শিরোনাম
পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ পুনর্গঠনের দাবিতে রাঙ্গামাটিতে বিক্ষোভ-সমাবেশ ডিসেম্বরে বাংলাদেশ-ভারত বৈঠকের প্রস্তুতি, হাসিনার প্রত্যর্পণ নিয়ে আলোচনার সম্ভাবনা বিচারের পর আ.লীগকে নির্বাচনে স্বাগত জানানো হবে-টাইম ম্যাগাজিনকে ড. ইউনূস আগামী নির্বাচন নিয়ে দিল্লি ভয়ংকর পরিকল্পনা করছে: জাগপা নেতা রহমত নতুন সিইসি নাসির উদ্দীনের নাম ছিল বিএনপির তালিকায় নাসির উদ্দীনকে সিইসি করে নির্বাচন কমিশন গঠন ‘জনগণ যাতে ক্ষমতার মালিক হতে পারেন তেমন দেশ গড়তে চাই’ রাঙ্গামাটির কাপ্তাই অটল ছাপ্পান্ন আয়োজনে সশস্ত্র বাহিনী দিবস উদযাপন খালেদা জিয়াকে সেনাকুঞ্জে আনতে পেরে আমরা গর্বিত : প্রধান উপদেষ্টা সেন্ট মার্টিনে পর্যটন নিয়ন্ত্রণে কমিটি, অ্যাপস থেকে পাস

কুমিল্লায় গোমতির বাঁধ ধসে লোকালয় প্লাবিত, আশ্রয়ের খোঁজে দিশাহারা মানুষ

রিপোর্টার
  • আপডেট সময় শুক্রবার, ২৩ আগস্ট, ২০২৪
  • ৬০ দেখা হয়েছে

ডেস্ক রির্পোট:- বাঁধের বিভিন্ন স্থানে ভাঙনের আতঙ্কে কয়েক দিন ধরে নির্ঘুম রাত কাটছে কুমিল্লার গোমতি নদীতীরের বাসিন্দাদের। বিভিন্ন মসজিদ থেকে দেওয়া হচ্ছিল সতর্ক থাকার ঘোষণা। সেই আশঙ্কা সত্যি হলো, নেমে এলো ভয়াবহ দুর্ভোগ!

গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১২টার দিকে বুড়িচং উপজেলার বুড়বুড়িয়া এলাকায় বাঁধ ধসে গিয়ে লোকালয় প্লাবিত হয়েছে। পানি ঢুকে পড়েছে বুড়িচং উপজেলার ষোলনল, পীরযাত্রাপুর, ভরাসার, বুড়িচং সদর, বাকশিমুল, রাজাপুরসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের লোকালয়ে। রাতে আতঙ্কিত মানুষ দিগ্‌বিদিক ছুটোছুটি শুরু করে। অনেককে গোমতি বাঁধের ওপরে আসবাবপত্র ও গবাদি পশু নিয়ে অবস্থান নিতে দেখা গেছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড, কুমিল্লার নির্বাহী প্রকৌশলী খান মোহাম্মদ ওয়ালীউজ্জামান বাঁধ ধসে যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘টানা বৃষ্টি ও ভারতীয় ঢলের পানি বেড়েছে কুমিল্লার গোমতি নদী ও খালগুলোতে। রুদ্রমূর্তি ধারণ করেছে এই নদী। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে বুড়বুড়িয়ায় বাঁধে ধস নামার আগ পর্যন্ত বিপৎসীমার ১৩২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে নদীর পানি প্রবাহিত হয়েছে।’

খান মোহাম্মদ ওয়ালীউজ্জামান জানান, গতকাল রাত সাড়ে ১২টার দিকে নগরীর সংরাইশ-টিক্কারচর এলাকায় গোমতি নদীর বাঁধের অংশে গর্ত দিয়ে পানি প্রবেশ করছে বলে স্থানীয় মসজিদে ঘোষণা আসে। পরে এলাকাবাসী যে যার মতো করে বালুর বস্তা নিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ স্থানগুলোতে ফেলে দেয়। অন্যদিকে কটকবাজার, আড়াইওড়া, চাঁনপুর, মুরাদনগর ও দেবীদ্বারের বিভিন্ন স্থানে বাঁধের গর্ত ও ফাটল দিয়ে পানি প্রবেশ করছে এমন খবর মাইকে প্রচারিত হলে, স্থানীয়রা নিজ উদ্যোগে রাত জেগে সেগুলো মেরামত করেন।

তবে, অনেক জায়গায় গুজব ছড়ানোর কথা জানা যায় বলেও জানান তিনি।

বুড়িচং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাহিদা আক্তার বলেন, ‘গোমতি নদীর বুড়িচং উপজেলার ষোলনল ইউনিয়নের বুড়বুড়িয়া অংশে বাঁধ ভেঙে পানি প্রবেশ করছে। পানির প্রবল প্রবাহের কারণে বাঁধ আরও ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। অবস্থা আরও খারাপের দিকে যাচ্ছে। তাই সবাইকে নিরাপদে চলে যাওয়ার জন্য বারবার অনুরোধ করছি।’

এ দিকে কুমিল্লা সদর, মুরাদনগর ও দেবীদ্বার উপজেলার নদী তীরবর্তী চরাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে শত শত বাড়িঘর পানিতে তলিয়ে গেছে। বিপাকে পড়েছে হাজার হাজার মানুষ। এ ছাড়া ভারতের ঢলে প্লাবিত হয়ে চৌদ্দগ্রাম উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নের ২ লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে আঞ্চলিক সড়ক যোগাযোগ।

গোমতীর পানি বিপৎসীমার ওপরে প্রবাহিত হওয়ায় কুমিল্লা সদর উপজেলার কটকবাজার থেকে দাউদকান্দি পর্যন্ত ৮৫ কিলোমিটার গোমতী বাঁধের দুর্বল অংশ ভেঙে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। গোমতির বিভিন্ন অংশে ক্ষতিগ্রস্ত ও ঝুঁকিপূর্ণ স্থানগুলো স্থানীয়দের বালুর বস্তা দিয়ে মেরামত করতে দেখা গেছে।

কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার বুড়বুড়িয়া এলাকা প্লাবিত হওয়ায় নিরাপদ আশ্রয়ে যাচ্ছেন মানুষ। ছবি: সংগৃহীতকুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার বুড়বুড়িয়া এলাকা প্লাবিত হওয়ায় নিরাপদ আশ্রয়ে যাচ্ছেন মানুষ। ছবি: সংগৃহীত
কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রোমেন শর্মা বলেন, ‘কুমিল্লার গোমতী নদীর পানি বৃহস্পতিবার রাত ১২টা পর্যন্ত সদর উপজেলার অংশে বিপৎসীমার ১৩২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। জনসাধারণকে নিকটবর্তী আশ্রয়কেন্দ্রে চলে যাওয়ার জন্য মাইকিং করে সতর্ক করা হয়েছে। অনেকে আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান নিয়েছে। সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।’

এ বিষয়ে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) পঙ্কজ বড়য়া বলেন, ‘টানা বৃষ্টি ও ভারতীয় উজানের পানি জেলার ১৭ উপজেলায় কম-বেশি প্রবাহিত হচ্ছে, যা এখনো অবনতির দিকে। ইতিমধ্যে জেলায় ৫৮৭টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এতে প্রায় ২০ হাজারের মতো লোক আশ্রয় নিয়েছে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ১৭০ মেট্রিকটন চাল ও নগদ ১২ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।’

পানিবন্দী অসহায়দের মধ্যে খাদ্যসহায়তা দিচ্ছে বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠন। সেনাবাহিনী, জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, ফায়ার সার্ভিসের লোকজন মাঠে কাজ করছেন।আজকের পত্রিকা

পোস্টটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো
© All rights reserved © 2023 Chtnews24.com
Website Design By Kidarkar It solutions