রাঙ্গামাটি:- কাপ্তাই হ্রদের পানির স্তর বিপদসীমায় পৌঁছে যাওয়ায় কাপ্তাই বাঁধের ১৬টি জলকপাট ৬ ইঞ্চি করে খুলে দেয়া হয়েছে। আজ সকাল ৮টা ১০ মিনিটে গেইটগুলো খুলে দেয়া হয়। এর আগে গতকাল রাত দশটায় বাঁধের দরজা খুলে দেয়ার কথা থাকলেও রাতে শেষ পর্যন্ত খোলা হয়নি।
কর্ণফুলী পানিবিদ্যুৎ কেন্দ্র সূত্র জানায়, রবিবার সকাল সাতটায় কাপ্তাই হ্রদের পানির উচ্চতা ১০৮.২৭ এমএসএল(মিনস সি লেভেল) রেকর্ড করা হয়েছে। যা বিপদসীমায় পৌঁছেছে। কাপ্তাই হ্রদের পানি ধারণক্ষমতা ১০৯ এমএসএল। গেইট খুলে দেয়ায় এতে প্রতি সেকেন্ডে ৯ হাজার কিউসেক ফিট পানি নিষ্কাশন হচ্ছে। পানির স্তর অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেলে স্পিলওয়ের গেইটের খোলার পরিমাণ পর্যায়ক্রমে বাড়ানো হবে।
কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক এ টি এম আবদুজ্জাহের বলেন, হ্রদ ব্যবস্থাপনা কমিটির সাথে আলোচনা করেই এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। বর্তমানে ৫টি ইউনিটের সবগুলো দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন চলছে, ফলে প্রতি সেকেন্ডে ৩২ হাজার কিউসেক ফিট পানি নিষ্কাশিত হচ্ছে। যা থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে ২১৯ মেগাওয়াট।
হ্রদ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক মো. মোশাররফ হোসেন খান বলেছেন, কাপ্তাই হ্রদে পানি বর্তমানে বিপদসীমায় পৌঁছেছে। বাঁধের ঝুঁকি এড়াতে এবং রুলকার্ভ অনুসরণ করে হ্রদের পানি ছাড়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। তিনি বলেন, প্রতিবছর এভাবেই পানি ছাড়া হয়। তাই আতঙ্কিত না হওয়ার জন্য তিনি সকলকে আহŸান জানিয়েছেন।