বান্দরবান:- বান্দরবানে নৈরাজ্য সৃষ্টির উদ্দেশ্যে সরকারি বেসরকারি সম্পদ ক্ষতিসাধনসহ বেআইনিভাবে মারাত্মক অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে প্রাণনাশের হুমকি প্রদান এবং অপরাধ সংঘটনের উদ্দেশ্যে ককটেল বিস্ফোরণের দায়ে বান্দরবান জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ক্যশৈহ্লা ও সাধারণ সম্পাদক লক্ষীপদ দাশসহ ২৮ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। এছাড়াও অন্তত ১০০-১২০ জনের অজ্ঞাত নামা মামলা করা হয়।
বুধবার (২২ আগস্ট) দুপুরে মামলার বাদি হয়ে থানায় এজাহার দায়ের করেন মো. শামীম হোসেন নামে এক ব্যক্তি।
তিনি পৌর শহরে ৭নং ওয়ার্ডের শেরে বাংলা নগরে ওয়াবদা ব্রিজ এলাকার বাসিন্দা।
আসামীরা হলেন- মোজাম্মেল হক বাহাদুর, অমল কান্তি দাশ, সৌভর দাশ শেখর, চৌধুরী প্রকাশ বড়ুয়া, রাজু বড়ুয়া, ফারুক আহম্মেদ ফাহিম, উমর ফারুক, হাকিম, আবু তৈয়ব চৌধুরী, মোহাম্মদ আরিফ, মো. তারেকুল ইসলাম, কাঞ্চন তংঞ্চঙ্গ্যা, রাশেদ চৌধুরী, অজিত কান্তি দাশ, মো. মহিউদ্দিন, আকাশ চৌধুরী, সাদ্দাম হোসেন, কাউন্সিলর উমর ফারুক, রফিকুল ইসলাম, আলমগীর ড্রাইভার, নুর মোহাম্মদ কালু, মোহাম্মদ নুরু, মো. হানিফ, আক্কাস আলী, আবু তাহের ওরফে মুরগী তাহের, মো. ইসমাইলসহ অজ্ঞাতনামা আরো ১০০-১২০ জন রয়েছে।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, গত ১৬ জুলাই বিকেলে বান্দরবান প্রেসক্লাবের সামনে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে একটি মানববন্ধন আয়োজন করেন। এসময় অভিযুক্ত আসামীরা প্রত্যেকে বিভিন্ন ধরনের দেশীয় ও আগ্নেয়াস্ত্রে সুসজ্জিত হয়ে এবং ককটেল হাতে নিয়ে মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারী ছাত্র জনতাকে হামলার চেষ্টা করে। এছাড়াও ছাত্র জনতাকে মিথ্যা মামলা দেয়ার হুমকি প্রদান করা হয় বলে মামলা এজাহারের উল্লেখ করা হয়।
এজাহারে আরো বলা হয়, মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারী ছাত্র জনতাকে উদ্দেশ্য করে প্রাণ নাশের হুমকি প্রদান করে ছাত্র জনতার উপর আক্রমণের চেষ্টা করলে উপস্থিত ছাত্র-জনতা উক্তরূপ আচরণ না করার জন্য অনুরোধসহ ছাত্র জনতার শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন পালনে সহযোগিতা করার অনুরোধ করেন। তারা কোনরূপ কর্নপাত না করে আরো বেশি ক্ষিপ্ত হয়ে ছাত্র জনতাকে ছত্র ভঙ্গ করার জন্য ক্যাশৈহ্লা, মোজাম্মেল হক বাহাদুর, অমল কান্তি দাশ, সৌভর দাশ শেখর, চৌধুরী প্রকাশ বড়ুয়াদের নির্দেশে প্রত্যেকে তাদের হাতে থাকা একটি করে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ঘটনাস্থলে নৈরাজ্য পরিস্থিতি সৃষ্টি করে এবং একপর্যায়ে আসামিগণ মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারী ছাত্রজনতার উপর দেশীয় অস্ত্র-সন্ত্র নিয়ে এলোপাতাড়িভাবে হামলা করে।
অভিযুক্ত আসামি শৌরভ দাশ শেখর ও চৌধুরী প্রকাশ বড়ুয়া তাদের হাতে থাকা লোহার রড দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে ভিকটিম মো. মনির উদ্দিনকে আঘাত জখম করেন বলে এজাহার করা হয় উল্লেখ করা হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) আব্দুল করিম বলেন, আওয়ামী লীগের ২৮ নেতা কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। আমরা সেটি আমলে নিয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।