৩ পার্বত্য জেলায় ভ্রমণে নিরুৎসাহিত করায় রাঙ্গামাটির ১০ সংগঠনের উদ্বেগ

রিপোর্টার
  • আপডেট সময় সোমবার, ৭ অক্টোবর, ২০২৪
  • ৫৬ দেখা হয়েছে

রাঙ্গামাটি:- তিন পার্বত্য জেলায় পর্যটকদের ভ্রমণে নিরুৎসাহিত করায় রাঙ্গামাটির পর্যটন সংশ্লিষ্ট ১০টি সংগঠন গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।

সংগঠনগুলোর নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারসহ চার দফা দাবি জানিয়ে সোমবার ( ০৭ অক্টোবর) বিকেলে রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছেন।

স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়েছে- আগামী ৮ থেকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত পর্যটক ভ্রমণে নিরুৎসাহিত করায় আমরা গভীরভাবে উদ্বেগ ও হতাশা প্রকাশ করছি। আসন্ন শারদীয় দুর্গোৎসবকে কেন্দ্র করে পর্যটকরা যখন দেশব্যাপী ভ্রমণের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন, তখন এ ধরনের ঘোষণা ভ্রমণপিপাসুদের কাছে পার্বত্য জেলাগুলোর বিষয়ে অত্যন্ত নেতিবাচক বার্তা দেবে। যা এ অঞ্চলে গড়ে ওঠা পর্যটন খাতকে আবার খাদের কিনারায় নিয়ে যাবে। এ কারণে আমরা পেশা ও বিনিয়োগ বিষয়ে গভীর অনিশ্চয়তায় ভুগছি।

বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করা হয়, দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে সরকার অত্যন্ত সতর্কভাবে সিদ্ধান্ত নিচ্ছে বিধায় তিন পার্বত্য জেলায় পর্যটকদের ভ্রমণ নিরবচ্ছিন্ন রাখা ও স্থানীয় পর্যটন উদ্যোক্তাদের স্বার্থ সুরক্ষার কথা বিবেচনায় আনা অত্যন্ত প্রয়োজন।

বিবৃতিতে ১০ সংগঠনের নেতারা চার দফা দাবি পেশ করেন। দাবিগুলো হচ্ছে- অনতিবিলম্বে তিন পার্বত্য জেলায় ভ্রমণের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা, পর্যটন সংশ্লিষ্ট বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে এ খাতের উদ্যোক্তাদের সঙ্গে পরামর্শ করা, পর্যটন খাতে আর্থিক ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার জন্য প্রণোদনার ব্যবস্থা করা এবং পর্যটন খাতের উন্নয়ন ও বিকাশের জন্য অব্যাহতভাবে নিজের অর্থ সমাপ্ত নীতি ও আর্থিক সমর্থন সমুন্নত রাখা।

এদিকে রাঙ্গামাটি রিসোর্ট ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সুমেধ চাকমা জানিয়েছেন, ০৮-৩১ অক্টোবর পর্যন্ত রাঙ্গামাটিতে পর্যটক ভ্রমণে প্রশাসন থেকে যে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে তাতে আমরা আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছি।

তিনি বলেন, বিগত ছাত্র আন্দোলন ও সাম্প্রতিক সহিংসতায় আমাদের অনেক আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। এর মধ্যে দুর্গোৎসব উপলক্ষে আমাদের বেশ কিছু রিসোর্টে ১১ ও ১২ অক্টোবরের অগ্রিম বুকিং রয়েছে। কিন্তু প্রশাসন থেকে ভ্রমণ নিরুৎসাহিত করায় অনেক পর্যটককে অগ্রিম বুকিংয়ের টাকা ফেরত দিতে হচ্ছে।

সুমেধ চাকমা আরও বলেন, এতে আমার বার্গি রিসোর্টে প্রায় ২০ লাখ টাকার ক্ষতি হচ্ছে।

পর্যটন সংশ্লিষ্ট দশটি সংগঠন হলো- রাঙ্গামাটি রিসোর্ট ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন, হাউজ বোর্ড ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন, আবাসিক হোটেল মালিক সমিতি, পর্যটন শিল্প সমবায় সমিতি লিমিটেড, টোয়ার, পর্যটন ঘাট ট্যুরিস্ট বোট মালিক সমিতি, রিজাব বাজার ঘাট ট্যুরিস্ট বোট মালিক সমিতি, সমতা ঘাট ট্যুরিস্ট বোট মালিক সমিতি, রেস্টুরেন্ট মালিক সমিতি এবং রাঙ্গামাটি লঞ্চ মালিক সমিতি।

পোস্টটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো
© All rights reserved © 2023 Chtnews24.net
Website Design By Kidarkar It solutions