ডেস্ক রির্পোট:- ২৬ মে সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ, তাঁর স্ত্রী ও তিন মেয়ের স্থাবর সম্পদ ক্রোকের আদেশ দেন আদালত। একই সঙ্গে এ পাঁচজনের নামে থাকা ব্যাংক হিসাব এবং বিভিন্ন কোম্পানিতে তাঁদের নামে থাকা শেয়ার অবরুদ্ধ করার আদেশও দেওয়া হয়। চলমান এই পরিস্থিতি তৈরির আগেই ৪ মে সপরিবারে সিঙ্গাপুরের উদ্দেশে দেশ ছাড়েন সদ্য অবসরে যাওয়া পুলিশের এই কর্মকর্তা।
বেনজীর আহমেদের ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র বলছে, ৪ মে সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনের একটি ফ্লাইটে তিন মেয়ে ও স্ত্রীসহ শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ছেড়ে যান তিনি। স্ত্রী জীশান মির্জার চিকিৎসাজনিত কারণে তাঁরা সেদেশেই অবস্থান করছেন।
এদিকে সম্পদের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বেনজীর আহমেদ, তাঁর স্ত্রী জীশান মির্জা ও তিন মেয়েকে তলব করেছে দুদক। গত মঙ্গলবার সংস্থাটির প্রধান কার্যালয় থেকে তাঁদের তলবি নোটিশ পাঠানো হয়েছে। দুদক উপপরিচালক হাফিজুল ইসলাম স্বাক্ষরিত চিঠিতে, আগামী ৬ জুন বেনজীর আহমেদকে এবং ৯ জুন তাঁর স্ত্রী জীশান মির্জাসহ সন্তানদের দুদকে হাজির হতে বলা হয়।
দুদকের এক কর্মকর্তা বলেন, অনুসন্ধানের শুরুতে বেনজীর পরিবারের বিপুল পরিমাণ সম্পদের তথ্য উঠে এসেছে। এসব সম্পদের বিষয়ে ওই পরিবারের সদস্যদের আয়কর নথি যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। কীভাবে তাঁরা এসব সম্পদ গড়েছেন, এর ব্যাখ্যা দরকার। সে কারণে তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন মনে করছে অনুসন্ধানী দল। আগামী ৬ জুন বেনজীর আহমেদকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য অনুসন্ধানী দলের সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে কমিশন অনুমোদন দিয়েছে।
দুদকের উচ্চপর্যায়ের একাধিক সূত্র বলছে, শুধু দেশে নয়, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও সংযুক্ত আরব আমিরাতে সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের সম্পদ রয়েছে—এমন খবরে বিষয়টি অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দেশ তিনটিতে বেনজীরের কী পরিমাণ সম্পদ রয়েছে, তা জানতে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) মাধ্যমে ওই সব দেশে তথ্য চেয়েছে সংস্থাটি।