ডেস্ক রির্পোট:- ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেছেন, দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা ভয়াবহ। বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিক প্রবেশ নিষিদ্ধ। দ্রব্যমূল্যের উর্দ্ধগতিতে জনগণের নাভিম্বাস। এ মুহূর্তে মন্ত্রী পরিষদের বৈঠকে সরকারের আজ্ঞাবহ নির্বাচন নির্বাচন কমিমনরে সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধি করে ৭ জানুয়ারি ডামি নির্বাচনের উপহার দিয়েছেন জাতীয় র্বিাচনের ৪ মাস ১৪ দিনের মাথায়। তিনি এধরনের সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, দলান্ধ নির্বাচন কমিশন নির্বাচনী ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়েছেন। দেশের বর্তমান রাজনৈতিক সঙ্কট সৃষ্টিকারী এ কমিশনের পদত্যাগ করে নিরপেক্ষ নির্বাচন এখন সময়ের দাবি। সবচেয়ে বিস্ময়ের ব্যাপার হল, নির্বাচন কমিশন গঠিত ৫ বছরের জন্য আর সুযোগ সুবিধা ভোগ করবেন আজীবনের জন্য। এটা দলান্ধ কমিশনই পেতে পারে। অথচ দ্রব্যমূল্যের উর্র্দ্ধগতিতে দেশের সরকারি চাকুরীজীবীরা প্রতি ৫ বছর পর পে স্কেল পাওয়ার দাবি করলেও সে দাবি অদ্যাবধি পুরণ হয়নি। তাই ৯ম পে-স্কেল এখন সময়ের দাবি।
মঙ্গলবার বিকেলে পুরানা পল্টনস্থ ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সভায় আগামী ৩১ মে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের উদ্যোগে ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র গঠনের দাবিতে দলের আমীর পীর সাহেব চরমোনাইর নেতৃত্বে ঢাকায় স্মরণকালের বিশাল গণমিছিল সফলে ব্যাপক প্রস্তুতি নেয়া হয়।
সভায় উপস্থিত ছিলেন, দলের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম, সহকারি মহাসচিব মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ, মাওলানা মুহাম্মদ ইমতিয়াজ আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক কেএম আতিকুর রহমান, প্রচার সম্পাদক মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম, দফতর সম্পাদক মাওলানা লোকমান হোসাইন জাফরী, মাওলানা নেছার উদ্দিন, মাওলানা এবিএম জাকারিয়া, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম, অ্যাডভোকেট শওকত আলী হাওলাদার, আল্লামা মকবুল হোসাইন, মাওলানা খলিলুর রহমান, মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাকী, জিএম রুহুল আমিন, অ্যাডবোকেট এম হাছিবুল ইসলাম, বরকত উল্লাহ লতিফ, অধ্যাপক নাসির উদ্দিন খান, মাওলানা আরিফুল ইসলাম, আব্দুল আঊয়াল মজুমদার। সভাশেষে দলের ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক সৈয়দ বেলায়েত হোসেনের মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া ও মুনাজাত করা হয়।