ডেস্ক রির্পোট:- জুলাই–অগাস্ট মাসে আন্দোলনের মধ্যে ‘গণহত্যার’ অভিযোগে সাবেক আইজিপি আবদুল্লাহ মামুন, সাবেক ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমানসহ পুলিশের ১৭ সাবেক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন বিচারকের বেঞ্চ গতকাল রোববার এ আদেশ দেয়। এ আদালতের প্রধান কৌঁসুলি মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম এদিন ওই ১৭ জনকে ট্রাইব্যুনালে তলবের নির্দেশনা চেয়ে আবেদন করেন। খবর বিডিনিউজের।
সাবেক আইজিপি আবদুল্লাহ মামুন, সাবেক ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান ছাড়াও র্যাবের সাবেক মহাপরিচালক ব্যারিস্টার হারুন অর রশিদ, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক মনিরুল ইসলাম, ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) সাবেক অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশিদ, ঢাকা মহানগর পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার, সাবেক অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক প্রলয় কুমার জোয়ার্দার আছেন ওই ১৭ জনের মধ্যে।
একই দিন ট্রাইব্যুনাল ১০ সাবেক মন্ত্রীসহ ১৪ জনকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করার নির্দেশ দেয়, যারা ইতোমধ্যে গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে আছেন। তারা হলেন সাবেক মন্ত্রী আনিসুল হক, আব্দুর রাজ্জাক, গোলাম দস্তগীর গাজী, শাহজাহান খান, দীপু মনি, ফারুক খান, কামাল আহমেদ মজুমদার, হাসানুল হক ইনু, রাশেদ খান মেনন ও জুনায়েদ আহমেদ পলক। আরো আছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান ও তৌফিক–ই এলাহি; আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক ও সাবেক স্বরাষ্ট্র সচিব জাহাঙ্গীর আলম।
জুলাই–অগাস্টে ‘গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের’ অভিযোগে দুই মামলায় গত ১৭ অক্টোবর সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার পরিবারের সদস্যসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। এদের মধ্যে শেখ হাসিনার বোন শেখ রেহানা, শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, শেখ হাসিনার ফুপাতো ভাই সাবেক এমপি শেখ ফজলুল করিম সেলিম, তার দুই ভাতিজা ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র ফজলে নূর তাপস, যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশের নামও রয়েছে।
গত ৫ জুলাই থেকে ৫ অগাস্ট পর্যন্ত সময়ে ছাত্র–জনতার আন্দোলনের মধ্যে সারা দেশে ‘গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের’ অর্ধশতাধিক অভিযোগ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা ও প্রসিকিউশন অফিসে জমা পড়েছে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাড়াও তার সরকারের মন্ত্রী, সংসদ সদস্য, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী, সাহিত্যিক ও গণমাধ্যমকর্মীদের অনেককে সেসব মামলার আসামি করা হয়েছে।