ডেস্ক রির্পোট:- সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলন থেকে সরকার পতন আন্দোলন। শিক্ষার্থীদের দমনে সরকারের হয়ে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছে পুলিশ। ফলে একদিকে পুলিশের গুলিতে আন্দোলনকারী ও সাধারণ মানুষের যেমন মৃত্যু হয়েছে। তেমনি বিক্ষুব্ধ জনতার হামলায় বহু পুলিশ সদস্য হতাহত হয়েছেন। যার মধ্যে ৪২ জন পুলিশ সদস্য প্রাণ হারিয়েছেন। শত শত পুলিশ সদস্য নানাভাবে আহত হয়েছেন। রোববার রাজধানীর পল্টনে রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে চিকিৎসাধীন পুলিশ সদস্যদের চিকিৎসার খোঁজ খবর নেওয়া শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মো. ময়নুল ইসলাম এসব কথা বলেন।
নিহত ও আহত পুলিশ সদস্যদের বিষয়ে জানতে চাইলে আইজিপি বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলন দমন করতে গিয়ে ছড়িয়ে পড়া সহিংসতার ঘটনায় বিক্ষুব্ধ জনতার হামলায় পুলিশের বিভিন্ন পদমর্যাদার ৪২ পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে দুজন র্যাব সদস্য রয়েছেন। এছাড়া বহু আহত রয়েছেন। তাদের মধ্যে রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালেই ৫০৭ জন চিকিৎসা নিয়েছেন।
এছাড়া হামলায় গুরুতর আহত ২৭ জন পুলিশ সদস্য ভর্তি রয়েছেন। যার মধ্যে একজন আইসিইউতে আছেন। আহতদের চিকিৎসার জন্য সর্বোচ্চ চিকিৎসা সেবা দিচ্ছি। পাশাপাশি আহতদের পরিবারকে মানসিকভাবে সাপোর্ট ও আশ্রয়ের ব্যবস্থা করেছি।
তিনি আরও বলেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার সঙ্গে পুলিশকে কাজে ফেরানো নিয়ে আমরা দীর্ঘ আলোচনা করেছি। প্রাথমিকভাবে আমরা ভিআইপি সড়কে ট্রাফিক পুলিশের সদস্যরা কাজ শুরু করেছি। ইন্টারকন্টিনেন্টাল মোড় থেকে শুরু করে জাহাঙ্গীর গেট পর্যন্ত আমাদের ট্রাফিক সদস্যরা কাজ শুরু করেছে। আমার ট্রাফিক জনবলের সমস্যা নেই। তবে যে সমস্যা রয়েছে তা হলো-একটি ভীতি কাজ করছে। আমরা এটি কাটিয়ে উঠতে ছাত্রদের অনেকেই কাজ করছে। ভিআইপি রোডে বেশি করে ট্রাফিক পুলিশ দিয়েছি। তাদের পাশাপাশি শিক্ষার্থীরা রয়েছে, স্কাউট ও বিএনসিসি রয়েছে। এছাড়াও কোনো ভুল বোঝাবুঝি যেন না হয় এ জন্য আমরা ছাত্রদের সমন্বয়কদের সঙ্গেও যোগাযোগ রাখছি।