বেনজীরের সেই রিসোর্টের নিয়ন্ত্রণ নিল প্রশাসন

রিপোর্টার
  • আপডেট সময় শনিবার, ৮ জুন, ২০২৪
  • ৯৩ দেখা হয়েছে

ডেস্ক রির্পোট:- পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে গোপালগঞ্জের সাভানা ইকো রিসোর্ট অ্যান্ড ন্যাচারাল পার্কে রিসিভার নিয়োগ করে নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসন।

জেলা প্রশাসন বলেছে, সাময়িক বন্ধ থাকলেও প্রশাসনের তদারকিতে পরে সাভানা পার্ক খুলে দেওয়া হবে।

শুক্রবার (৭ জুন) রাত সাড়ে ১১টায় পার্কের প্রধান ফটকের পাশে মাইকিং করে গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসন ও দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) যৌথভাবে এ ঘোষণা দেন।

গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসনের পক্ষে সদর সহকারী কমিশনার (ভূমি) বাবলী শবনম, দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) গোপালগঞ্জের উপপরিচালক মো. মশিউর রহামন, সহকারী পরিচালক সোহরাব হোসেন সোহেল, দুদক মাদারীপুরের সহকারী পরিচালক মো. সাইদুর রহমান ও গোপালগঞ্জ জ্যেষ্ঠ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সোহেল মো. জিল্লুর রহমান রিগানসহ জেলা প্রশাসন ও দুদক কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

এদিন সন্ধ্যায় গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসন এবং মাদারীপুর ও গোপালগঞ্জ দুদকের দুটি টিম ওই পার্কের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে এবং বেনজীর ও তার পরিবারের মালিকানাধীন সাভানা ইকো রিসোর্ট অ্যান্ড ন্যাচারাল পার্কের নিয়ন্ত্রণ বুঝে নেন।

গোপালগঞ্জের দুদকের উপপরিচালক মো. মশিউর রহমান জানান, শনিবার সকাল থেকে স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তির তালিকা প্রস্তুত ও সাইনবোর্ড টানিয়ে দেওয়া হবে। এরপর থেকে আয়-ব্যয়সহ জেলা প্রশাসকের নির্দেশনায় পার্কের সকল কার্যক্রম চালু থাকবে এবং তখন দর্শনার্থী প্রবেশে আর কোনো বাধা থাকবে না।

এ সময় রাতে এলাকাবাসী জড়ো হয়ে আনন্দ উল্লাসে ফেটে পড়ে। এলাকাবাসী ভুক্তভোগী বাদল বল (৫০) বলেন, ডিসি স্যার পার্কের দায়িত্ব নেওয়ায় আমরা অনেক খুশি। আমরা আশা করি সরকারি রাস্তা দিয়ে আমরা আমাদের জমিতে ও পুকুরে যেতে পারব।

উল্লেখ্য, ২০১৫ থেকে ২০২০ সালে র‍্যাবের মহাপরিচালক এবং ২০২০ সাল থেকে ২০২২ পর্যন্ত আইজিপি থাকাকালীন সময়ে বেনজীর আহমেদ গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার সাহাপুর ইউনিয়নের বৈরাগীটোল গ্রামে ৬২১ (দুর্নীতি দমন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী) বিঘা জমির ওপর গড়ে তোলেন সাভানা ইকো রিসোর্ট অ্যান্ড ন্যাচারাল পার্ক। এ পার্কে সব জমি হিন্দু সম্প্রদায়ের বলে জানা গেছে। তাদের ভয় দেখিয়ে, জোর করে এবং নানা কৌশলে জমি কেনা হলেও অনেক জমি করা হয়েছে জবরদখল। বিষয়টি গণমাধ্যমে প্রচার হলে দুর্নীতি দমন কমিশন তদন্ত শুরু করে। পরে আদালত সাভানা ইকো রিসোর্ট অ্যান্ড ন্যাচারাল পার্কসহ বিভিন্ন স্থাপনা ক্রোকের নির্দেশ দিলে বিভিন্ন সময়ে রাতের আঁধারে ট্রাকের করে মালামাল সরিয়ে নেওয়া হয়েছে বলেও জানান এলাকাবাসী।

পোস্টটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো
© All rights reserved © 2023 Chtnews24.com
Website Design By Kidarkar It solutions