শিরোনাম
শিক্ষার্থীদের পরিকল্পিতভাবে বিতর্কিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে ঢাকা-দিল্লি পররাষ্ট্রসচিব বৈঠক ডিসেম্বরে, শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ নিয়ে আলোচনা হবে কি এবার মারা গেলেন পরীমণির প্রথম সিনেমার পরিচালক জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন আয়োজনের পরামর্শ সরাসরি ভোটে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সুপারিশ, বদিউল বললেন, ‘বিবেচনায় রয়েছে’ বান্দরবানে নৌকা বাইচ দিয়ে ক্রীড়া মেলা শুরু রাঙ্গামাটিতে সাফজয়ী পাহাড়ের তিন কন্যাকে উষ্ণ সংবর্ধনা পলাতক পুলিশ সদস্যদের বেতন বন্ধ, মামলার প্রস্তুতি শেখ মুজিব দেশে ফ্যাসিবাদের জনক : মির্জা ফখরুল অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে ডাক্তার দেখাতে গিয়ে বিএনপি নেতাকর্মীর হাতে পিটুনি

মেয়াদোত্তীর্ণ সিন্ডিকেট সদস্য দিয়ে চলছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়

রিপোর্টার
  • আপডেট সময় শনিবার, ১৮ মে, ২০২৪
  • ১০৩ দেখা হয়েছে

ডেস্ক রির্পোট:- একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ও নির্বাহী ক্ষমতার অধিকারী সংস্থা সিন্ডিকেট। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় চলছে মেয়াদোত্তীর্ণ সদস্যদের নিয়ে। সিন্ডিকেটে থাকা এক-তৃতীয়াংশ সদস্যের মেয়াদ শেষ হয়েছে অনেক আগেই।

জানা যায়, চার বছর আগে মেয়াদোত্তীর্ণ একাধিক সদস্যও বর্তমান সিন্ডিকেট সদস্যপদ অলংকৃত করে আছেন। এ ছাড়া দুই বছর আগে মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে একাধিক সদস্যের। পাঁচজনের মেয়াদ শেষ হয়েছে গত বছর। বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী সিন্ডিকেট সদস্যদের মেয়াদ যোগদানের তারিখ থেকে দুই বছর। এরপরও তাদের মতামতেই গৃহীত হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ সব সিদ্ধান্ত। হয় না নিয়মিত সিন্ডিকেট সভাও।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সংগঠন নীল দলের একাংশের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মনিরুজ্জামান বলেন, আমরা জানতে পেরেছি, অনেক সিন্ডিকেট সদস্যের মেয়াদ শেষ হয়েছে অনেক আগেই। অনেকে দীর্ঘদিন ধরে আছেন। এর পরিবর্তন প্রয়োজন।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুযায়ী- বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট ১৫ সদস্যের। পদাধিকারবলে সিন্ডিকেট সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন উপাচার্য। পদাধিকারবলে সিন্ডিকেট সদস্য মনোনীত হন কোষাধ্যক্ষও। সরকার মনোনয়ন দেয় কমপক্ষে যুগ্ম সচিব পদমর্যাদার দুইজন কর্মকর্তা। এর মধ্যে একজন প্রতিনিধি মনোনয়ন দেয় ইউজিসি। বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য মনোনয়ন দেন দুইজন শিক্ষাবিদ। এ ছাড়া সিন্ডিকেট মনোনীত তিনজন ডিন এবং একাডেমিক কাউন্সিল মনোনীত বিশ্ববিদ্যালয়ের তিনজন অধ্যাপক সিন্ডিকেট সদস্য হন।

গত বছরের ৩০ নভেম্বর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন উপাচার্যের দায়িত্ব গ্রহণ করেন অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম। পদাধিকারবলে তিনি সিন্ডিকেট সদস্য হয়েছেন। ডিসেম্বরে কোষাধ্যক্ষ পদ পাওয়ার পর সিন্ডিকেট সদস্য হন অধ্যাপক ড. হুমায়ুন কবির চৌধুরী। এছাড়াও ডিন ক্যাটাগরিতে সিন্ডিকেট সদস্য হয়েছেন কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক হোসনে আরা। তিনি এর আগে একাডেমিক কাউন্সিল মনোনীত সদস্য ছিলেন। গত বছরের ১৩ সেপ্টেম্বর সেই মেয়াদ শেষ হয়েছে।

তবে সেখানে নতুন কাউকে নিয়োগ না দেওয়ায় হোসনে আরা একাই দুই কোটায় সিন্ডিকেট সদস্যপদে বহাল আছেন কি না, সেই প্রশ্ন উঠেছে। এ বিষয়ে অধ্যাপক হোসনে আরা বলেন, আমি এখন শুধু কলা অনুষদের ডিন হিসেবে সিন্ডিকেট সদস্য আছি। দুই জায়গায় নেই এবং সর্বশেষ সিন্ডিকেটে আমি একটি স্বাক্ষর করেছি।

গত সেপ্টেম্বরে মেয়াদ শেষ হয়েছে একাডেমিক কাউন্সিল মনোনীত অন্য দুই সদস্য অধ্যাপক নূরে আলম আবদুল্লাহ ও অধ্যাপক কাজী সাইফুদ্দীনের। এ বিষয়ে নূরে আবদুল্লাহ বলেন, আমি এ সিন্ডিকেট নিয়ে কিছু বলতে চাচ্ছি না। আমার মেয়াদ শেষ। আমার স্থলে কাউকে নতুন সদস্য দেওয়া হয়েছে কি না জানি না। তবে দায়িত্ব না দেওয়া পর্যন্ত নিয়ম অনুযায়ী আমি থাকতে পারব।

জানা যায়, সরকার মনোনীত দুই সদস্যের মধ্যে অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন অর রশীদের মেয়াদ শেষ হয়েছে ২০২১ সালের ৮ ডিসেম্বর। একইভাবে চ্যান্সেলর মনোনীত দুই পদের একটি দীর্ঘদিন ধরে শূন্য।

২০১৮ সালে ইউজিসির তৎকালীন চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্য হন। দীর্ঘদিন এই দায়িত্ব পালন করছেন না তিনি। আরেক সদস্য অধ্যাপক ড. হাবীবুর রহমানের মেয়াদ শেষ হয়েছে ২০২০ সালের ১৫ জানুয়ারি। বুয়েটের এই শিক্ষক পরবর্তী সময়ে ডুয়েটের উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। জবির সিন্ডিকেটে চ্যান্সেলর মনোনীত এই দুই শিক্ষাবিদের মেয়াদ শেষ হয়েছে চার বছর আগে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী- সিন্ডিকেটের যে সদস্য যে পদ বা প্রতিষ্ঠান থেকে মনোনীত হয়েছিলেন, তিনি যদি ওই পদ বা প্রতিষ্ঠানে না থাকেন, তাহলে তিনি সিন্ডিকেটের সদস্যপদে অধিষ্ঠিত থাকবেন না। এই নিয়মে বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞানের অধ্যাপক ড. কাজী সাইফুদ্দীন পিরোজপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পাওয়ায় তার সিন্ডিকেট সদস্যপদ শূন্য হয়। একই অবস্থা বুয়েটের অধ্যাপক ও বর্তমানে ডুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক ড. হাবীবুর রহমানেরও। তবে এসব বিষয়ে কোনো সুরাহা হয়নি।

এ বিষয়ে আইন অনুষদের ডিন ড. এস এম মাসুম বিল্লাহ বলেন, ইতোমধ্যে যেসব সিন্ডিকেট সদস্যের মেয়াদ শেষ হয়েছে তাদের স্থলে নতুন সদস্যদের প্রক্রিয়া চলমান আছে। আশা করি আইনের কোনো ব্যত্যয় ঘটবে না। নিয়মিত সিন্ডিকেট সভা না হওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, ন্যূনতম প্রতি তিন মাস পর হলেও একটি সিন্ডিকেট সভা করা প্রয়োজন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও সিন্ডিকেট সভাপতি অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম বলেন, সিন্ডিকেট নিয়ে সাংবাদিকদের কেন বলতে হবে? এটা নিয়ে তাদের সঙ্গে কথা বলতে চাই না।

পোস্টটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো
© All rights reserved © 2023 Chtnews24.com
Website Design By Kidarkar It solutions