ডেস্ক রির্পোট:- শেখ হাসিনা সরকারের আমলে গত ১৫ বছরে ব্যাংকখাত ছিল অন্যতম ভুক্তভোগী। সুশাসনের এতটাই অভাব ছিল যে, স্বাধীনতার পর বিগত ৫৩ বছরে এ দেশের ব্যাংকিংখাত এত বেশি সমস্যার মুখোমুখি আর কখনো হয়নি। আর তাই দীর্ঘদিন থেকে ব্যাংক খাতের ওপর মানুষের গভীর আস্থাহীনতা তৈরি হয়। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শেখ হাসিনা ভারতে পালানোর পর দেশের আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রক ব্যাংকিং খাত যেন মুখ থুবড়ে পড়ার শঙ্কা জেগেছিল। অবশ্য অন্তর্বর্তী সরকার এসে শুরুতে অর্থ উপদেষ্টা পরে গভর্নর নিয়োগে দূরদর্শী সিদ্ধান্ত নেওয়ায় ব্যাংকখাত সংস্কারে দ্রুত কিছু কার্যকর ব্যবস্থা নিয়েছে। অসহনীয় বাস্তবতায় ইতোমধ্যে বিতর্কিত এস অলম গ্রুপসহ আর্থিক অনিয়মে দুর্বল হয়ে পড়া ব্যাংকগুলোর বোর্ড পরিবর্তনসহ একগুচ্ছ সংস্কার কার্যক্রম হাতে নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। সার্বিকভাবে ব্যাংকিং খাতকে আবারও সবল করে তুলতে এবং মানুষের পূর্ণ আস্থা ফেরাতে কাজ করছে কিছু যুগোপযোগী সিদ্ধান্ত। অসহনীয় খেলাপি ঋণ কমানো, বিনিয়োগ স্থবিরতা কাটানো, ডলার সঙ্কট অনেকটা কাটিয়ে ডলার বাজার ও আন্তঃব্যাংক মুদ্রাবাজার আবার চাঙ্গা হতে শুরু করলেও তারল্য সঙ্কট নিয়ে কিছু ব্যাংক বিপাকে ছিল। সর্বশেষ আর্থিক অনিয়মে দুর্বল হয়ে পড়া বা তারল্য সঙ্কটে থাকা ব্যাংকগুলোকে ধার দিতে উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এই ব্যাংকগুলোতে গ্রাহক সেবা স্বাভাবিক ছিল না। নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা (এমনকি ৩০ হাজার টাকাও) তুলতে এসে না পেয়ে অনেক ব্যাংক কর্মকর্তা ও গ্রাহকদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। গ্রাহকদের মধ্যে ব্যাংকখাত নিয়ে আস্থাহীনতার তৈরি হচ্ছিল। তখনই বাংলাদেশ ব্যাংকের দূরদর্শী সিদ্ধান্ত নিয়ে ব্যাংকগুলোকে ঘুরে দাঁড়াতে সহায়তা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। ৭টি ব্যাংক বর্তমান তারল্য সঙ্কট কাটাতে প্রায় ২৯ হাজার কোটি টাকা চেয়েছে। এর মধ্যে ৫টি ব্যাংককে ১৯ হাজার কোটি টাকা সহায়তা করতে রাজি হয়েছে অতিরিক্ত তারল্য থাকা সবল ১০ ব্যাংক। এসব ব্যাংকের ঋণে গ্যারান্টি বা নিশ্চয়তা দেবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এখনো দুর্বল ব্যাংকগুলো তারল্য সহায়তা পায়নি। এই সপ্তাহে এই তারল্য সহায়তা মিলবে বলে জানা গেছে। আর তারল্য সহায়তার খবরে গ্রাহক ও ব্যাংক কর্মকর্তারা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছে।
ব্যাংকখাত-সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অন্তর্বর্তী সরকারের দূরদর্শী সিদ্ধান্তের মধ্যে অন্যতম ছিল অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ এবং গভর্নর হিসেবে ড. আহসান এইচ মনসুরকে পদায়ন। ব্যাংকখাত সংস্কারে ইতোমধ্যে নেওয়া অধিকাংশ সিদ্ধান্তই খুবই কার্যকরী। তাদের আশা দ্রুতই দেশের ব্যাংকখাত তথা আর্থিকখাত ঘুড়ে দাঁড়াবে। তারল্য সঙ্কটে থাকা ব্যাংকগুলোকে এভাবে সহায়তা ব্যাংকিং খাতে আস্থা বাড়াবে বলে মত বিশেষজ্ঞদের। তাদের মতে, বাংলাদেশ ব্যাংকের গ্যারান্টির মানে হলো, কোনো কারণে কোনো ব্যাংক ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ হলে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ওই টাকা দেবে। আপাতত কেন্দ্রীয় ব্যাংক সরাসরি টাকা না দিয়ে অন্য ব্যাংক থেকে ধারের ব্যবস্থা করছে। অর্থাৎ বাজারের টাকা এক ব্যাংক থেকে আরেক ব্যাংকে যাবে। ফলে মূল্যস্ফীতির ওপর বাড়তি প্রভাব পড়বে না। তবে বিশেষজ্ঞরা একসঙ্গে ৬টি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহীদের অপসারণকে ব্যাংক খাতে সঙ্কট বাড়াবে বলে উল্লেখ করেছেন।
বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক প্রফেসর আবু আহমেদ বলেন, এস আলমসহ কিছু লুটেরা ব্যাংক থেকে টাকা নিয়ে গেছে। এ কারণে ব্যাংকগুলো গ্রাহকদের চাহিদা মোতাবেক টাকা দিতে পারছে না। এতে এই খাতে আস্থাহীনতা তৈরি হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তারল্য সঙ্কট নিরসনে দূরদর্শী সিদ্ধান্ত বর্তমান সঙ্কট কাটাতে অনেকটা সহায়ক হবে বলে আমি মনে করে। একই সঙ্গে আগামী ৩-৪ মাসের মধ্যে আর্থিকখাত স্বাভাবিক হয়ে আসবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। এছাড়া ইতোমধ্যে একাধিক ব্যাংকের নতুন বোর্ড গঠন করা হয়েছে। তাদেরও সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে। অপরদিকে আসল সমাধান হলো-এসব ব্যাংকের বোর্ডে অবশ্যই যথাযথ লোককে বসাতে হবে। যেমনÑ ইসলামী ধারার ব্যাংকগুলোতে অবশ্যই ইসলামী ধারার ব্যাংকিংয়ে দক্ষতাসম্পন্ন ব্যক্তিদের চেয়ারম্যান ও এমডি হিসেবে বসাতে হবে। পাশাপাশি ব্যাংকারদের অফিসে বসে থাকলে হবে না, মাঠে-ঘাটে সাধারণ মানুষের কাছে যেতে হবে। গ্রাহকদের বোঝাতে হবে ব্যাংকে টাকা রাখলে এখন আর সমস্যা নেই, নিরাপদ। এভাবে খারাপ ব্যাংকগুলোর একটি ব্যাংকও যদি ভালো করে তাহলে অন্য ব্যাংকগুলোও বর্তমান সমস্যা কাটিয়ে উঠবে বলে মনে করেন প্রফেসর আবু আহমেদ। একই সঙ্গে ব্যাংকগুলোর মূল সমস্যা খেলাপি ঋণ, এই খেলাপি ঋণ কমাতে হবে। যারা খেলাপি তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত পদক্ষেপ নিয়ে টাকা উদ্ধার করতে হবে। এগুলো অবশ্যই দৃশ্যমান হতে হবে। খেলাপিদের কাছ থেকে থেকে যা পাওয়া যায় তাই লাভ। এখনো এ ধরনের কার্যক্রম দেখছেন না বলে উল্লেখ করেন আর্থিক খাতের এই বিশ্লেষক।
ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইর সাবেক সভাপতি আব্দুল আউয়াল মিন্টু বলেন, সঙ্কট কাটাতে বাংলাদেশ ব্যাংক যুগোপযোগী সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এটা বাস্তবায়ন হলে তারল্য সঙ্কটে থাকা ব্যাংকগুলোতে স্বাভাবিকতা ফিরবে। ব্যাংক খাতে যে আস্থাহীনতা সৃষ্টি হয়েছিল গ্রাহকের তা আবার ফিরে আসবে। আব্দুল আউয়াল মিন্টু বলেন, আস্থা শব্দটি একটি সংক্রামক ব্যাধির মতো। কোনো একটি ব্যাংকে সমস্যা দেখা দিলে দ্রুত যেমন গ্রাহকরা আস্থা হারায় তেমনি আবার চাহিদা অনুযায়ী সেবা পেলে দ্রুত আস্থা ফিরে পায়। তবে দু-একটি ব্যাংককে খারাপ রেখে গ্রাহকের আস্থাহীনতা দূর করা সম্ভব নয়, তাই দুর্বল ব্যাংকগুলোকে এই সময়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের বিশেষ নজর দেওয়ার আহ্বান জানান দেশের বিশিষ্ট এই ব্যবসায়ী।
সূত্র মতে, স্বৈরাচার হাসিনা সরকারের সময় বাংলাদেশ ব্যাংক ও একটি গোয়েন্দা সংস্থার সহায়তায় ৮টি ব্যাংক নিয়ন্ত্রণ নিয়েছিল বিতর্কিত এস আলম গ্রুপ। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতন হলে ব্যাংকগুলোর পরিচালনা পরিষদ ভেঙে পুনর্গঠন করা হয়। এর মধ্যে এস আলমের নিয়ন্ত্রণে থাকা ৮টিসহ মোট ১১টি ব্যাংকের পরিষদ ভেঙে নতুন করে পুনর্গঠন করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এগুলো হলো ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক, বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক এবং ন্যাশনাল ব্যাংক। পরিষদ পুনর্গঠন করা অন্য তিন ব্যাংক হলো আইএফআইসি, ইউসিবি ও এক্সিম ব্যাংক।
পরিষদ ভেঙে দেওয়া ব্যাংকের অধিকাংশই তারল্য সঙ্কটে ভুগছে। তবে এর মধ্যে ছয়টি ব্যাংকের পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, তাদের অনেক শাখায় লেনদেন করার মতো নগদ টাকা নেই। আমানতকারীদের চাপে পড়েছেন শাখা কর্মকর্তারা। এতে ব্যাংক খাতে অস্থিরতা ছড়াচ্ছিল। এদের মধ্যে সঙ্কটে পড়া সাত ব্যাংক ঘুরে দাঁড়াতে প্রায় ২৯ হাজার কোটি টাকার তারল্য-সহায়তা চায়। এর মধ্যে ইসলামী ব্যাংক পাঁচ হাজার কোটি, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক সাত হাজার ৯০০ কোটি, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক দুই হাজার কোটি, ইউনিয়ন ব্যাংক এক হাজার ৫০০ কোটি, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক সাড়ে তিন হাজার কোটি, ন্যাশনাল ব্যাংক পাঁচ হাজার কোটি ও এক্সিম ব্যাংক চার হাজার কোটি টাকা সহায়তা চায়।
পরে বাংলাদেশ ব্যাংক তারল্য সঙ্কটে থাকা ব্যাংকগুলোকে সহায়তা দিতে গ্যারান্টি দেওয়ারও কথা জানায়। এতে অতিরিক্ত তারল্য থাকা সবল ব্যাংকগুলো এগিয়ে আসে দুর্বল ব্যাংকগুলোকে সহায়তার জন্য। ইতোমধ্যে অতিরিক্ত তারল্য থাকা ১০টি ব্যাংক দুর্বল ব্যাংককে ঋণ দিতে সম্মত হয়েছে। গত বুধবার বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুরের সামনে তারা চুক্তিও করেছে। এর মধ্যে আছে রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী ব্যাংক, বেসরকারি খাতের ব্র্যাক, ইস্টার্ন, দ্য সিটি, শাহজালাল ইসলামী, মিউচুয়াল ট্রাস্ট, পূবালী, ঢাকা, ডাচ-বাংলা ও ব্যাংক এশিয়া। তারল্য সহায়তা পেতে চুক্তি সই করা পাঁচটি ব্যাংক হলোÑ বেসরকারি খাতের ন্যাশনাল, সোশ্যাল ইসলামী, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী, ইউনিয়ন ও গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক। আরো দুটি ব্যাংক চুক্তিবদ্ধ হওয়ার অপেক্ষায় আছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক হুসনে আরা শিখা বলেছেন, দুর্বল ব্যাংকগুলোকে দেওয়া ঋণের টাকা ফেরত চাইলে সবল ব্যাংকগুলোকে তিন দিনের মধ্যেই তা ফেরত দেবে বাংলাদেশ ব্যাংক। কোনো ব্যাংকঋণ দেওয়ার জন্য কোনো টাকা নিতে পারবে না। কোনো ব্যাংককে কত টাকার তারল্য সহায়তা দেওয়া হবে, সেটি নির্ধারণ করবে বাংলাদেশ ব্যাংক। এ ছাড়া দুই ব্যাংকের সমঝোতার ভিত্তিতে ঋণের সুদহার নির্ধারিত হবে।
তারল্য সহায়তার বিষয়ে ন্যাশনাল ব্যাংকের কর্মকর্তা শহীদুল ইসলাম বলেন, গত কিছুদিন কিভাবে গ্রাহকদের ম্যানেজ করেছি জানি না। বাংলাদেশ ব্যাংকের তারল্য সহায়তার দূরদর্শী সিদ্ধান্তকে তিনি সাধুবাদ জানান। তিনি বলেন, গ্রাহকরা তাদের গচ্ছিত অর্থের নিশ্চয়তা চেয়েছিল। এখন তা মিলেছে, আশা করি ব্যাংক খাতে এতদিন যে অস্থিরতা ছিল তা দ্রুত কেটে যাবে।
আমিনুল ইসলাম নামের ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের এক কর্মকর্র্তা বলেন, গ্রাহকদের ৩০ হাজার টাকাও দিতে পারছিলাম না। ব্যাংক কর্মকর্তাদের সঙ্গে গ্রাহকের সম্পর্কের অবনতি ঘটছিল। বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে দুর্বল ব্যাংকগুলোকে তারল্য সহায়তার ঘোষণায় ইতোমধ্যে গ্রাহকরা কিছু হলেও স্বস্তি পেয়েছে। সাহায্য পেলে চাহিদা অনুযায়ী লেনদেন করা গেলে দ্রুতই গ্রাহকদের মধ্যে আস্থা ফিরবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
এদিকে মোহাম্মদ আব্দুল মান্নানের নেতৃত্বে নতুন পরিচালনা পরিষদ নিয়োগ দেওয়ার পর গত ২৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মাত্র তিন সপ্তাহে ৩৫০ কোটি টাকার মন্দ ঋণ আদায় করেছে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক (এফএসআইবি), যা ঘুরে দাঁড়ানোর বিস্ময়কর এক ঘটনা বলছেন ব্যাংকখাত-সংশ্লিষ্টরা। গত ২ সেপ্টেম্বর ব্যাংকের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব নেন তিনি, এরপরই তার নেতৃত্বে জোর কদমে শুরু হয় ঋণ আদায় কার্যক্রম। কৌশলগত কিছু পদক্ষেপ ও ব্যাংকের নির্বাহীদের উজ্জীবিত করার মাধ্যমে তাতে সাফল্য আসে বলে জানান তিনি। আগে এই ব্যাংকটি নিয়ন্ত্রণ করতেন বিতর্কিত এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম মাসুদ। তখন এসব নন-পারফর্মিং লোন (এনপিএল) আদায়ে হিমশিম খেত ব্যাংকটি। কিন্তু, ইসলামী ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল মান্নান চেয়ারম্যান হওয়ার পর দ্রুত আদায়ের ঘটনায় ভবিষ্যতে এই ব্যাংকের আর্থিক স্থিতিশীলতা সম্পর্কে নতুন আশা দেখা যাচ্ছে। আর্থিক স্বাস্থ্যের উন্নতির লক্ষ্যে আরো পদক্ষেপ নেওয়ার আভাস দিয়ে মোহাম্মদ আব্দুল মান্নান বলেছেন, ব্যাংকের পুনরুদ্ধার সম্পর্কে আমি খুবই আশাবাদী। ঋণ পরিশোধ নিশ্চিত করার নতুন কৌশলের মাধ্যমে-ঋণ খেলাপিদের ওপর চাপ বজায় রাখার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন তিনি। একই সঙ্গে দরকার হলে আমাদের নির্বাহীরা খেলাপিদের বাড়ির সামনে অবস্থান নেবেন, ফলে তাদের প্রতিবেশী, আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধব সবাই জানতে পারবে- এসব ব্যক্তি তাদের ঋণ পরিশোধ করে না, আবার দেশ-বিদেশে বিলাসবহুল জীবনযাপন ঠিকই করছে বলে উল্লেখ করেন অভিজ্ঞ এই ব্যাংকার। অবশ্য ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক নতুন এই চেয়ারম্যানের প্রচেষ্টা শুধু মন্দ ঋণ আদায়েই কেন্দ্রীভূত নয়, ব্যাংকটি নতুন আমানত এবং গ্রাহকও আকৃষ্ট করছে।ইনকিলাব