খাগড়াছড়ি:-খাগড়াছড়ি ও রাঙ্গামাটি জেলায় সহিংসতা ও সংঘর্ষের ঘটনার কারণ উদঘাটনে গঠিত তদন্ত কমিটি কাজ শুরু করেছেন।
রবিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) তদন্ত কমিটির প্রধান চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) মোহাম্মদ নূরল্লাহ নূরীর নেতৃত্বে সাত সদস্যের কমিটি খাগড়াছড়ির জেলার দীঘিনালার লারমা স্কয়ার এলাকা পরিদর্শন করেন ও ক্ষতিগ্রস্ত এবং প্রত্যক্ষদর্শীর সাথে কথা বলেন। বিকালে কমিটির সদস্যদের খাগড়াছড়ি জেলা সদরে পরিদর্শন ও সদর উপজেলা পরিষদ কার্যালয়ে ক্ষতিগ্রস্ত ও প্রত্যক্ষদর্শীর সাথে কথা বলবেন।
তদন্ত কমিটির প্রধান মোহাম্মদ নূরল্লাহ নূরী বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত, প্রত্যক্ষদর্শী ও সাংবাদিকসহ সবার সাথে কথা বলে ঘটনার কারণ উদঘাটনের চেষ্টা করা হবে।
উল্লেখ, বুধবার(১৮ সেপ্টেম্বর) সকাল ৭টার দিকে মোটরসাইকেল খাগড়াছড়ি জেলা সদরে ফার্নিচার ব্যবসায়ী মো: মামুনকে মোটরসাইকেল চুরির অভিযোগে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনার জেরে সহিংসতায় ছড়িয়ে পড়ে। দীঘিনালায় অর্ধশতাধিক দোকানপাটে আগুন, স্বণির্ভরে সেনাবাহিনীর উপর গুলি বর্ষনের ঘটনায়। সহিংসতার ধারাবাহিকতায় খাগড়াছড়িতে ৩ জন ও রাঙামাটি একজনসহ ৪ জন নিহত হয়।
খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটিতে সহিংসতার কারণ উদঘাটনে গত বৃস্পতিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) মোহাম্মদ নূরল্লাহ নূরীকে আহ্বায়ক করে সাত সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মো: তোফায়েল ইসলাম। কমিটিকে আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে সরেজমিন পরিদর্শন ও তদন্তপূর্বক চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনারের কাছে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। তদন্ত কমিটির অন্য সদস্যরা হচ্ছেন, খাগড়াছড়ি, রাঙ্গামাটি ও বান্দরবানের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার।
চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মো: তোফায়েল ইসলামের স্বাক্ষর করা অফিস আদেশে সাত সদস্যের তদন্ত কমিটিকে খাগড়াছড়ি ও রাঙ্গামাটিতে সংঘটিত সহিংস ঘটনার প্রকৃত কারণ অনুসন্ধান, ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিতকরণ ও ভবিষ্যতে একই জাতীয় ঘটনার পুনরাৃত্তি রোধে যথাযথ সুপারিশ প্রণয়নের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
সহিংসতার ঘটনার পরদিন দুই জেলায় অন্তবর্তীকালীন সরকারের তিন প্রভাবশালী উপদেষ্টা খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটি জেলায় সফর করে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা, বিশিষ্টজন ও সামরিক-বেসামরিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করেন। পরে সাংবাদিকদের একটি উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন তদন্ত কমিটি গঠনের কথা জানিয়েছিলেন অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।