ডেস্ক রির্পোট:- কুমিল্লায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচি পালন করার সময় পুলিশ ও আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের পাল্টাপাল্টি সংঘর্ষ ও গুলির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় আহত হয়ে ছয়জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। চান্দিনায় এসি ল্যান্ডের গাড়িতে আগুন দেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।
আজ শনিবার সকালে কুমিল্লা জিলা স্কুলের সামনে শিক্ষার্থীরা জড়ো হয়ে প্রতীকী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করেন। তা ছাড়া নগরীর কান্দিরপাড় পূবালী চত্বরে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন আন্দোলনকারীরা। এ সময় বিভিন্ন স্লোগান দেন তাঁরা। খবর পেয়ে পুলিশ ও আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা ধাওয়া দিলে পূবালী চত্বর থেকে সরে নগরীর পুলিশ লাইন মোড়ে অবস্থান নেন বিক্ষোভকারীরা। এ সময় পুলিশ ও আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা ফাঁকা গুলি ছোড়ে।
ওই দিকে শিক্ষার্থীদের একাংশ নগরীর জিলা স্কুলের সামনে অবস্থান নেন। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত পুলিশ লাইন মোড়ে শিক্ষার্থীদের ওপর আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের হামলা চলছিল। নগরীর রাজগঞ্জ, পূবালী চত্বর, নিউমার্কেট এলাকা, ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ সড়ক, রানীরবাজার সড়কসহ বিভিন্ন মোড়ে অবস্থান নেন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। এসব সড়কে তাঁরা যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেন। এ ছাড়া নগরীর কান্দিরপাড় এলাকার সব মার্কেট ও দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়। নগরজুড়ে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে দায়িত্ব পালনরত ব্রাদার দুলাল চন্দ্র সূত্র ধর বলেন, গুলিবিদ্ধ ছয়জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। তবে সবাই শঙ্কামুক্ত।
এদিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন আন্দোলনকারীরা। এ সময় কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলা ভূমি কর্মকর্তার (এসি ল্যান্ড) গাড়িতে আগুন দেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। বিষয়টি নিশ্চিত করেন চান্দিনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সনজুর মোর্শেদ।
জানতে চাইলে উপজেলা ভূমি কর্মকর্তা (এসি ল্যান্ড) সৌম্য সরকার বলেন, ‘আমরা গাড়িতে করে চলে যাচ্ছিলাম। এ সময় পেছন থেকে গাড়িতে আগুন দেওয়া হয়। তখন আমরা তাড়াহুড়ো করে গাড়ি থেকে নেমে রক্ষা পাই। এ সময় গাড়িতে তিনজন কর্মচারী ছিলেন। অন্য একটি গাড়িতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ছিলেন। তিনিও গাড়ি থেকে নেমে আত্মরক্ষা করেন।’