শিরোনাম
এবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচার চাইবে পিলখানায় শহীদ পরিবারের সদস্যরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মন্ত্রণালয়ের ৯ নির্দেশনা রাঙ্গামাটি শহর থেকে উদ্ধারকৃত বন মুরগি কাপ্তাই ন্যাশনাল পার্কে অবমুক্ত বান্দরবানে মোটরসাইকেল চোর সিন্ডিকেটের হোতা রাহুল তঞ্চঙ্গ্যা গ্রেফতার রাঙ্গামাটিতে চট্টগ্রামে আইনজীবি হত্যার প্রতিবাদ মানববন্ধন বান্দরবানে নাশকতা মামলায় দুই চেয়ারম্যান কারাগারে বিচারপতি নিয়োগে কাউন্সিল গঠনের প্রস্তাব আইন মন্ত্রণালয়ে ছাপিয়ে ২২৫০০ কোটি টাকা ৬ ব্যাংককে দেওয়া হলো, রবিবার থেকে সংকট কাটছে আইনজীবী সাইফুল হত্যা ও চিন্ময় কৃষ্ণ প্রসঙ্গে শেখ হাসিনার বিবৃতি ভেঙেছে প্রেম, আদিত্যকে ধরে রাখতে যা করেছেন অনন্যা

আজ বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে ফের ‘বাংলা ব্লকেড’

রিপোর্টার
  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, ১১ জুলাই, ২০২৪
  • ৬৭ দেখা হয়েছে

ডেস্ক রির্পোট:- সরকারি চাকরির সব গ্রেডে কোটা সংস্কারের এক দফা দাবিতে আজ বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) আবারও ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। এদিন বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে এই কর্মসূচি পালিত হবে।

বুধবার (১০ জুলাই) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় আন্দোলনের কেন্দ্র রাজধানীর শাহবাগে এই কর্মসূচির ঘোষণা দেন অন্যতম সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদ।

তিনি বলেন, আজ বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে আমাদের ব্লকেড কর্মসূচি চলবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বিকেল সাড়ে ৩টায় কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সাামনে জড়ো হবেন। সেখানে থেকে বিভিন্ন স্পটে অবরোধ করা হবে।

আসিফ মাহমুদ বলেন, অনেকে আমাদের জনদুর্ভোগের কথা বলতে চান। কিন্তু আমরা দেখেছি এই কর্মসূচি জনমত গঠনের এক অভিনব পদ্ধতি। বিভিন্ন স্থানে সাধারণ মানুষ তাদের সন্তানদের জন্য হলেও আন্দোলন চালিয়ে যেতে আমাদের বলেন।

আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম বলেন, সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ আজ ২০১৮ সালের পরিপত্র নিয়ে চার সপ্তাহের স্থিতাবস্থা জারি করেছে। কিন্তু আমাদের দাবি সরকারের নির্বাহী বিভাগের কাছে। আদালত এখনো পূর্ণাঙ্গ রায় দেয়নি। পূর্ণাঙ্গ রায়ে সেটি বহালও থাকতে পারে, বাতিলও হতে পারে।

তিনি বলেন, আমাদের আন্দোলন সব গ্রেডে কোটা বৈষম্যকে যৌক্তিক পর্যায়ে সংস্কার করা। প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে যে কোটা বৈষম্য, তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণিতে বৈষম্য তার চেয়ে বেশি। সেক্ষেত্রে সরকার একটি কমিশন গঠন করে সব অংশীজনকে সঙ্গে নিয়ে গবেষণার ভিত্তিতে কোটা সংস্কার করে সংসদে একটি আইন পাস করতে পারে।

সারজিস আলম আরও বলেন, একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার রিটের ভিত্তিতে ২০১৮ সালের পরিপত্র অবৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। সংবিধানে অনগ্রসর গোষ্ঠীকে বিশেষ সুবিধা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। কয়েকদিন পর তাদের কেউ আদালতে রিট করলে পুনরায় পরিপত্র বাতিল হতে পারে। তখন আমরা কোথায় যাব?

তিনি বলেন, আমরা কোটা ব্যবস্থার একটা স্থায়ী সমাধান চাই। যদি নির্বাহী বিভাগ কোনো আদেশ বা কমিটমেন্ট দেয় বা ত্রুটিহীন একটি পরিপত্র জারি করে, তাহলে আমরা আন্দোলন থেকে ফিরব। আমরা মনে করি, প্রতিবন্ধী, ক্ষুদ্র নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠী, বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের জন্য কোটা থাকতে পারে। সংখ্যার দ্বিগুণ ধরে হিসাব করলেও তা ৫ শতাংশের বেশি হয় না। ৫ শতাংশ রাখাই যৌক্তিক।

কোটা সংস্কারের দাবিতে বেশ কিছুদিন ধরে আন্দোলন করছেন শিক্ষার্থীরা। এর মধ্যে বুধবার সকালে সরকারি চাকরিতে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিল করে জারি করা পরিপত্র অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের ওপর স্থিতাবস্থা (স্ট্যাটাসকো) দেন আপিল বিভাগ। ফলে আপাতত কোটা বাতিল করে দেওয়া পরিপত্র বহাল থাকবে।

আন্দোলনকারীরা এ আদেশে হতাশা প্রকাশ করেন। তারা বলছেন, আদালতের ‘ঝুলন্ত রায়’ তারা মানেন না। তারা স্থায়ী সমাধান চান। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।

পোস্টটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো
© All rights reserved © 2023 Chtnews24.com
Website Design By Kidarkar It solutions