রাঙ্গামাটি:- অবিরাম ঝড়ছে বৃষ্টি। হালকা, মাঝারি ও ভারী। কিছুতেই থামছে না বৃষ্টির বর্ষণ। তাই শঙ্কার কালো মেঘ জমেছে পাহাড়বাসীর মনে। ঝড় হাওয়ার সাথে ধসে পড়েছে মাটি। পাহাড় ধসের আতঙ্কে নির্ঘুম রাত কাটছে পাহাড়বাসীর। যদিও খোলা রয়েছে আশ্রয় কেন্দ্র। কিন্তু নিজের ভিটেমাটি ছাড়তে নারাজ কেউ কেউ। অন্যদিকে বৃদ্ধি পাচ্ছে কাপ্তাই হ্রদের পানি।
সোমবার সকাল ৬টার দিকে পাহাড় ধস হয় রাঙ্গামাটি ও চট্টগ্রাম মহাসড়ক, রাঙ্গামাটি কাপ্তাই আসামবস্তি সড়ক ও রাঙ্গামাটি খাগড়াছড়ি সড়কের বিভিন্ন স্থানে। তবে এখনো পাহাড়বাসীর বাড়ি ঘর রক্ষিত রয়েছে। তাই বড় কোনো ক্ষতি যাতে না হয়, সে বিষয়ে মাঠে নেমেছে প্রশাসনের বিশেষ নিরাপত্তা দল। রাঙ্গামাটি ফায়ার সার্ভিস, রেডক্রিসেন্ট, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনসহ রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা। এ ছাড়া রাঙ্গামাটির ১০টি উপজেলাগুলোতেও উপজেলা নির্বাহী সমন্বয়ে কাজ করছে স্বেচ্ছাসেবীরা। পাহাড়বাসীকে নিরাপত্তা দিতে মাইকিং অব্যাহত রয়েছে।
রাঙ্গামাটি আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা মো. হুমায়ন কবির জানান, ২৪ ঘণ্টায় রাঙ্গামাটিতে বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে ৯৩.৭ মিলিমিটার। এ বৃষ্টি অব্যাহত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে আর ৪ কিংবা পাঁচদিন। রয়েছে ভারী বৃষ্টির আশঙ্কা। তাই সতর্ক থাকতে হবে স্থানীয়দের।
রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসন মো. মোশারফ হোসেন খান বলেন, যদি রাতে ভারী বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকে আশ্রয় কেন্দ্রে ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তিদের সরিয়ে আনা হবে। রাঙ্গামাটির ২৬টি চিহ্নত স্থানে বার বার মাইকিং করে স্থানীয়দের সতর্ক করা হচ্ছে। এ ছাড়া আমাদের উদ্ধারকর্মী, মেডিকেল দলসহ নিরাপত্তা কর্মীরা প্রস্তুত রয়েছে। পাশপাশি মানুষের জানমালে নিরাপত্তা দিতে মাঠে নেমেছে জনপ্রতিনিধিরাও।
রাঙ্গামাটি পৌর মেয়র মো. আকবর হোসেন চৌধুরী বলেন, রাঙ্গামাটি পৌর এলাকার ৯টি ওয়ার্ডে ২৬টি স্থানে মানুষ ঝুঁকিতে বসবাস করছে। তার মধ্যে সবচেয়ে ৪ নম্বর ও ৬ নম্বর ওয়ার্ডের বেশি। রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসনের সাথে সমন্বয় করে পৌর এলাকার ঝুঁকিতে বসবাসরতদের সতর্কতার জন্য কাজ করছে জনপ্রতিনিধিরা।