ডেস্ক রির্পোট:- চট্টগ্রামে ‘বউত দিন হাইয়ো, আর না হাইয়ো’ শ্লোগানে ব্যাপক বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থীরা। শুক্রবার (২ আগস্ট) দুপুর ২টার দিকে নগরের কোতোয়ালি থানার আন্দরকিল্লা মসজিদ এলাকা থেকে শুরু হয়ে কয়েক কিলোমিটার সড়ক প্রদক্ষিণ করে চান্দগাঁও থানার বহদ্দারহাট মোড়ে গিয়ে বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে মিছিলটি শেষ হয়।
আন্দরকিল্লা মোড়ে ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’ স্লোগানে শুরু হয় মিছিল। মিছিলের একেবারে শেষে বহদ্দারহাট মোড়ে বিকেল ৫টার দিকে একদল শিক্ষার্থীকে ‘বউত দিন হাইয়ো, আন না হাইওয়ো’ (অনেক দিন খেয়েছো, আর না) স্লোগান দিতে দেখা যায়। আঞ্চলিক ভাষার স্লোগানটি বেশ চট্টগ্রামজুড়ে আলোচিত। মূলত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-১৫ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী এম এ মোতালেব চৌধুরীর সমর্থনে আয়োজিত এক জনসভায় এটি দিয়েছিলেন এক আওয়ামী লীগ নেতা। প্রতিপক্ষ নৌকা প্রতীকের পদপ্রার্থী আবু রেজা মোহাম্মদ নেজাম উদ্দিন নদভীকে উদ্দেশ্য করে স্লোগানটি দেওয়া হয়েছিল।
এছাড়া নির্বাচনের প্রচারণায় সাতকানিয়া-লোহাগাড়া উপজেলায় স্লোগানটি বেশ সাড়া ফেলে। পরবর্তীতে ফেসবুকেও চট্টগ্রামজুড়ে এটি ছড়িয়ে পড়ে। দীর্ঘদিন পর আজ (শুক্রবার) বিকেলে বহদ্দারহাট মোড়ে একদল শিক্ষার্থীকে স্লোগানটি দিতে দেখা যায়। আন্দোলনকারীদের একজন ফেসবুকে এ ভিডিওটি পোস্টও করেছেন।
জানা গেছে, আন্দরকিল্লা মসজিদে জুমার নামাজ শেষেই শিক্ষার্থীরা বের হয়। প্রথমে শিক্ষার্থীদের পুলিশ বাধা দেওয়ার চেষ্টা করে। তবে শিক্ষার্থীরা স্লোগান দিয়ে মিছিল শুরু করে দেয়। প্রথমে মিছিলটি কোতোয়ালি হয়ে নিউমার্কেট মোড়ে অবস্থান নেয়। এরপর মিছিলটি টাইগারপাস এলাকা দিয়ে ওয়াসা মোড়ে পৌঁছে। সেখান পুলিশ থাকায় উত্তেজনা শুরু হয়। তবে শেষপর্যন্ত সংঘর্ষ হয়নি। পরে পুলিশের সাঁজোয়া যানে ঢিল ছুড়ে শিক্ষার্থীরা। ধাওয়ায় এটি কিছুটা দূরে সরে গেলে শিক্ষার্থীরা ওয়াসা মোড়ে পুলিশ বক্স ভাঙচুর করে। ওইসময় পাশে ছাত্রলীগ অবস্থান করছিল। শিক্ষার্থীরা ধাওয়া দিলে তারা পার্শ্ববর্তী বাগমনিরাম গলির ভেতরে চলে যায়।
এরপর মিছিলটি জিইসি মোড়ের দিকে এগোতে থাকে। ওয়াসা মোড় থেকে কয়েকশো গজ দূরে সড়কের পাশেই অবস্থিত চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের কার্যালয় এবং পুলিশ লাইন। শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে যাওয়ার পথে সেখানে প্রবেশের চেষ্টা করে। তবে শিক্ষার্থীদেরই একটি পক্ষের বাধায় সেখানে ঢুকেনি তারা। এরপর মিছিলটি জিইসি, ২ নম্বর গেট, ষোলশহর রেলস্টেশন, মুরাদপুর ও শোলকবহর হয়ে বহদ্দারহাট অবস্থান নেয়।