রাঙ্গামাটি:- রাঙ্গামাটি জেলার কাপ্তাই উপজেলার ৪নং ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডে পাহাড়ের ঢালুতে ঝুঁকিপূর্ণভাবে ৬শ লোক বসবাস করছে।
এলাকার বসবাসরত লোকজন জানান, আমরা প্রতিবছর আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে চায় না। চিরস্থায়ী ঠিকানা চায়। নির্বাচন আসলে এমপি, উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান কাপ্তাইকে মৌজা ঘোষণাসহ আমাদের চিরস্থায়ী ঠিকানা করে দেওয়ার মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে আসছে। দীর্ঘ বছর যাবৎ ঝড় তুফানে মৃত্যুর সাথে যুদ্ধ করে পাহাড়ে ঢালুতে বসবাস করে আসছি। আমরা আর আশ্রয় কেন্দ্রে যেতে চাই না। আমরা চিরস্থায়ী একটি বসবাসের ঠিকানা চাই।
কাপ্তাই নতুনবাজার, ঢাকাইয়া কলোনী, লগগেইট, কবরস্থান ও কর্ণফুলী নদীর তীরবর্তী স্থানে পাহাড়ের ঢালুতে মৃত্যুর ঝুঁকি নিয়ে ৬ শতাধিক ভূমিহীন আশ্রয়হীন লোকজন দীর্ঘ বছর যাবত বসবাস করে আসছে। প্রতিবছর বর্ষা মৌসুম আসলে প্রশাসনের পক্ষ হতে ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়ের ঢালু হতে বসবাসকারীদের নিরাপদ আশ্রয় কেন্দ্রে আসার আহ্বান জানান।
কাপ্তাই নতুনবাজার পাহাড়ের ঢালুতে আবার কিছুলোকজন তাদের স্থাপনা রক্ষার্থে ত্রিপল (ভাঙ্গন প্রতিরোধে ব্যবহার করতে দেখাযায়)। তবুও আশ্রয়কেন্দ্র যেতে চায়না।
লগগেইটে ঝুঁকিতে বসবাসরত হাজেরা, আমেনা, জাকির ও হোসেন আলী জানান, আমাদের ভোটে এমপি, উপজেলা চেয়ারম্যান ও ইউপি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়। কিন্ত আমাদের স্থায়ী বসবাসের জন্য মৌজা ও ঠিকানা করার মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে আসছে কিন্তু কোনটি বাস্তবায়ন করা হয় নাই। আমরা আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে চাই না মরলে এই পাহাড়ে ঢালুতি মরবো। না হয় আমাদের স্থায়ী ঠিকানা করে দিন।
কাপ্তাই ৪নং ইউপি পরিষদ ৫নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য ইমান আলী জানান, কাপ্তাইয়ের বিভিন্ন এলাকায় ৬ শতাধিক লোকজন মৃত্যুঝুঁকি নিয়ে পাহাড়ের ঢালুতে বসবাস করছে।
তবে প্রতিবছর বর্ষা মৌসুম আসলে প্রশাসনের পক্ষ হতে আশ্রয় কেন্দ্রে যেতে বালা হয়। কেউ যায় আবার কেউ যেতে চায়না। ঝুঁকিতে বসবাস কারীদের জন্য চিরস্থায়ীভাবে কাপ্তাইকে মৌজা বা স্থায়ী করার জন্য প্রশাসনের নিকট জোর দাবি জানান।