ডেস্ক রির্পোট:- ‘কোটাবিরোধী আন্দোলনের নামে দেশে বিএনপি-জামায়াত সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করেছে। তাই আমরা মাঠে থেকে এসব কর্মকাণ্ড শক্ত হাতে দমন করে শেখ হাসিনার হাতকে আরও শক্তিশালী করবো। প্রয়োজনে এই দেশের জন্য আরেকবার যুদ্ধ করবো। এই দেশকে নব্য রাজাকারমুক্ত করবো।’
বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) বায়তুল মোকাররমের প্রধান গেটের সামনে মুক্তিযোদ্ধা শ্রমিক কর্মচারী পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদের সমাবেশে এসব কথা বলেন আওয়ামী লীগের নেতারা।
সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান।
এ ছাড়া উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোজাম্মেল হোসেন চৌধুরী মায়া, কামরুল ইসলাম এমপি, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি বেনজীর আহমেদ এমপি, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহম্মদ মন্নাফী, মেজর জেনারেল হেলাল মোর্শেদ খান প্রমুখ।
মুক্তিযোদ্ধা পরিষদের আজকের সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শাজাহান খান এমপি। এ সময় আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের ব্যাপক উপস্থিতি লক্ষ করা গেছে।
আন্দোলনকারীদের ডাকা কমপ্লিট শাটডাউনের প্রভাব পড়েছে পুরান ঢাকায়আন্দোলনকারীদের ডাকা কমপ্লিট শাটডাউনের প্রভাব পড়েছে পুরান ঢাকায়
সমাবেশে নেতারা বলেন, ‘কোটাবিরোধী আন্দোলনের নামে দেশে বিএনপি-জামায়াত সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করেছে। তাই আমরা মাঠে থেকে এসব কর্মকাণ্ড শক্ত হাতে দমন করে শেখ হাসিনার হাতকে আরও শক্তিশালী করবো। আজকের এই সমাবেশ কোটাবিরোধী আন্দোলনের নামে বিএনপি-জামায়াতের ইন্ধনে দেশে হত্যাকাণ্ড, অগ্নিসংযোগ, নাশকতা, নৈরাজ্য, হিংসাত্মক কর্মকাণ্ড এবং স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তির বিরুদ্ধে।’
নেতারা আরও বলেন, ‘আজ স্বাধীনতার ৫৩ বছর পর যখন শিক্ষার্থীদের মুখে শুনি ‘তুমি কে আমি কে, রাজাকার রাজাকার’, তখন একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে এর চেয়ে বেশি দুঃখের কিছু থাকে না। শিক্ষার্থীরা অন্য কারও ইন্ধনে এটা করেছে। আমাদের শিক্ষার্থীরা মেধাবী, তারাই ভবিষ্যতে দেশের হাল ধরবে। আশা করি শিগগিরই তাদের শুভবুদ্ধির উদয় হবে। মনে রাখতে হবে, আমরা মুক্তিযোদ্ধারা অস্ত্র জমা দিয়েছে কিন্তু ট্রেনিং জমা দিইনি। প্রয়োজনে এই দেশের জন্য আরেকবার যুদ্ধ করবো। আবার এই দেশকে নব্য রাজাকারমুক্ত করবো।’
এদিকে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের ডাকা কমপ্লিট শাটডাউনের প্রভাব পড়েছে পুরান ঢাকায়। সদরঘাট থেকে শুরু করে, সূত্রাপুর, বংশাল, তাঁতিবাজার মোড়সহ আশপাশের বিভিন্ন এলাকার অলিগলি থেকে শুরু করে প্রধান সড়কেও নেই জনমানুষের কোলাহল এবং যানবাহনের চাপ। এমনকি গুলিস্তানেও নেই চিরচেনা সেই যানজট।
গণপরিবহন নেই বললেই চলে। থেকে থেকে দু-একটি বাস চলাচল করছে। তবে রিকশা ও সিএনজিচালিত অটোরিকশা চলছে বেশ দাপটের সঙ্গে। ব্যক্তিগত পরিবহনের আধিক্যও বেশি। গুলিস্তান থেকে বায়তুল মোকাররম-সংলগ্ন এলাকার সড়কও প্রায় ফাঁকা।