ডেস্ক রিপোট:- কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে বিক্ষোভ এবং পরে সংঘাতে আহত আরও তিনজন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। তারা হলেন একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ইমতিয়াজ আহমেদ (২০), মাইন উদ্দিন (২৫) ও দোকানকর্মী মো. ইয়াছিন (১৭)।
ইমতিয়াজ গতকাল শুক্রবার ভোরে ও ইয়াছিন বেলা ১১টার দিকে এবং মাইন উদ্দিন বৃহস্পতিবার গভীর রাতে হাসপাতালে মারা যান। এ নিয়ে কোটা আন্দোলন ঘিরে সংঘাতে ২০৬ জনের মৃত্যুর খবর জানা গেল। বিভিন্ন হাসপাতাল সূত্র ও নিহতদের স্বজনের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য পাওয়া যায়।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া বলেন, ঢামেক হাসপাতালে মারা গেছেন দু’জন।
ঢামেক হাসপাতাল সূত্র ও স্বজনের তথ্যমতে, ইমতিয়াজ গত ১৯ জুলাই রামপুরা এলাকায় সংঘাতের সময় গুলিবিদ্ধ হন। এর পর ঢামেক হাসপাতালে তাঁকে ভর্তি করা হয়। তাঁর গ্রামের বাড়ি যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলায়। বাবার নাম নওশের আলী। তেজগাঁও এলাকার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ইমতিয়াজ বনশ্রী এলাকার একটি মেসে থাকতেন। বাবা নওশের আলী জানান, দুই ভাইবোনের মধ্যে ইমতিয়াজ ছিলেন বড়।
নিহত মাইন উদ্দিনের মা মাহফুজা বেগম জানান, তাদের বাড়ি গোপালগঞ্জ সদরে। তবে তারা থাকতেন রাজধানীর রায়েরবাগ এলাকায়। মাইন প্রাইভেট পড়াতেন। ২১ জুলাই রায়েরবাগে গুলিবিদ্ধ হন তিনি। পরে ঢামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে।
গতকাল বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মুগদা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় একটি দোকানের কর্মচারী ইয়াছিন মারা যান। ২১ জুলাই শনির আখড়ায় গুলিবিদ্ধ হন তিনি। এর পর মুগদা হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। ময়নাতদন্তের জন্য গতকাল দুপুরে তাঁর লাশ ঢামেক মর্গে পাঠায় পুলিশ। তাঁর গ্রামের বাড়ি গোপালগঞ্জ সদরে।
মর্গ সূত্র জানায়, গতকাল ঢামেক মর্গে তিন লাশেরই ময়নাতদন্ত করা হয়।
গতকাল সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ঢাকা, নরসিংদী, নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুরে কারফিউ শিথিল ছিল। ছুটির দিন ও কারফিউ শিথিল
থাকায় এদিন রাজধানীর প্রায় সব সড়কই ছিল ফাঁকা। সাধারণত ছুটির দিনেই ফাঁকা থাকে ব্যস্ততম এই নগরী।
কারফিউ বলবৎ রয়েছে। তবে আজ শনিবারও সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত এটি শিথিল থাকবে ঢাকা, নরসিংদী, নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুরে।