মোস্তফা কামাল:- আদালতের মাধ্যমে নয়, আবারও নির্বাহী আদেশে জামায়াতে ইসলামী নিষিদ্ধ। সঙ্গে তাদের ছাত্রসংগঠন ইসলামী ছাত্রশিবিরও। সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার জামায়াতের রাজনীতি নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। প্রজ্ঞাপন জারির পর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, নিষিদ্ধের পরও রাজনীতি করলে জামায়াতকে মোকাবিলা করা হবে। আর আইনমন্ত্রী বলেছেন, এই দলটির সঙ্গে সম্পৃক্তদের বিষয়ে পর্যালোচনা করে আইনগত ব্যবস্থা নেবে সরকার। আবার যাকে-তাকে সবাইকে জামায়াত বলতেও বারণ করা হয়েছে। জামায়াত বহুদিন ধরে এক প্রকার নিষিদ্ধই। নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধন বাতিল করায় দল হিসেবে দলটি ফিটনেস হারায়। তবে, রুট পারমিট নিয়ে চলেছে। গেল বছর ২৮ অক্টোবর রাজধানীর মতিঝিলে এই শোডাউন ছিল রাজনৈতিক দল হিসেবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর শেষ কর্মসূচি। নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দাবিতে বিএনপির মহাসমাবেশের দিন আগেভাগেই নির্বিঘ্নে রাজধানীর আরামবাগে কর্মসূচি শেষ করে জামায়াতে ইসলামী।
২০০৮ সালের নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর শুরু হয় যুদ্ধাপরাধের বিচার। সেই বিচারে ২০১৫ ও ’১৬ সালে জামায়াতের তখনকার আমির মতিউর রহমান নিজামী, সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদসহ শীর্ষ নেতাদের ফাঁসির রায় কার্যকর করা হয়। আর গোলাম আযম ও মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেওয়া হলে, বন্দি অবস্থাতেই মৃত্যু হয় তাদের। এরপর থেকে একেবারে কোণঠাসা হতে হতে এখন আবার নিষিদ্ধের খাতায়। এর মধ্যে উচ্চ আদালতের রায়ে ২০১৩ সালে জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল করে নির্বাচন কমিশন। হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হলে সুপ্রিম কোর্ট ২০২৩ সালের ১৯ নভেম্বর জামায়াতের আপিল খারিজ করে দেন। ফলে দলটির নিবন্ধন বাতিলের সিদ্ধান্তই বহাল থাকে। সাম্প্রতিককালে কোটা আন্দোলনে সংঘাতের মধ্যে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলের বৈঠকে জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত হয় এবং তা দ্রুত কার্যকর করা হলো।
এমন ঝক্কি-ঝামেলা এবং প্রয়োজনে নাম পাল্টানোতে এক্সপার্ট জামায়াতে ইসলামী। নিষিদ্ধ হয়ে আবার ফাঁকফোকরে সিদ্ধ হওয়ার অভিজ্ঞতাও আছে দলটির। ওই ইতিহাস ও অভিজ্ঞতার আলোকে সামনে আবারও নাম বদলের প্রাকপ্রস্তুতি নিয়েই রেখেছে জামায়াত। ইসিতে বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টি-বিডিপি নামে একটি আবেদন করাই আছে। তবে, বিডিপির সঙ্গে সম্পৃক্ততা স্বীকার করছে না জামায়াত। আবার বিডিপি নেতারাও স্বীকার করছেন না তারা জামায়াত-শিবির সম্পৃক্ত। এর আগে, জামায়াতে ইসলামী ও ছাত্রশিবিরের একটি গ্রুপ নিজেদের সংস্কারপন্থি ও স্বাধীনতার পক্ষের তথা একাত্তরের আগে-পরে জন্ম নেওয়া দাবি করে ২০২০ সালের ২ মে ‘আমার বাংলাদেশ পার্টি’-এবি পার্টি নামে একটি দল গঠন করে। তাদেরও নিবন্ধনের জন্য ইসিতে আবেদন করা আছে। তাদের সাংগঠনিক কাজ বেশি হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, সৌদি আরব ও মালয়েশিয়ায়। দলের নাম বদল বা নিষিদ্ধ অবস্থা উতরাতে এই দলটি অতীতে কয়েক দফায় এমন কৌশলই নিয়েছে। এ চর্চা তারা পাকিস্তান আমলেও করেছে। তা সেই সাইয়েদ আবুল আ’লা মওদুদীর অভিভাবকত্বে ১৯৪১ সালের ২৬ আগস্ট লাহোরের ইসলামিয়া পার্কে জামায়াতে ইসলামী হিন্দ নামে জন্মের পর থেকেই।
একাত্তরে দেশ স্বাধীনের পর বঙ্গবন্ধু সরকার জামায়াতকে রাজনীতিতে নিষিদ্ধ করে। দলটির নেতারা তখন গা-ঢাকা দেন। দেশও ছাড়েন কেউ কেউ। পাকিস্তান চলে যান গোলাম আযমসহ কয়েকজন। পরে গোলাম আযম বাংলাদেশে ফিরলে ১৯৭৯ সালের মে মাসে গঠন হয় জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ। ভারপ্রাপ্ত আমির করা হয় আব্বাস আলী খানকে। আশির দশকে তাদের আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। আওয়ামী লীগ-বিএনপির সমান্তরালে এরশাদবিরোধী আন্দোলনে ফ্যাক্টর হয়ে ওঠে। নানা কায়দা-কানুনে বৃহৎ দু’দল ও তিন-দলীয় জোটকে ফলো করে এগিয়ে যায় অনেকদূর। আওয়ামী লীগের পিছু নিয়ে ছিয়াশিতে এরশাদের অধীনে নির্বাচনে গিয়ে ১০ আসনে জিতে পুরোদমে মিশে যায় সংসদীয় রাজনীতির স্রোতে। আবার ওই সংসদ থেকে পদত্যাগ প্রশ্নে আওয়ামী লীগকে পেছনে ফেলে ১৯৮৭ সালের ৩ ডিসেম্বর পদত্যাগে ফার্স্ট হয়ে যায়।
এরশাদ পতনের পর বিএনপির সঙ্গে নেপথ্য বোঝাপড়ায় একানব্বইয়ের সংসদ নির্বাচনে ১৮ আসনে জিতে অবস্থান আরও পোক্ত করে জামায়াত। সরকার গঠনে বিএনপিকে সমর্থন জুগিয়ে দুটি সংরক্ষিত আসনও নেয়। এর বছর কয়েকের মাথায় চলে যায় বিএনপির বিরুদ্ধে। কেয়ারটেকার সরকার ফর্মুলা নিয়ে আন্দোলনের মাঠ গরমে নেমে বাড়তি নজর কাড়ে। আওয়ামী লীগ-জাতীয় পার্টির সঙ্গে জোট না হলেও বিএনপির বিরুদ্ধে ত্রিদলীয় লিয়াজোঁ কমিটিভুক্ত হয়ে গণতান্ত্রিক আন্দোলনে শরিকানা নেয়। তবে, নির্বাচনের মাঠে একা একা সাফল্য পায়নি। ছিয়ানব্বইয়ের নির্বাচনে সংসদে সিট নেমে আসে মাত্র তিনটিতে। এরপর আওয়ামী লীগ বিরোধী হয়ে আবার মিত্রতা বিএনপির সঙ্গে। স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধুর দল আওয়ামী লীগের ছোঁয়া ও মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমানের দল বিএনপির পরশের মধ্য দিয়ে জামায়াত নিজেদের আরও ফ্যাক্টর করে তোলে। ২০০১ সালে একেবারে ঘোমটা খুলে বিএনপির জোটসঙ্গী। ১৭ সিটে জিতে দুই মন্ত্রিত্ব নিয়ে সরাসরি রাষ্ট্রক্ষমতায়।
একেক সময় একেক ভূমিকা তাদের বৈশিষ্ট্যের মতো। পাকিস্তানপন্থি নামে পরিচিত জামায়াত এক সময় ভারতের মুসলমানদের জন্য আলাদা রাষ্ট্র হিসেবে পাকিস্তান সৃষ্টির বিরোধিতা করেছে। আবার ছেচল্লিশের নির্বাচনে মুসলিম লীগের বিরোধিতা করেছে। বাষট্টিতে আইয়ুব খানের মুসলিম পরিবার আইন অধ্যাদেশের বিরোধিতাও করেছে। দুই বছর পর চৌষট্টির ৪ জানুয়ারি জামায়াতের রাজনীতির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি হয়। গ্রেপ্তার করা হয় মওদুদীসহ জামায়াতের ৬০ নেতাকে। এর মধ্যে ছিলেন গোলাম আযমসহ পূর্ব পাকিস্তানের ১৩ জন জামায়াত নেতা। ওই বছর অক্টোবরেই আবার নিষেধাজ্ঞাটি উঠে যায়। ওই জামায়াতই আইয়ুব খানের সামরিক আইন ঘোষণার সময় পাকিস্তানে গণতান্ত্রিক আন্দোলনে অংশ নেয়। পঁয়ষট্টিতে সর্বদলীয় গণতান্ত্রিক জোটেও যায়। এভাবে তারা সময়ে-সময়ে সবদিকে থাকে। আবার বিরোধিতাও করে। সেই ধারাবাহিকতা স্বাধীন বাংলাদেশেও। জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ থেকে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী হওয়ার মধ্য দিয়ে নাম বদল তো ২০০৮ সালে আরেকবার করেছেই দলটি। এখানে ছাত্রশিবিরের আদি নামটি খুব প্রাসঙ্গিক। এটিও একটি পরিবর্তিত নাম। একাত্তরে জামায়াতের মূলশক্তি ছিল ইসলামী ছাত্রসংঘ। সাতাত্তরের ৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে মীর কাসেম আলীকে সভাপতি ও মোহাম্মদ কামারুজ্জামানকে সাধারণ সম্পাদক করে তা হয়ে যায় ‘বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির’।
কথাচ্ছলে বলা হয়ে থাকে, রাজনীতিতে ধর্মের জায়গা নেই। ধর্মেও রাজনীতির সুযোগ নেই। কিন্তু বাস্তবে আছে। বাংলাদেশে তা আরও বেশি আছে। জামায়াত নিয়ে কথা হলেও ধর্মীয় রাজনীতির বিষয়টি উপেক্ষিত। বাংলাদেশের সংবিধানের প্রস্তাবনায় রাষ্ট্র পরিচালনার চার মূলনীতি হচ্ছে— জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতা। নীতিগুলো রক্ষা ও বাস্তবায়নে সংবিধানে কিছু রক্ষাকবচও আছে। সংবিধান ও আইনে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের অধিকার সংরক্ষণের কথা রয়েছে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে। ধর্মনিরপেক্ষতার আলাদা সংজ্ঞা সংবিধানে না থাকলেও সংবিধানের ১২ অনুচ্ছেদে একটি ধারণা রয়েছে। সেখানে ধর্মনিরপেক্ষতা ও ধর্মীয় স্বাধীনতার বিষয়ে বলা নিয়ে হয়েছে—‘সর্বপ্রকার সাম্প্রদায়িকতা, রাষ্ট্র কর্তৃক কোনো ধর্মকে রাজনৈতিক মর্যাদা দান, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ধর্মীয় অপব্যবহার, কোনো বিশেষ ধর্ম পালনকারী ব্যক্তির প্রতি বৈষম্য বা তাহার ওপর নিপীড়ন বিলোপ করা হইবে।’ তার মানে ধর্মকে ব্যক্তিগত পর্যায়ে রাখা। মোটেই রাজনীতিতে না রাখা। বাস্তবে এর ধারেকাছেও আছে বাংলাদেশ?
বাহাত্তরের সংবিধানে রাষ্ট্রীয় নীতি হিসেবে ধর্মনিরপেক্ষতার সংযোজন ছিল একটি উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি। ধর্মভিত্তিক সাম্প্রদায়িক রাজনৈতিক দলও নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। কিন্তু পঁচাত্তরের পর ধাপে ধাপে উল্টো অভিযাত্রা, সংবিধান সংশোধন করে ধর্মনিরপেক্ষতার নীতি বাতিল। জিয়াউর রহমানের আমলে ‘বিসমিল্লাহ’ সংযোজন। এরপর এরশাদ আমলে ইসলামকে রাষ্ট্রধর্ম ঘোষণা। ধীরে ধীরে রাজনীতির সঙ্গে ধর্মের এ মিশেলে ইসলামযুক্ত কত দল! জামায়াতে ইসলামী ছাড়াও রয়েছে ইসলামী আন্দোলন, ইসলামী ঐক্যজোট, ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলন, হেফাজতে ইসলাম, ওলামায়ে ইসলামসহ ডজনে ডজনে ধর্মীয় সংগঠন। হিন্দু জোট, হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান মিলিয়েও সংগঠন আছে। এর মধ্যেই হাস্যকরভাবে উচ্চারিত হয় ‘সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি’র কথা। সম্প্রীতি মানে মিলেমিশে একজন আরেকজনের ধর্ম পালন করা? মুসলিম, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান যে যার মতো তার ধর্ম ঠিকমতো পালন করলে ‘সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি’ বা ‘সাম্প্রদায়িক সহাবস্থান’ এমনিতেই হয় যায়। কিন্তু রাজনৈতিক চোরাবালিতে প্রীতি, সম্প্রীতি, সহাবস্থান শুধু বলার জন্যই বলা।
রাষ্ট্রকে ধর্মনিরপেক্ষ না করে, ধর্মীয় রাজনীতি নিষিদ্ধ না করে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির সবক নেহায়েত মশকরা মাত্র। এই মশকরা-তামাশা এখন দলে দলে। ধর্ম স্পর্শকাতর বিষয় হওয়ায় ধর্মীয় অনুভূতিকে রাজনৈতিক সুবিধা আদায়ের চেষ্টায় এখন কেউ কারও চেয়ে পিছিয়ে থাকছে না। একসময় আওয়ামী লীগ এ নিয়ে ছিল সোচ্চার কণ্ঠ। দিনে দিনে তারা এখন ধর্মীয় বিষয়ে যারপরনাই তাগড়া। শুধু বিসমিল্লাহ নয়, দলটি আউজুবিল্লাহসহ ধর্মীয় চর্চা করে চলছে। তারা কত ইবাদতি, তাহাজ্জুদসহ কত নামাজি, আমলি তা জানান দেয়। ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ নৌকার মালিক তুই আল্লাহ, নুহ নবীর নৌকাসহ কত কথা ও স্লোগান আছে তাদের। বিএনপির কবজা থেকে বিসমিল্লাহির সোল এজেন্সি অনেকটা হাইজ্যাক করে ফেলেছে তারা। ইসলামকে রাষ্ট্রধর্ম বানানোর ক্রেডিট দাবি করে একটা এক্সট্রা প্রিভিলেজের হকদার জাতীয় পার্টি। আল্লাহ আর পাল্লা মিলিয়ে স্লোগান বানানোসহ একসময় যা করত জামায়াতে ইসলামী। ‘হাতপাখায় ভোট দিলে নবী মোহাম্মদকে ভোট দেওয়া হবে’—ফতোয়া পীর চরমোনাইর ইসলামী আন্দোলনের নেতাকর্মীদের কাছে তসবিহ জপা ও জিকিরের মতো।
সাম্প্রদায়িক প্রবণতা যেখানে দৃশ্যমান, সেখানেই নেপথ্যে রাজনীতির যোগসূত্র। শিক্ষাবিদ, সংস্কৃতিকর্মী, নেতৃস্থানীয় নাগরিকরাও হাল বুঝে ফেলেছেন। মূল দল লাগে না, ওলামা লীগ-ওলামা দলের হুংকারেই দমে থাকেন তারা। বিশ্বের অন্য অনেক অঞ্চলের মতো দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশের রাজনীতিতেও ধর্ম এখন আগের যে কোনো সময়ের চেয়ে রাজনীতিতে বেশ পোক্ত। ধর্মকে সামনে রেখে শুধু রাজনীতি নয়, সহিংসতা, অসহিষ্ণুতা, সন্ত্রাসও জায়েজ করে ফেলছেন রাজনীতিকরা। বাংলাদেশের সংবিধানে ‘ধর্মনিরপেক্ষতা’ ফেরত এসেছে, রাষ্ট্রধর্ম ইসলামও ঠিক আছে। এমন সন্ধিক্ষণে বাংলাদেশে ধর্মভিত্তিক রাজনীতি অনেকটা জাতীয়করণের মতো। আওয়ামী লীগ-বিএনপি-জাতীয় পার্টি-জামায়াত বরাবরই সাম্প্রদায়িক বেনিফিশিয়ারি-অসংখ্য ঘটনায় তা প্রমাণিত। ধর্মের ব্যবহার-অপব্যবহারে কেউ কারও চেয়ে কম নয়। শুধু রাজনীতি নয়, সামাজিকতা এবং ব্যবসায়ও ধর্মের ক্রিয়াকর্ম দিন দিন বাড়বাড়ন্ত। নইলে সুদের বদলে মুনাফা বা লভ্যাংশ গিলিয়ে ব্যাংকগুলোকে শরিয়াহর গোঁজামিলে ফেলা সম্ভব হয় কীভাবে? লেখক: সাংবাদিক-কলামিস্ট,ডেপুটি হেড অব নিউজ, বাংলাভিশন