৯তলা থেকে নিচে ফেলে নবজাতককে হত্যা, মা গ্রেপ্তার

রিপোর্টার
  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, ২০ জুন, ২০২৪
  • ৫৯ দেখা হয়েছে

ডেস্ক রির্পোট:- কিশোরগঞ্জের ভৈরবে নবজাতক পুত্র সন্তানকে ৯তলা ভবন থেকে নিচে ফেলে হত্যার ঘটনায় থানায় মামলা করেছেন বাবা সহকারী অধ্যাপক ডা. ওসমান গনি। পুলিশ নবজাতকের মা তৃষা আক্তারকে গ্রেপ্তার করেছে।
ডা. ওসমান গনির দ্বিতীয় স্ত্রী তৃষা আক্তার ঈদের দিন রাত সাড়ে ৩টায় শহরের নিউটাউন এলাকায় অবস্থিত ফুল মিয়া সিটির ৯তলা ভবনে নিজের ফ্লাট থেকে সন্তানকে নিচে ফেলে হত্যা করে। নিহত নবজাতকের নাম তাসনিদ ওসমান রাখী তার বয়স ৭ দিন।
গত মঙ্গলবার সকালে পুলিশ খবর পেয়ে ফ্লাটের নিচ থেকে নবজাতকের লাশ উদ্ধার করে দুপুর ১২টায় ময়নাতদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জে পাঠায়। পুলিশ নবজাতকের মা তৃষা আক্তার, বাবা ডা. ওসমান গনি, নবজাতকের মায়ের বান্ধবী সুমাইয়া বেগম, কাজের মেয়ে শিলা বেগম (১৬) ও মিমকে (১০) আটক করে থানায় নিয়ে যায়। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ৪ জনকে ছেড়ে দেয় এবং বাবা বাদী হয়ে তৃষা আক্তারকে আসামি করে থানায় হত্যা মামলা করেন।

পুলিশ জানায়, জিজ্ঞাসাবাদে তৃষা আক্তার স্বীকার করেন- তিনি নিজেই তার ঘুমন্ত সন্তানকে রাত সাড়ে ৩টায় বারান্দার গ্রিলের ফাঁক দিয়ে নিচে ফেলে দেন।
নিহত নবজাতকের বাবা সহকারী অধ্যাপক ডা. ওসমান গনি (বক্ষব্যাধি সার্জন) ঢাকা মেডিকেল কলেজে কর্মরত। তার বাড়ি শহরের ভৈরবপুর উত্তরপাড়া এলাকায়। তিনি তৃষাকে দ্বিতীয় বিয়ে করে শহরের নিউটাউন এলাকায় নিজের কেনা ফ্লাটে বসবাস করতেন। তবে তার প্রথম স্ত্রীর বাসা ঢাকায়। প্রথম স্ত্রীর ঘরে তার এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে।
অপরদিকে নিহত নবজাতক ছাড়াও দ্বিতীয় স্ত্রী তৃষা আক্তারের আরও দেড় বছর বয়সী একটি পুত্র সন্তান রয়েছে। সপ্তাহে দুইদিন ডা. ওসমান গনি দ্বিতীয় স্ত্রীর সঙ্গে নিউটাউনের বাসায় থাকতেন।

জানা গেছে, ঈদকে সামনে রেখে ডা. ওসমান গনি ঢাকা থেকে দু’দিন আগে ভৈরবের বাসায় আসেন।

৭ দিন আগে তৃষার ঘরে এক পুত্র সন্তানের জন্ম হয় স্থানীয় একটি হাসপাতালে। তার নাম রাখা হয় তাসনিদ ওসমান রাখি। নবজাতক জন্মের তিনদিন পর তিনি নিজ ফ্লাটে ওঠেন। বাসায় ছিলেন তার বান্ধবী ও দুইজন কাজের মেয়ে।

এরই মধ্যে ঈদ উপলক্ষে তার চিকিৎসক স্বামী দু’দিন আগে বাসায় এসেছেন। ঈদের দিন রাত ১২টা পর্যন্ত বান্ধবীসহ কাজের মেয়েরা কাজ শেষ করে ঘুমিয়ে পরে। তবে তৃষা ও তার স্বামী রাত ২টা পর্যন্ত সজাগ ছিলেন বলে জানায় পুলিশ। রাত ২টার পর স্বামী অন্য রুমে ঘুমিয়ে পড়েন। অন্যরা সবাই ছিলেন এক রুমে।
রাত ৪টায় তৃষা আক্তার চিৎকার করে বলতে থাকে আমার শিশু সন্তান নেই। তার চিৎকার শুনে স্বামীসহ বাসার সবাই ঘুম থেকে জেগে ওঠে। পরে বাসায় খোঁজাখুঁজি করেও শিশু রাখিকে পাওয়া যায়নি। মঙ্গলবার সকাল ৮টার দিকে কাজের মেয়ে শিলা বেগম বাসার গ্রিল দিয়ে দেখতে পায় নিচে একটি শিশু মৃত অবস্থায় পড়ে আছে। তারপর পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে।

পোস্টটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো
© All rights reserved © 2023 Chtnews24.net
Website Design By Kidarkar It solutions