ডেস্ক রির্পোট:- চট্টগ্রামে গ্রেফতারের ছয় ঘণ্টার মাথায় চান্দগাঁও থানাহাজতে ডাকাতি ও ছিনতাই মামলার এক আসামি আত্মহত্যা করেছেন। তিনি হাজতখানার ভেতরে ভেন্টিলেটরের সঙ্গে নিজের পরনের শার্ট ঝুলিয়ে আত্মহত্যা করেন বলে জানা গেছে। বুধবার ভোরে এ ঘটনা ঘটে। ওই আসামি মো. জুয়েল (২২) চান্দগাঁওয়ের কালুরঘাট খেজুরতলা এলাকার মৃত আব্দুল মালেক প্রকাশ আব্দুল মাবুদের ছেলে।
এদিকে থানাহাজতে এভাবে আত্মহত্যার জন্য পুলিশের দায়িত্বহীনতাকে দুষছেন সংশ্লিষ্টরা। চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) পক্ষ থেকে এ বিষয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এছাড়া সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছে থানা পুলিশ। বুধবার তার সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করা হয়। এরপর পুলিশ ময়নাতদন্তের জন্য লাশ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
চান্দগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুল কবির জানান, জুয়েল গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন, যা সিসি ক্যামেরার ফুটেজে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে। জুয়েলের বিরুদ্ধে তারা ৭টি মামলার সন্ধান পেয়েছেন। ঋণের চাপে জুয়েল বাড়িতে দুবার আত্মহত্যার চেষ্টা করে বলে তারা জানতে পেরেছেন।
পুলিশ জানায়, একটি মামলার গ্রেফতারি পরোয়ানা থাকায় মঙ্গলবার রাত ১২টা ২৫ মিনিটের দিকে নগরীর পাথরঘাটা এলাকা থেকে জুয়েলকে গ্রেফতার করে চান্দগাঁও থানা পুলিশ। গ্রেফতারের পর তাকে চান্দগাঁও থানার হাজতখানায় রাখা হয়।
সিসি টিভি ফুটেজে দেখা গেছে, বুধবার ভোর ৬টা ২২ মিনিটে থানাহাজতে নিজের পরনের শার্ট খুলছেন জুয়েল। এরপর শার্টটি পেঁচিয়ে নেন। ৩ মিনিট পর হাজতের ভেতরে ভেন্টিলেটরের লোহার গ্রিলের সঙ্গে সেটি বেঁধে গলায় ফাঁস দেন।