ডেস্ক রির্পোট:- জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে যাওয়া বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্যদের নিয়ে জার্মান গণমাধ্যম ডয়চে ভেলের প্রতিবেদনকে একপেশে ও উদ্দেশ্যমূলক বলে মন্তব্য করেছেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ।
সেনাপ্রধান বলেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী শুধু নয়, আমাদের সামরিক বাহিনী পৃথিবীর অনেক মিশনে, ৪৩টা মিশনে দায়িত্ব পালন করেছে। এখনো ৬ হাজারের ওপরে শান্তিরক্ষী দায়িত্ব পালন করছেন। কোনো একটা মিশনের আপনি উদাহরণ দিয়ে বলতে পারবেন যে, ওখানে আমরা মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছি বা আমাদের শৃঙ্খলা খারাপ হয়েছে?
গতকাল সোমবার দুপুরে গাজীপুরের রাজেন্দ্রপুর সেনানিবাসে এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন সেনাপ্রধান।
তিনি বলেন, পৃথিবীতে অনেক অঞ্চলে; শুধু আফ্রিকা নয়, আফ্রিকার বাইরে আমরা এশিয়া-ইউরোপেও দায়িত্ব পালন করেছি। কখনো কি আমাদের বিরুদ্ধে এই মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ পেয়েছেন?
সেনাপ্রধান বলেন, আজকে কেউ (ডয়চে ভেলে) একটা প্রতিবেদন করে বলার চেষ্টা করছে, অমুকে অমুক অর্গানাইজেশনে চাকরি করার সময় একটা মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে। এটা একটা শোনা কথা। যদি বাস্তবে এটা হয়েও থাকে, তবে আমাদের কি এ ব্যাপারে জানানো হয়েছিল? বাস্তবে যা হচ্ছে আর তারা যেটা বলার চেষ্টা করছে, দুটি সম্পূর্ণ ভিন্ন।
সেনাপ্রধান এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ বলেন, আমাদের অনেক অফিসার এবং সোলজাররা ডেপুটেশনে (প্রেষণে) অনেক জায়গায় চাকরি করেন। কিন্তু সেখানে গিয়ে যদি তারা কোনো অপরাধে জড়িয়ে যান এবং সে ব্যাপারে যদি আমাদের কাছে রিপোর্ট (অভিযোগ) আসে, আমরা কিন্তু এটার সঠিক বিচার করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিই। আমরা যত অভিযোগ পেয়েছি, সব তদন্ত করেছি এবং দোষী পাওয়া গেলে তাদের শাস্তি দিয়েছি।
তিনি আরও বলেন, একটা উদ্দেশ্য নিয়ে এমন প্রতিবেদন করা হচ্ছে। ওখানে (তথ্যচিত্রে) তারা তাদের হতাশা ব্যক্ত করে যে এই কথা (মানবাধিকার লঙ্ঘন) বারবার তারা বলেছে, কিন্তু জাতিসংঘ সদর দপ্তর কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। জাতিসংঘ সদর দপ্তর ব্যবস্থা তো তখনই নেবে, যখন আমাদের বিরুদ্ধে দোষ পাবে। এ রকম একপেশে ও উদ্দেশ্যমূলক প্রতিবেদনের আমরা তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছি।
সোমবার বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সার্বিক ব্যবস্থাপনায় এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের শান্তিরক্ষা অপারেশনের প্রশিক্ষণ সম্পর্কিত সব প্রতিষ্ঠানের আন্তর্জাতিক সংস্থা অ্যাসোসিয়েশন অব এশিয়া-প্যাসিফিক পিস অপারেশন ট্রেনিং সেন্টারের (এএপিটিসি) ১২তম বার্ষিক সাধারণ সভা এবং ওয়ার্কশপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান রাজেন্দ্রপুর সেনানিবাসে অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সেনাপ্রধান। এ সময় জাতিসংঘের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বাংলাদেশে নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতসহ গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।