দশ মাসেই ভারতীয়রা নিয়ে গেছেন ৫ কোটি ডলার: সংসদে অর্থমন্ত্রী

রিপোর্টার
  • আপডেট সময় সোমবার, ২৪ জুন, ২০২৪
  • ৭৮ দেখা হয়েছে

ডেস্ক রির্পোট:- চলতি অর্থবছরের (২০২৩-২৪) জুলাই থেকে এপ্রিল পর্যন্ত বাংলাদেশে বসবাসকারীরা ভারতীয়রা তাদের দেশে ৫০ দশমিক ৬০ মিলিয়ন ডলার (৫ কোটি ডলার) নিয়ে গেছেন বলে জাতীয় সংসদকে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। একই সময়ে বাংলাদেশ থেকে বিদেশি নাগরিকরা মোট ১৩০ দশমিক ৫৮ ডলার নিজ নিজ দেশে নিয়ে গেছেন বলেও জানান তিনি।

সোমবার সংসদের বৈঠকে ফরিদপুর-৩ আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য আব্দুল কাদের আজাদের এক লিখিত প্রশ্নের উত্তরে এসব তথ্য তুলে ধরেন অর্থমন্ত্রী। এর আগে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের বৈঠক শুরু হলে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উপস্থাপিত হয়।

একই প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে বসবাসকারী বিদেশি নাগরিকদের বছরের আয় সংশ্লিষ্ট তথ্য বাংলাদেশে ব্যাংকে সংরক্ষিত নেই। চলতি অর্থবছরের (২০২৩-২৪) জুলাই থেকে এপ্রিল পর্যন্ত বাংলাদেশে বসবাসকারী বিদেশি নাগরিকরা তাদের আয় থেকে ১৩০ দশমিক ৫৮ মিলিয়ন ডলার নিজ দেশে নিয়ে গেছেন। সংসদে মন্ত্রীর দেওয়া তথ্যে দেখা গেছে, এই সময়ের মধ্যে ভারতীয় নাগরিকরা ৫০ দশমিক ৬০ মিলিয়ন ডলার, চীনা নাগরিকরা ১৪ দশমিক ৫৬ মিলিয়ন ডলার, শ্রীলঙ্কানরা ১২ দশমিক ৭১ মিলিয়ন ডলার, জাপানিরা ৬ দশমিক ৮৯ মিলিয়ন ডলার, কোরিয়ানরা ৬ দশমিক ২১ মিলিয়ন ডলার, থাইল্যান্ডের নাগরিকরা ৫ দশমিক ৩০ মিলিয়ন ডলার, যুক্তরাজ্য ৩ দশমিক ৫৯ মিলিয়ন ডলার, পাকিস্তান ৩ দশমিক ২৪ মিলিয়ন ডলার, যুক্তরাষ্ট্র ৩ দশমিক ১৭ মিলিয়ন ডলার, মালয়েশিয়ান ২ দশমিক ৪০ মিলিয়ন ডলার, অন্যান্য দেশের নাগরিকরা ২১ দশমিক ৯২ মিলিয়ন ডলার নিজ দেশে নিয়ে গেছেন।

চট্টগ্রাম-১ আসনের সরকার দলীয় এমপি মাহবুব উর রহমানের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশে কর্মরত কোনো ব্যাংকেই আর্থিক সংকট নেই। তবে কিছু ব্যাংকে উচ্চ খেলাপি ঋণ, মূলধন ঘাটতি এবং তারলা সমস্যা বিদ্যমান আছে। এ সব সমস্যা নিরসনে বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন করে কর্মকর্তা ৯টি ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদে পর্যবেক্ষক হিসেবে এবং ৭টি ব্যাংকে কো-অর্ডিনেটর হিসেবে নিয়োজিত রয়েছেন।

এমপি আব্দুল লতিফের এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, বিশ্ববাজারে জ্বালানি, খাদ্যপণ্য ও সারের মূল্য কমে আসা, খাদ্য ও সরবরাহ পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার জন্য উদ্যোগ এবং অসহায় গরিব মানুষকে সুরক্ষা দেবার জন্য যেসব কার্যক্রম চলছে তার প্রভাবে আগামী অর্থবছরে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আসবে বলে সরকার মনে করছে।

এমপি আব্দুল লতিফের অপর এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে অর্থ মন্ত্রণালয় বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছে। মূল্যস্ফীতির চলমান সংকটের মূলে যে কারণগুলো রয়েছে তা হলো- বৈশ্বিক পণ্য বাজারে সরবরাহে অনিশ্চয়তা, মার্কিন ডলারের বিপরীতে টাকার মান কমে যাওয়া এবং দেশের বাজারে সরবরাহ শৃঙ্খলে ত্রুটি। অর্থনৈতিক এ সংকট কাটিয়ে দ্রবমূল্য সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রাখার জন্য সরকার বহুমুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।

চট্টগ্রাম-১১ আসনের সরকার দলীয় এমপি এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি খাতে বিনিয়োগের সুযোগ সৃষ্টি হওয়ায় আমানতকারীগণ এ সকল নানাবিধ স্কিম, ক্ষুদ্র শিল্পখাতসহ আয়-উৎসারী বিভিন্ন খাতে সরাসরি বিনিয়োগ করছেন। ফলে আস্থাহীনতা ও মূল্যস্ফীতির কারণে নয় বরঞ্চ বিবিধ বিনিয়োগ প্রকল্পসমূহ আকর্ষণীয় হওয়ায় ও সরাসরি বিনিয়োগের সুযোগ সৃষ্টি হওয়ায় আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলির আমানত কিছুটা হ্রাস পেয়েছে।

পোস্টটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো
© All rights reserved © 2023 Chtnews24.com
Website Design By Kidarkar It solutions