ডেস্ক রির্পোট:- চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপির) অতিরিক্ত উপকমিশনার (ক্রাইম) মোহাম্মদ কামরুল হাসান ও তাঁর স্ত্রী সায়মা বেগমের ১১ কোটি ৩৪ লাখ ৩৫ হাজার ৯১৯ টাকার স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ ক্রোকের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। চট্টগ্রামের মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক বেগম জেবুন্নেছা এ নির্দেশ দেন। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) চট্টগ্রাম-১-এর সহকারী পরিচালক মো. এমরান হোসেনের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ মঙ্গলবার এ আদেশ দেওয়া হয়।
এডিসি কামরুল হাসান ও তাঁর স্ত্রী সায়মা বেগমের দুর্নীতি অনুসন্ধান করছেন মো. এমরান হোসেন। এ বিষয়ে তিনি জানান, পুলিশ কর্মকর্তা মোহাম্মদ কামরুল হাসান ও তার স্ত্রী সায়মা বেগমের স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ ক্রোকের আবেদন করার পর চট্টগ্রামের মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক বেগম জেবুন্নেছা সেই আবেদন মঞ্জুর করেছেন।
উল্লিখিত দুজনের স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ ক্রোকের আবেদনে বলা হয়েছে—দুদকের প্রাথমিক অনুসন্ধানে মোহাম্মদ কামরুল হাসানের ৯ কোটি ৭৩ লাখ ২২ হাজার ৪৪ টাকার জ্ঞাত আয়ের উৎস বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের তথ্য পাওয়া গেছে। একইভাবে তাঁর স্ত্রী সায়মা বেগমের নামে ১ কোটি ৬২ লাখ ৮৫ হাজার ১৮৮ টাকার জ্ঞাত আয়ের উৎসবহির্ভূত সম্পদ অর্জনের তথ্য পাওয়া যায়।
দুদকের অনুসন্ধানে দুজনের নামে দেশের কোথায় স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ আছে, তা উল্লেখ করে ক্রোক আবেদনে বলা হয়েছে, উল্লিখিত দুজন অসাধু উপায়ে অর্জিত অপরাধলব্ধ সম্পদ অন্যত্র হস্তান্তর, বিক্রি ও বেহাত করার চেষ্টা করছেন। এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে রাষ্ট্র ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এ অবস্থায় দুর্নীতি দমন কমিশন বিধিমালা ২০০৭ (সংশোধনী ২০১৯)-এর বিধি ১৮ মোতাবেক দুজনের স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি ক্রোক করা প্রয়োজন।
এ বিষয়ে দুদকের পিপি অ্যাডভোকেট কাজী ছানোয়ার আহমেদ লাভলু জানান, দুদক আইনের সংশ্লিষ্ট ধারায় উল্লিখিত দুজনের স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ ক্রোকের আবেদন করার পর মহানগর দায়রা জজ বেগম জেবুন্নেছা ক্রোকের আদেশ দিয়েছেন। এর ফলে দুজনের স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ হস্তান্তর ও বেচাকেনার পথ বন্ধ হলো।
দুদকের প্রাথমিক অনুসন্ধান প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মোহাম্মদ কামরুল হাসান ১৯৮৯ সালে এসআই পদে পুলিশ বিভাগে যোগ দেন। তিনি চট্টগ্রাম আদালতে প্রসিকিউশন শাখায় এএসপি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। বর্তমানে তিনি সিএমপির অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) ক্রাইম হিসেবে দায়িত্বে রয়েছেন।