ডেস্ক রির্পোট:- সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে আগামী শনিবার রাজধানী ঢাকায় সমাবেশ করবে বিএনপি। একই দাবিতে আগামী ১ জুলাই দেশের সব মহানগরে এবং ৩ জুলাই জেলা সদরে সমাবেশ করবে দলটি।
বুধবার (২৬ জুন) নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত যৌথ সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচি ঘোষণা দেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, হাবিব উন-নবী খান সোহেল, আবদুস সালাম আজাদসহ বিএনপি ও অঙ্গ এবং সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা।
কর্মসূচি ঘোষণা করতে গিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, বাংলাদেশের জনগণের সবচেয়ে প্রিয় নেতা সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী খালেদা জিয়া জটিল রোগে দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ। তাঁর শারীরিক অবস্থা এমন জায়গায় এসে পৌঁছেছে যে, যেকোনো সময় তার জীবনহানি হতে পারে। পরিকল্পিতভাবে একটি চক্রান্তের মাধ্যমে স্বাধীনতার ঘোষক জিয়াউর রহমান বীর-উত্তমকে হত্যা করা হয়েছিল। একইভাবে গণতন্ত্রের লেবাসে ক্ষমতা দখল করে থাকা আওয়ামী লীগ সরকার মিথ্যা ও ভিত্তিহীন মামলায় দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে ফরমায়েশি সাজা; পরবর্তীকালে পাঁচ বছরের স্থলে ১০ বছর করা হয়।
জামিনযোগ্য হওয়া সত্ত্বেও তাকে জামিন দেওয়া হচ্ছে না। এর উদ্দেশ্য হচ্ছে- দেশনেত্রীকে রাজনীতি থেকে দূরে সরিয়ে রাখা।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, বিএনপি সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলনকে বেগবান করার। ইতিমধ্যে যুগপৎ আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত দেশের সব গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল বিবৃতি দিয়ে দেশনেত্রীর মুক্তি দাবি করেছে।
আমরা আশা করি, দেশের জনগণ এই আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত হবেন। আমরা দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলনকে চূড়ান্ত অবস্থায় নিয়ে যেতে চাই।
কমসূচি ঘোষণা করে মির্জা ফখরুল বলেন, দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে বিএনপির উদ্যোগে আগামী ২৯ জুলাই শনিবার বিকেল ৩টায় রাজধানী ঢাকার নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। এরপর ১ জুলাই সোমবার মহানগরে ও ৩ জুলাই জেলা সদরে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। এই কর্মসূচি সফল করতে নেতাকর্মীসহ দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান মির্জা ফখরুল।