ডেস্ক রির্পোট:- রাজধানীর ধানমন্ডিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশ ও আওয়ামী লীগ নেতা–কর্মীদের সংঘর্ষে ফারহান ফাইয়াজ রাতুল নামের এক শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন। ফারহান ফাইয়াজ ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলেন। আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী ও ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজের একটি সূত্র থেকে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে।
সূত্র জানায়, ধানমন্ডি ২৭ নম্বর এলাকায় আজ বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে তিনটার পর থেমে থেমে সংঘর্ষ চলছিল। এ সময় আহত হন ফারহান ফাইয়াজ। পরে সেখান থেকে আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে মোহাম্মদপুর সিটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে তার মৃত্যু হয়। তার শরীরে রাবার বুলেটের ক্ষত রয়েছে বলে জানা গেছে।
এদিকে ফারহান ফাইয়াজের মৃত্যুর বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট করেন নাজিয়া খান নামে এক নারী। তাঁর ফেসবুক প্রোফাইল থেকে জানা যায়, তিনি রাজধানীর সেন্ট জোসেফ ইন্টারন্যাশনাল স্কুলে কর্মরত। আজ বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টা ৫৪ মিনিটে দেওয়া পোস্টে তিনি লেখেন, ‘দিস ইজ মাই ফারহান ফাইয়াজ। সে এখন মৃত। আমি বিচার চাই।’
এর আগে ৩টা ৩৬ মিনিটে আরেক ফেসবুক পোস্টে নাজিয়া খান লিখেন, ‘তাঁরা আমার ছেলে ফারহান ফাইয়াজকে মেরে ফেলেছে। তাঁর বয়স এখনো ১৮–ও হয়নি। আমি ফারহান ফাইয়াজের মৃত্যুর বিচার চাই।’
পোস্টে নাজিয়া লেখেন, ‘ফারহান ফাইয়াজের জন্ম ২০০৬ সালের ১২ সেপ্টেম্বর। আমি চাই ফারহান ফাইয়াজের জন্য সবাই আওয়াজ তুলবেন।’ এই নারী জানান, ফারহান তাঁর আপন সন্তান নয়, তবে সে তাঁর আপন সন্তানের চেয়েও কম নয়।