ডেস্ক রির্পোট:- উখিয়ায় পৃথক ঘটনায় পাহাড় ধ্বসে ও দেওয়াল চাপায় এক বাংলাদেশিসহ আট রোহিঙ্গার মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে।
বুধবার (১৯ জুন) গতরাতের প্রবল বর্ষণে উখিয়া বিভিন্ন স্থানে পাহাড় ধ্বস ও বাড়ির দেওয়াল ভেঙ্গে যাবার ঘটনা ঘটেছে। গত রাতের
বিভিন্ন সময়ে ও সকাল ৬টার দিকে উখিয়ার ১০, ৯ ও ৮ নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এই ধ্বসের ঘটনা ঘটে।
উক্ত ঘটনায় মর্মান্তিকভাবে নিহতরা হলেন: ক্যাম্প-৯ এর ব্লক-আই/৪ এর মোঃ জামাল এর পুত্র হোসেন আলী (৫০) ও লায়লা বেগমের মেয়ে মোসাঃ আনোয়ারা বেগম(৪০), ক্যাম্প-১০ এর আব্দুল কালাম(৪৭),মোসাঃ সেলিমা খাতুন (৪২), আবু মেহের(১৯), জয়নব বিবি(২০), ক্যাম্প-৮ ইস্ট, ব্লক বি ৪২ এর আনোয়ারের শিশুপুত্র মোঃ হারেস(২), ক্যাম্প-১ ওয়েস্ট, ব্লক-এফ ৫ এর সুলতান আহমদের মেয়ে মোসা: পুতনী ও পালংখালী ইউপি’র ৪ নং ওয়ার্ড এলাকার জনৈক উলা মিয়ার পুত্র শাহ আলম এর বাড়ীর দেওয়াল ভেঙ্গে শাহ আলম এর শিশু পুত্র আব্দুল করিম (১২) মাঠি চাপা পরে মৃত্যবরন করেন। মৃত আবদুল করিম থাইংখালী উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬ষষ্ঠ শ্রেণির মেধাবী শিক্ষার্থী বলে জানা গেছে।
উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শামীম হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, নিহত ৯ জনের মধ্যে চার বছরের এক শিশু, ১২ বছরের এক কিশোর ও কয়েকজন নারী-পুরুষ রয়েছেন।
উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তানভীর হোসেন জানান, সকালে খবর আসে উখিয়ার ১০নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পাহাড় ধস হয়। এ ঘটনায় এক বাংলাদেশি ও আট রোহিঙ্গা মাটির নিচে চাপা পড়ে মারা গেছেন। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এখনও উদ্ধার কাজ চলছে।
৮ আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি মো. আমির জাফর জানান, বুধবার ভোরের দিকে ক্যাম্প-৯ ও ১০ এর পানবাজার এবং হাকিমপাড়ায় পৃথক পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটে। এতে মাটি চাপা পড়ে কয়েকটি বসতি। পানবাজার ক্যাম্পে এক বাংলাদেশিসহ পাঁচ ও হাকিমপাড়া ক্যাম্পে চার জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের লাশ উপজেলা প্রশাসনের কাছে রাখা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, পুলিশ ও বাসিন্দাদের সহায়তায় ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা উদ্ধার তৎপরতা চলমান রেখেছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।