ডেস্ক রির্পোট:- পুলিশের কড়াকড়ির মধ্যেই কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলনে নিহতদের স্মরণে গায়েবানা জানাজা আদায় করেছে বিএনপি ও যুগপতের শরিক দলের নেতাকর্মীরা।
বুধবার (১৭ জুলাই) বাদ জোহর রাজধানীতে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে এই গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। তবে বিএনপি ও অন্যান্য দলের অসংখ্য নেতাকর্মীকে বায়তুল মোকাররমে প্রবেশ করতে দেয়নি পুলিশ।
জানাজা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের বিষয়টি সরকার নিজেরা সমাধান করতে পারত। কিন্তু পরিস্থিতি সংঘাতের দিকে ঠেলে দেওয়া হয়েছে। আমরা এর প্রতিবাদে কর্মসূচি দিব।
গায়েবানা জানাজায় শরিক হন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহজাহান, বরকত উল্লাহ বুলু, বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, হাবিব উন নবী খান সোহেল, শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, গাজীপুর জেলা বিএনপির সভাপতি ফজলুল হক মিলন, ঢাকা বিভাগের সহসাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক সাইফুল আলম নীরব, সদস্য সচিব আমিনুল হক, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, জাগপার আসাদুর রহমানসহ বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী।
তবে পুলিশের বাধায় জানাজায় শরিক হতে পারেননি গণতন্ত্র মঞ্চের শীর্ষ নেতা সাইফুল হক, রফিকুল ইসলাম বাবলু, জোনায়েদ সাকী, গণতান্ত্রিক বাম ঐক্যের শামসুল আলম প্রমুখ।
এছাড়া জানাজায় অংশ নিতে চাইলে ডা. সাখাওয়াত হোসেন সায়ন্থসহ কয়েকজনকে আটক করে নিয়ে যায় পুলিশ।