ডেস্ক রির্পোট:- দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে উপজেলা পরিষদের তৃতীয় ধাপের ভোটে চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান (পুরুষ ও মহিলা) পদে অংশ নেওয়ায় নেতাদের কারণ দর্শানো (শোকজ) শুরু করেছে বিএনপি। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সময় শেষ হওয়ার পর নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় দপ্তর থেকে মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত অন্তত ৪৫ জন নেতাকে শোকজ করেছে দলটি। এ সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে জানা গেছে। শোকজের চিঠিতে তাদের ৪৮ ঘণ্টার সময় দিয়ে জবাব দিতে বলা হয়েছে। জবাব সন্তোষজনক না হলে কিংবা কেউ জবাব না দিলে তাদের দলের প্রাথমিক সদস্যসহ সব পদ থেকে বহিষ্কার করা হবে বলে জানিয়েছে দলটি।
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের পর ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের নির্বাচনও বর্জন করেছে বিএনপি। কিন্তু দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে ভোট করায় প্রথম ধাপে ৮০ জন এবং দ্বিতীয় ধাপে ৬৯ জন নেতাকে বহিষ্কার করে দলটি। তবে প্রথম ধাপের নির্বাচনে বহিষ্কৃতদের মধ্যে ৭ জন চেয়ারম্যান এবং ৩ জন ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।
তৃতীয় ধাপে ১১২টি উপজেলা পরিষদে ভোটগ্রহণ হবে ২৯ মে। রোববার ছিল এই ধাপের নির্বাচনের প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন। জানা যায়, দলের কঠোর অবস্থানের মুখেও তৃতীয় ধাপে বিএনপির ১৮ জনেও বেশি নেতা চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছেন। বাকিরা হয়েছেন ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী।
মঙ্গলবার উপজেলা পরিষদের দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে ভোটে যাওয়ায় আরও ৫ নেতাকে প্রাথমিক সদস্য পদসহ সব পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি। দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়। বহিষ্কৃতরা হলেন-মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সোহেল রানা মল্লিক (ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী), মানিকগঞ্জ জেলা মহিলা দলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মুন্নি আক্তার (মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী), খুলনার খানজাহান আলী থানা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন (ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী), নওগাঁর সাপাহার থানা মহিলা দলের প্রচার সম্পাদক সুমি আক্তার (মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী) ও বগুড়া জেলা মহিলা দলের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক সখিনা বেগম (মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী)। দ্বিতীয় ধাপের ভোটে অংশ নেওয়ায় এর আগে ৬৪ জনকে বহিষ্কার করে বিএনপি। এ ধাপে ভোট হবে ২১ মে।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত তৃতীয় ধাপের শোকজ চিঠিতে বলা হয়েছে, জাতীয় স্থায়ী কমিটির সভায় উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বর্জন করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। বিএনপির নেতা হিসাবে আপনি দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেননি। নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার আপনার এহেন মনোবৃত্তি সম্পূর্ণরূপে দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থি এবং দলের প্রতি চরম বিশ্বাসঘাতকতা। সুতরাং দলের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে জালিয়াতির নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য আপনার বিরুদ্ধে কেন দলের গঠনতন্ত্র মোতাবেক সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, তা ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে যথাযথ কারণ দর্শিয়ে একটি লিখিত জবাব দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বরাবরে নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জমা দেওয়ার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।’