শিরোনাম
আদালতে সাবেক সিইসি নুরুল হুদার দায় স্বীকার মুক্তি পেলেন যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ৫৬ বন্দি রাঙ্গামাটিতে দুই অটোরিকশার সংঘর্ষে মাছ ব্যবসায়ী নিহত শব্দনিরোধক কক্ষে যমটুপি পরিয়ে ১০ কায়দায় চলত নির্যাতন—গুম কমিশনের প্রতিবেদন পার্বত্য উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা ও যুগ্ম সচিব কংকন চাকমার যেসব অভিযোগে অপসারণ চাইছে পার্বত্যবাসী জুলাই অভ্যুত্থান ছিল রাষ্ট্রকে জনগণের হাতে ফিরিয়ে দেয়া–প্রধান উপদেষ্টা আরও উত্তপ্ত হতে পারে যুক্তরাষ্ট্র-ইরান সম্পর্ক দুদকের জালে তানভীরসহ ৩৬ প্রেস মালিক চেতনার মানচিত্রে রক্তাক্ত গণ-অভ্যুত্থান অগ্নিঝরা জুলাই,এক বছরেও হয়নি শহীদ ও আহতদের চূড়ান্ত তালিকা,৬ জনের মরদেহ এখনো মর্গে পড়ে আছে

ভারি বৃষ্টিতে ডুবল চট্টগ্রাম

রিপোর্টার
  • আপডেট সময় সোমবার, ২৭ মে, ২০২৪
  • ২৫২ দেখা হয়েছে

ডেস্ক রির্পোট:- ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে টানা দুই দিনের ভারি বর্ষণ ও জোয়ারের পানিতে নগরীর নিম্নাঞ্চলসহ অনেক এলাকা ডুবে গেছে। এর মধ্যে চকবাজার, বহদ্দারহাট, আগ্রাবাদ, বেপারিপাড়া, নয়াবাজার, ফইল্যাতলী, বড়পুল, হাজিপাড়া, পান্নাপাড়া, মোগলটুলি, কমার্স কলেজ রোড, বসুন্ধরা আবাসিক, মুরাদপুর, জিইসি, ষোলশহর দুই নম্বর গেট, বাকলিয়া, প্রবর্তক মোড়, বাঁদুরতলাসহ বিভিন্ন এলাকায় কোথাও হাঁটু পানি আবার কোথাও কোমর পানিতে থৈ থৈ করছে।

সোমবার সরেজমিনে দেখা গেছে, বাসা বাড়ির নিচতলায় বসবাসকারীদের আসবাবপত্র পানিতে ভাসছে। জ্বলছে চুলা। দোকানঘর থেকে হাত দিয়ে পানি সেচছেন দোকানিরা। সড়কে রিকশা ছাড়া চার চাকার যানবাহন নেই। অফিসগামী ও শ্রমজীবী মানুষরা দুর্ভোগে পড়েছেন। সুযোগ বুঝে রিকশাচালকরা ডবল ভাড়া হাঁকাচ্ছেন।

চকবাজার এলাকার আব্দুর রহিম বলেন,সড়কের বাসিন্দা সৈয়দ মাহমুদ জামিল বলেন, আমার বাসার ভেতরে-বাইরে কোমর পানি। বাথরুমেও পানি উঠে গেছে। বাচ্চারা বাথরুমেও যেতে পারেনি। সোফা, খাট সব পানিতে ডুবে গেছে। বাচ্চাকে স্কুলে নিয়ে যেতে কোনোভাবে বের হয়েছি। পানি আরও ওঠার সম্ভাবনা আছে।

আগ্রাবাদে প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানে চাকরিজীবী মো. শফিক বলেন, চট্টগ্রামকে জলাবদ্ধতা, জলজট মুক্ত করার কোনো উদ্যোগ আজ পর্যন্ত দৃশ্যমান হয়নি। সামান্য বৃষ্টিতে এখানে হাঁটু পানি-কোমর পানি হয়। সামনে বর্ষা, তখন নগরবাসীকে যাতায়াতের জন্য নৌকার ওপর ভরসা রাখতে হবে।

মোগলটুলি এলাকায় রেহানা নামে এক গৃহবধূ বলেন, পানির চাপে ঘরের জানালা ভেঙে গেছে। এক কোমর পানিতে ঘরের কোথাও বসার জায়গা নেই। আমরা সবাই দাঁড়িয়ে আছি। ঘর থেকে বের হওয়ারও সুযোগ নেই। বাচ্চাদের ওপরের বাসায় পাঠিয়ে দিয়েছি। এ দুর্যোগ থেকে কখন মুক্তি পাব জানি না।

নয়াবাজার মোড়ে সিএনজিচালক নাসির বলেন, সকালে গাড়ি নিয়ে বের হয়েছিলাম। ভাড়া তেমন মারতে পারি নাই। ইঞ্জিনে পানি ঢুকে গাড়ি বিকল হয়ে গেছে। গ্যারেজেও হাঁটু পানি। তাই এখানে বসে আছি।

রিমালের প্রভাবে সোমবার (২৭ মে) ভোর থেকে চট্টগ্রাম নগরীসহ আশপাশের এলাকায় ব্যাপক বৃষ্টিপাত শুরু হয়। এদিন সকাল ৬টা থেকে ৯টা পর্যন্ত ১৩২ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড হয়েছে। এই বৃষ্টিকে ভারি বর্ষণ বলছে আবহাওয়া অফিস।

এর আগে, রোববার (২৬ মে) সকাল ৯টা থেকে থেকে সোমবার সকাল ৯টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিস ২০৫ দশমিক ৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করে।

পোস্টটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো
© All rights reserved © 2023 Chtnews24.com
Website Design By Kidarkar It solutions