ডেস্ক রির্পোট:- কোটা সংস্কার দাবিতে নিহতদের গায়েবি জানাজাকে কেন্দ্র করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ও নীলক্ষেতে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী ও পুলিশের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। এতে ঢাবি ও নীলক্ষেত রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। বুধবার বিকাল থেকে এ সংঘর্ষ শুরু হয়।
এর আগে ঢাবি ভিসি চত্বরে কোটা সংস্কার দাবিতে নিহতদের গায়েবি জানাজা ও মোনাজাত শেষে কফিনসহ মিছিল করতে করতে টিএসসির দিকে যেতে থাকেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। এ সময় শিক্ষার্থীদের সামনে ও পেছন থেকে সাউন্ড গ্রেনেড, টিয়ারসেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে পুলিশ।
এরপর মিছিলটি ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। এতে সাংবাদিকসহ বেশ কয়েকজন আহত হন। শিক্ষার্থীরা ফের ভিসি চত্বরে একত্র হয়ে আন্দোলন করতে থাকেন। ‘ভুয়া ভুয়া’ স্লোগান দিতে থাকেন তারা।
একই সময় মল চত্বর থেকে আরেকটি মিছিল আসলে সতর্ক হয় পুলিশ। এরপর ফের সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে। এ সময় শিক্ষার্থীরা ইট-পাটকেল মারেন। এরপর মিছিলটি ছত্রভঙ্গ করতে রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে পুলিশ।
পরে শিক্ষার্থীরা নীলক্ষেত ও মল চত্বরের দিকে অবস্থান করেন।
অন্যদিকে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী ও পুলিশের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষে নীলক্ষেত মোড় থেকে নিউমার্কেট এক নম্বর সড়ক রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। সাঁজোয়া যান নিয়ে আন্দোলনকারীদের হটিয়ে দেয় পুলিশ। এ সময় মুহুর্মুহু সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে পুলিশ।
কোটা আন্দোলনকারীদের হটিয়ে দিয়ে সেখানে অবস্থান নিয়ে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা নানা দলীয় স্লোগান দেয়। থেমে থেমে বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়া যায়। সেখানে পুলিশের ব্যাপক উপস্থিতি লক্ষ করা যায়।
উল্লেখ্য, গতকাল মঙ্গলবার কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও পুলিশের সংঘর্ষ, হামলায় ৬ জনের মৃত্যু হয়। এর মধ্যে চট্টগ্রামে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলায় ৩ জন, ঢাকা কলেজের সামনে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যুবলীগ-ছাত্রলীগের সংঘর্ষে ২ জন, ও বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) এক শিক্ষার্থী নিহত হন। তাদের গায়েবি জানাজাকে কেন্দ্র করে এ সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়।