পার্বত্য চট্টগ্রাম ও মায়ানমারের অংশ নিয়ে খ্রিষ্টান রাষ্ট্র বানাতে। দেশবাসী পরিষ্কারভাবে জানতে চায়, শেখ হাসিনাকে গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা

রিপোর্টার
  • আপডেট সময় সোমবার, ২৭ মে, ২০২৪
  • ৮৪ দেখা হয়েছে

ডেস্ক রির্পোট:- প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাম্প্রতিক বক্তব্যের প্রসঙ্গ টেনে গণতন্ত্র মঞ্চের শীর্ষ নেতারা বলেছেন, ‘কোন সাদা চামড়ার লোক প্রস্তাব দিয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রাম ও মায়ানমারের অংশ নিয়ে খ্রিষ্টান রাষ্ট্র বানাতে। দেশবাসী পরিষ্কারভাবে জানতে চায়, খ্রিষ্টান রাষ্ট্র কারা করতে চায়? কারা বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের ওপর হুমকি। বাংলাদেশকে শেখ হাসিনা আসলে প্রতিবেশী দেশের পেটের মধ্যে নিয়ে যাচ্ছেন। দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের প্রধান বাধাই এই সরকার।’

রবিবার (২৬ মে) জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘জনগণের মুক্তির সংগ্রাম এবং গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ও সংবিধান প্রতিষ্ঠার লড়াই’ শীর্ষক আলোচনা সভায় নেতারা এসব কথা বলেন। আব্দুস সালামের সপ্তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এই আয়োজন করে গণসংহতি আন্দোলন। এতে সভাপতিত্ব করেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি।

বক্তব্য রাখেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট হাসনাত কাইয়ুম, জেএসডির সাধারণ সম্পাদক শহিদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন ও গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরীসহ অন্যরা।

মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘কোন এক সাদা চামড়ার লোক প্রস্তাব দিয়েছে, এই সাদা চামড়ার লোকের বাড়ি কোথায়? ওরা কি আমেরিকান, কানাডিয়ান, নাকি ইউরোপিয়ান, নাকি জাপানিজ? সবগুলোই তো সাদা চামড়া। দেশবাসী এর উত্তর চায়।’

তিনি আরও বলেন, সরকার সব দিকে আটকে যাচ্ছে। এখন যত তাড়াতাড়ি এদের বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়া যায় ততই ভালো। সরকার তাড়াতাড়ি বিদায় হবে। এই সরকার থাকলে সব দিক থেকে বিপদ আছে। ৭ জানুয়ারি তাদের বিশ্রাম বা নিশ্বাস নেওয়ার মতো সময় দেয়নি। বরং আরও বেশি করে সংকটের মধ্যে পড়েছে। এখান থেকে তাদের উত্তরণের একমাত্র উপায় হচ্ছে, যদি তারা পদত্যাগ করে, একটা অন্তর্বর্তী সরকার দিয়ে নির্বাচন দেয়।

সাইফুল হক বলেন, একটা দেশের সাবেক সেনাপ্রধান ও সাবেক পুলিশপ্রধানের বিরুদ্ধে যখন নিষেধাজ্ঞা আসে, তখন এর দায়দায়িত্ব অবশ্যই বর্তমান সরকারের। সুতরাং এই দায়দায়িত্ব তাদের গ্রহণ করতে হবে। আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রের পরিবর্তে এখন একটা ফ্যাসিবাদী শাসন ও স্বৈরতন্ত্র দেশকে উপহার দিচ্ছে।

জোনায়েদ সাকি বলেন, ২০১৮ সালের রাতের ভোটের কারচুপির সভাপতিত্ব করেছেন জেনারেল আজিজ। জেনারেল আজিজ ও বেনজীর আহমেদের মতো আরও আমলাদের নাম হয়তো সামনে আসবে।

পোস্টটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো
© All rights reserved © 2023 Chtnews24.net
Website Design By Kidarkar It solutions