত করতে হাতিয়ার হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া, দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এবং দলটির সকল পর্যায়ের নেতাদের বিরুদ্ধে হাজার হাজার মামলা দায়ের করাকে। এর ফলে শুধু বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধেই হাসিনা রেজিম দায়ের করে ৩৭টি মিথ্যা মামলা। তারেক রহমানকে আসামি করে অন্তত ৮০টি হয়রানিমূলক মিথ্যায় মামলায়। এর মধ্যে অন্তত ৫টি মামলায় তারেক রহমানকে কারাদ- দেন হাসিনার অনুগত আদালত।
জুলাই-আগস্ট ছাত্র-জনতার অভূত অভ্যুত্থানের মুখে উৎখাত হাসিনা সরকার পালিয়ে যাওয়ার পর গঠিত হয় প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এ সরকার দায়িত্ব নিয়েই ঘোষণা দিয়েছিল যে, রাজনৈতিক হয়রানিমূলক সকল মামলা প্রত্যাহার করবে। সরকার দায়িত্ব নিয়েছে প্রায় তিন মাস। এর মধ্যে জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানের চূড়ান্ত মুহূর্তে হাসিনার দায়েরকৃত মামলাগুলোই প্রত্যাহার কিংবা বাতিল করা হয়েছে। কিন্তু ২০০৯ সাল থেকে যারা হাসিনার ফ্যাসিজমের বিরুদ্ধে বিরাহমহীন লড়াই-সংগ্রাম, জুলুম-নির্যাতন, কারাভোগ, গ্রেফতার, দেশান্তরী, এমনকি হতাহত হয়েছেন তাদের মামলার বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ লক্ষ করা যায়নি। এখনো অনেক মামলায় হাজিরার তারিখ পড়ছে। মামলার তারিখে তারিখে গুনতে হচ্ছে আইনজীবীর ফি।
বলাবাহুল্য, হাসিনাবিরোধী আন্দোলনে সবচেয়ে বেশি নিগৃহীত ও নির্যাতনের শিকার হয়েছে হাসিনার প্রধান রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপিকে। আরো সুনির্দিষ্ট করে বলতে গেলে, সবচেয়ে জুলুম-নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে দলটির কান্ডারি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া এবং দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। অথচ তাদের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া হয়রানিমূলক কোনো মামলাই সরকার প্রত্যাহার করেনি। মামলা নিষ্পত্তি হচ্ছে আইনের মাধ্যমে, বিচারিক প্রক্রিয়ায়। আরো লক্ষণীয় বিষয় এই যে, বেগম খালেদা জিয়ার মামলাগুলো বিচারিক প্রক্রিয়ায় ‘নিষ্পত্তি’ হলেও ‘অক্ষত’ থাকছে দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত হয়রানিমূলক প্রায় সব মামলা। এর মধ্যে একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলাসহ অন্তত ৫টি মামলায় দ-াদেশ রয়েছে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে। হয়রানিমূলক এসব মামলার বিষয়ে সরকারের দৃশ্যমান কোনো উদ্যোগ নেই। তারেক রহমানের মামলা প্রত্যাহার না হওয়ায় দেশ ফ্যাসিস্টমুক্ত হওয়ার ৩ মাস হতে চললেও ফিরতে পারছেন না স্বীয় মাতৃভূমিতে। অথচ দেশে ফেরার জন্য তিনি উন্মুখ হয়ে আছেন। দেশের মাটি ও মানুষের জন্য তার প্রাণ কাঁদে। অন্যদিকে দলটির নিগৃহীত লাখ লাখ নেতা-কর্মী উদগ্রীব হয়ে আছেন, কখন তাদের প্রাণপ্রিয় নেতা প্রত্যাবর্তন করবেন! কবে লাভ করবেন তার সান্নিধ্য। সকল রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। অথচ প্রত্যাহার হচ্ছে না তারেক রহমানের হয়রানিমূলক মামলা। তারেক রহমানের মামলা প্রত্যাহার প্রশ্নে তার আইনজীবীদের মধ্যেও লক্ষ করা যাচ্ছে না তেমন কোনো তৎপরতা। তারাও বাড়িয়ে চলেছেন নিছক ‘প্রত্যাশা’র ব্যাপ্তি।
এ বিষয়ে কথা বলতে গতকাল বুধবার প্রতিবেদক মুখোমুখি হন ‘বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি’র আইনবিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামালের। জানতে চাওয়া হয়, হাসিনা ফ্যাসিজমের করা রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারে সরকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। তিন মাস হতে চলল, তারেক রহমানের মামলার খবর কি? জবাবে ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, সরকারের উদ্যোগ যেটি সেটি দেশের মানুষ প্রত্যাশা করছে। কারণ সরকার ঘোষণা দিয়েছে যে, যতগুলো রাজনৈতিক মামলা আছে সেগুলো প্রত্যাহার করবে। সেই ঘোষণা দেয়ার পর আমরা এখন পর্যন্ত কোনো কার্যকর ভিজিবল কিছু দেখছি না। তবে আমরা আশাবাদী। এ সরকার গত ১৬-১৭ বছর আন্দোলনের ফসল। ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলন কিন্তু শুরু হয়েছিল ২০০৯ সাল থেকে। ধারাবাহিক সংগ্রামের মধ্য দিয়ে সেটি ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে রূপ নেয় গত জুলাই-আগস্টে। এ অভ্যুত্থানের মাধ্যমে অবৈধ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যেতে বাধ্য হন। এর পর প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের যে উপদেষ্টাম-লী রয়েছেন তারা ঘোষণা দিয়েছেন ওই সময় থেকে শুরু করে জুলাই-আগস্ট পর্যন্ত সমস্ত রাজনৈতিক মামলা তারা প্রত্যাহার করবেন।
‘তারেক রহমানের বিরুদ্ধে যতগুলো মামলা হয়েছে সেগুলো পিউরলি পলিটিক্যাল। সে ক্ষেত্রে তার মামলাগুলো আগে বাতিল বা প্রত্যাহার হওয়ার কথা। এ প্রসঙ্গে দলটির আইন সম্পাদক বলেন, ইট’স নট অনলি পলিটিক্যাল, এটি পলিটেক্যাল বেইজড এবং মারাত্মক প্রতিহিংসামূলক। দেশীয় ও আন্তর্জাতিক মহলে সামাজিক ও রাজনৈতিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন করার জন্যই মামলাগুলো করা হয়েছে। কোনো একটি মামলারই আইনগত কোনো ভিত্তি নেই। আইনি প্রক্রিয়ায় মামলাগুলো চলতে পারে না। তারপরও আমরা প্রত্যাশা করছি সরকার স্বীয় উদ্যোগে মামলাগুলো কার্যকরভাবে প্রত্যাহার করবে।
‘সরকার তো বরং উল্টো এমন কথা বলছে যে, তারেক রহমানের মামলা প্রত্যাহারের জন্য আপনারা (বিএনপি) কোনো আবেদনই করেননি।’ এমন প্রশ্নে বিএনপির আইন সম্পাদক বলেন, সরকারের দায়িত্ব হচ্ছে রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলাগুলো প্রত্যাহার করে নেয়া। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান চেয়ারম্যান দেশনেতা তারেক রহমান আমাদের সুস্পষ্ট নির্দেশনা দিয়েছেন যে, তিনিসহ আমাদের যেসব রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে ফ্যাসিস্ট রেজিম যেসব মামলা দায়ের করেছিল সেই সমস্ত মামলাগুলো প্রত্যাহার কিংবা বাতিল করার পর যেন তার মামলাটি প্রত্যাহার কিংবা বাতিল করা হয়। মামলা প্রত্যাহারের ক্ষেত্রে তিনি যেন সর্বশেষ ব্যক্তি হন। দলের সর্বশেষ কর্মীর মামলাটি প্রত্যাহার করার পর যেন তার মামলাটি প্রত্যাহার করা হয়। দলীয় নেতা-কর্মীদের প্রতি তার যে অকৃত্রিম ভালোবাসা ও মহব্বতের কারণেই তার এই মনোভাব।
প্রশ্ন হচ্ছে, হাসিনা রেজিম দ্বারা সবচেয়ে বেশি নিগৃহীত দেশের সর্ববৃহৎ রাজনৈতিক দলটির শীর্ষ নেতা হিসেবে তারেক রহমানকে কেন মামলা প্রত্যাহারের জন্য আবেদন-নিবেদন করতে হবে?’ এ প্রশ্নের জবাবে ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, একেবারেই সঠিক কথা। এ কারণেই বললাম, এখন পর্যন্ত আমরা এ বিষয়ে সরকারের কার্যকর কোনো পদক্ষেপ দেখিনি। বরং দেখলাম, জুলাই-আগস্টে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা যে মামলাগুলো দায়ের করেছে সেগুলো প্রত্যাহার করা হয়েছে। কিন্তু এর যে রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলা দায়ের করা হয়েছে সেগুলোর বিষয়ে কার্যকর সিদ্ধান্ত দেখি না। সরকারের কাছে তো সব মামলার তালিকাই রয়েছে। পুলিশ স্টেশন, ডিসি, এসপি সবার দফতরেই তো রেকর্ড রয়েছে। রেকর্ড দেখে ওনারা প্রত্যাহার করে নিলেই তো ফয়সালা হয়ে যায়।
তিনি বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে করা অনেকগুলো মামলার মধ্যে ১১টি মামলা আজ (গতকাল বুধবার) বাতিল করা হয়েছে। কারণ, আইনে আছে এই মামলাগুলোর আসামি করতে হলে সংশ্লিষ্ট আসামিকে ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকতে হবে। কিন্তু দেখা গেল তার বিরুদ্ধে যখন মামলা করা হলো তখন তিনি গুলশান অফিসে ছিলেন অবরুদ্ধ। ফ্যাসিস্ট হাসিনার পুলিশ বাসার সামনে বালুর ট্রাক দিয়ে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়। তিনি কিভাবে ঘটনাস্থলে থাকতে পারেন? আমরা যে এতদিন মামলাগুলো ফলস সেটি এখন আদালতের মাধ্যমে প্রমাণিত হচ্ছ।
আবার ধরুন, ওয়ান-ইলেভেন পরবর্তী সরকার দেশনেতা তারেক রহমানের বিরুদ্ধে অনেকগুলো মামলায় গ্রেফতার করা হয়। তিনি কিন্তু কোনো মামলায় আসামি ছিলেন না। আর্মি-ব্যাকড কেয়ারটেকার সরকারের সময় তাকে অন্যের মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়। গ্রেফতার দেখানো হলো তার কারাবাসকে প্রলম্বিত করার জন্য। মহামান্য আদালত এমন ৬টি মামলা খারিজ করে দিয়েছেন।
‘আমরা দেখেছি, একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায়ও তাকে কিভাবে ‘আসামি’ করা হয়েছে।’ এ প্রসঙ্গে তারেক রহমানের এই আইনজীবী বলেন, চতুর্থবারের মতো দেয়া আমি বলি এটিকে ‘কুখ্যাত আগস্ট’। এ কারণে বলি যে প্রথমত, মামলাটির সুষ্ঠু তদন্ত হয়নি। শেখ হাসিনা তদন্ত করতে দেননি। রাজনৈতিক হীন উদ্দেশ্য চরিতার্থ করার জন্য একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় আসামি করা হয়। আ’লীগ মামলার বিচার চাযনি। চাইলে তো বিচার করতেই পারতো। তারা এ ঘটনাটাকে পুঁজি করে তারেক রহমানকে রাজনৈতিভাবে হেয়প্রতিপন্ন করতে চেয়েছিল। বিচারের বাণী নিভৃতে কাঁদছিল। প্রথম চার্জশিটে নাম নেই। দ্বিতীয় চার্জশিটে নাম নেই। তৃতীয় চার্জশিটেও নাম নেই। চতুর্থবার সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট দিয়ে তার নাম ঢোকানো হয়েছে। তৃতীয় চার্জশিটি দেয়া হয়েছিল আর্মি-ব্যাকড কেয়ারটেকার সরকার আমলে। যে সরকার তারেক রহমানকে গ্রেফতার করেছিল। সেই সরকার আমলে দেয়া চার্জশিটেও তারেক রহমানের নাম ছিল না। এ মামলার আরো গুরুত্বপূর্ণ দিক হচ্ছে মামলার তদন্তে শেখ হাসিনা ওয়াজেদের ১৬১। দলটির তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক আব্দুল জলিলের ১৬১ ধারায় জবানবন্দি আছে। মরহুম সৈয়দ সাজেদা চৌধুরীর ১৬১ আছে। মরহুম মেয়র হানিফের ১৬১ আছে। এরকম আওয়াম লীগের ৪১ জন নেতার অফিসিয়াল ১৬১ ধারায় জবানবন্দি রয়েছে। কোনো একনক নেতার ১৬১-এ তারেক রহমানের নাম আসেনি। অথচ ২০০৮ এর তথাকথিত নির্বাচনে ক্ষমতায় এসে শেখ হাসিনা পার্লামেন্টে দাঁড়িয়ে নির্জলা মিথ্যা বক্তব্য দিয়ে বললেন, এ ঘটনার সঙ্গে তারেক রহমান জড়িত। এর পরপরই শেখ হাসিনার একজন সেবাদাস আব্দুল কাহার আকন্দকে দায়িত্ব দিলেন মামলা তদন্তের। যিনি একজন রিটায়ার্ড পুলিশ অফিসার ছিলেন। তিনি মনগড়া একটি চার্জশিট দিলেন। যেখানে মুফতি হান্নানকে প্রধান সাক্ষী করা হলো। অথচ চার্জশিটের ২৩৪ নম্বর পৃষ্ঠায় মাত্র দেড় লাইন জবাব তারেক রহমান সম্পর্কে বলা হয়েছে। মুফতি হান্নানের ভাষায়, তারেক রহমানের কার্যালয়ে মুফতি হান্নান নাকি গিয়েছিলেন সাক্ষাৎ করতে। সেখানে হারিছ চৌধুরী, লুৎফুজ্জামান বাবরসহ কয়েকজন বসা। মুফতি হান্নানকে নাকি তারেক রহমান সাহেব বলেছিলেন, আপনি (মুফতি হান্নান) ওনাদের সঙ্গে কাজ করবেন। কি কাজ করবেন, কেন কাজ করবেনÑ কিছুই উল্লেখ নেই। তার এই ১৬৪ এর ভিত্তিতে তারেক রহমানকে আসামি করা হলো। এ চার্জশিটের প্রধান সাক্ষী যাতে আদালতে সাক্ষ্য দিতে না পারে সেই লক্ষ্যে রায় শেষ হওয়ার আগে ২০১৭ সালে মুফতি হান্নানকে ফাঁসিকাষ্ঠে ঝুলিয়ে দেয়া হয়েছে। এসবই ছিল ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার একটি ব্লু প্রিন্ট। দেশের জাতীয়তাবাদের ধারক-বাহক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান এবং দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সুযোগ্য রাজনৈতিক উত্তরসূরী, তৃণমূলের নেতা তারেক রহমানকে রাজনৈতিভাবে ঘায়েল করা। কিন্তু মানুষ সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যে কারণে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনাকে পালাতে হয়েছে।ইনকিলাব