ডেস্ক রির্পোট:- কোটা সংস্কারের দাবিতে চলমান আন্দোলনকে কেন্দ্র করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য ও টিএসসিতে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের ভেতরে এবং চারপাশে অবস্থান নিয়েছেন পুলিশ, বিজিবি ও আনসার সদস্যরা।
এদিকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা পুলিশের ধাওয়ায় ছত্রভঙ্গ হয়ে নীলক্ষেতের দিকে অবস্থান নিয়েছেন। সাধারণ শিক্ষার্থীদের অনেকে হল ত্যাগ করেছেন।
তবে আগামী এক ঘণ্টার মধ্যে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীকে সরে যেতে আলটিমেটাম দিয়েছেন কোটা আন্দোলনকারীরা। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম সংবাদমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সাত প্লাটুন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। এ ছাড়া পুলিশ, আনসারসহ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর বিভিন্ন পর্যায়ের সদস্যরা ক্যাম্পাসে অবস্থান নিয়েছেন।
বুধবার (১৭ জুলাই) দুপুরে টিএসসিতে গায়েবানা জানাজা পড়তে ব্যর্থ হন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। পরে তারা উপাচার্যের বাসভবনের সামনে গায়েবানা জানাজা পড়েন। জানাজা শেষে ক্যাম্পাসে কফিন নিয়ে মিছিল শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। তাদের ওই মিছিলে একের পর এক সাউন্ড গ্রেনেড ও কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে পুলিশ।
এ সময় পুলিশ আন্দোলকারী শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করতে সাউন্ড গ্রেনেড এবং টিয়ার গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি, রাজু ভাস্কর্য, লাইব্রেরিসহ বিভিন্ন এলাকা অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে পড়ে। কয়েকজন শিক্ষার্থী এ সময় অসুস্থ হয়ে পড়েছেন বলে জানিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।
পরে পুলিশসহ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সদস্য বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হল, ভবনে গিয়ে শিক্ষার্থীদের ধাওয়া দেয়। এতে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাস ছেড়ে নীলক্ষেত মোড়ে অবস্থান নিয়েছেন।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) যুগ্ম কমিশনার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী বলেন, ভিসির বাসভবন ও আশপাশের নিরাপত্তার স্বার্থে ভিসির অনুমতিক্রমে মিছিল ছত্রভঙ্গ করা হয়েছে।
কোটা সংস্কার আন্দোলনে গতকাল মঙ্গলবার সারা দেশে সাতজন নিহত হয়েছেন। এদের মধ্যে ঢাকা ও চট্টগ্রামে তিনজন করে ছয়জন। এ ছাড়া রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন।