বান্দরবান:- প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী সারাদেশের ন্যায় বান্দরবান জেলার সাত উপজেলার চেয়ারম্যান তাদের পদ হারিয়েছেন। সাত উপজেলা মধ্যে পাঁচ উপজেলা চেয়ারম্যান আওয়ামীলীগের নেতা ও দুই উপজেলা বিএনপি নেতা।
রবিবার (১৮ আগস্ট) স্থানীয় সরকারের উপ-সচিব আকবর হোসেনের স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ জারি করা হয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, উপজেলা পরিষদ (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৪ এর ধারা ১৩ (ঘ) প্রয়োগ করে বাংলাদেশের নিম্নবর্ণিত উপজেলা পরিষদে স্ব স্ব পদ হতে অপসারণ করা হলো।
রোয়াংছড়ি উপজেলার বর্তমান নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান চহ্লামং মারমা। তিনি উপজেলার আওয়ামীলীগের সভাপতি হিসেবে দ্বায়িত্বে রয়েছেন। এর আগে তিনি সাংবাদিকতা পেশায় ছিলেন। রুমা উপজেলার চেয়ারম্যান উহ্লাচিং মারমা। তিনি উপজেলার আওয়ামীলীগের উপদেষ্টা দ্বায়িত্বে ছিলেন।
থানচি উপজেলার চেয়ারম্যান দ্বায়িত্ব পালন করছেন থোয়াই হ্লামং মারমা। তিনি উপজেলার আওয়ামীলীগের সভাপতি। তার বিরুদ্ধে পাহাড় কাটা ও দলীয় কার্যালয় দখলে অভিযোগ ছিল। লামা উপজেলা বর্তমান চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল। তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি। তার বিরুদ্ধে নির্বাচনের ভোট কারচুপির করার অভিযোগ রয়েছে। আলীকদম নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান জামাল উদ্দিন। তিনি উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি পদে রয়েছে। তিনি কোন অনুমতি কাগজ পত্র ছাড়া অবৈধভাবে ইটভাটা ব্যবসা করছেন।
সদর উপজেলা নর্বনির্বাচিত চেয়ারম্যান মো. আব্দুল কুদ্দুছ। তিনি বিএনপি একজন সংক্রিয় কর্মী। সর্বশেষ নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার চেয়ারম্যান তোফায়েল আহমেদ। তিনি একজন বিএনপি সংক্রিয় কর্মী।
এদিকে আওয়ামীলীগ ক্ষমতা থাকাকালীন পাঁচ উপজেলার চেয়ারম্যান বিভিন্ন খাত থেকে অর্থ অপব্যবহার করে রাজনৈতিক দলের জন্য সমাবেশ করতেন। এছাড়াও বিভিন্ন সাধারণ মানুষকে ব্যবহার করে ভিজিএফ, ভিজিআই টনের উপর টন গম ও চাউল এনে আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে এই জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক শাহ মোহাজিদ উদ্দিন বলেন, আমরা পুরো জেলায় মেয়র অপসারণের একটা গেজেট পেয়েছি। তবে প্রশাসনের পক্ষ থেকে কাকে নিয়োগ দেয়া হবে সে ব্যাপারে এখনো নির্দেশনা আসেনি। যদি নির্দেশনা আসে তখন কাকে নিয়োগ দেয়া হবে সেই ব্যাপারে পরে বিস্তারিত বলা যাবে।