শিরোনাম
বাণিজ্য সম্ভাবনায় ‘সেভেন সিস্টার্স’ দুবাইয়ে বিপু-কাজলের ২০০ কোটির দুই ভিলা পাচারের ১৭ লাখ কোটি ফেরাবে কে,প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের দিকে তাকিয়ে সবাই শিক্ষার্থীদের পরিকল্পিতভাবে বিতর্কিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে ঢাকা-দিল্লি পররাষ্ট্রসচিব বৈঠক ডিসেম্বরে, শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ নিয়ে আলোচনা হবে কি এবার মারা গেলেন পরীমণির প্রথম সিনেমার পরিচালক জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন আয়োজনের পরামর্শ সরাসরি ভোটে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সুপারিশ, বদিউল বললেন, ‘বিবেচনায় রয়েছে’ বান্দরবানে নৌকা বাইচ দিয়ে ক্রীড়া মেলা শুরু রাঙ্গামাটিতে সাফজয়ী পাহাড়ের তিন কন্যাকে উষ্ণ সংবর্ধনা

ক্যাডার বৈষম্যে ২০০ উপ-সচিবের জট

রিপোর্টার
  • আপডেট সময় রবিবার, ১২ মে, ২০২৪
  • ১০১ দেখা হয়েছে

ডেস্ক রির্পোট:- বিভিন্ন ক্যাডার থেকে সরকারের পুলে উপ-সচিব পদে নিয়োগ পাওয়া কর্মকর্তাদেরকে পরবর্তী ধাপে পদোন্নতি জটিলতায় জটলা তৈরি হয়েছে উপ-সচিব পদে। প্রশাসনের বাইরে অন্য ক্যাডার থেকে আসা অন্তত দুইশ’ কর্মকর্তা এই জটে পড়েছেন। তারা বলছেন, বিদ্যমান ব্যবস্থায় তারা বৈষম্যের শিকার। দেরিতে পদোন্নতি হওয়ায় পরবর্তীদের তাদের জুনিয়র কর্মকর্তার অধীনে কাজ করতে হয়। এতে কর্মস্পৃহা কমে যায়। কর্ম ও সামাজিক ক্ষেত্রে নিজেদের হেয় মনে হয়।
বিদ্যমান ব্যবস্থায় সরকার প্রশাসন ক্যাডারের (সাবেক ইকোনমিক ক্যাডার সহ) মেধা ও কোটায় নিয়োগপ্রাপ্ত প্রায় সকল কর্মকর্তা এবং অন্যান্য ২৫ ক্যাডারের বাছাইকৃত কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে উপ-সচিব পুল গঠন করে। পরবর্তীতে উপ-সচিবদের মধ্য থেকে সরকার যুগ্মসচিব ও উচ্চ পর্যায়ে পদোন্নতি প্রদান করে থাকে। এই পুল গঠনের শুরুতে প্রশাসন ক্যাডার থেকে ৭৫ শতাংশ এবং প্রশাসন ছাড়া অন্য ২৫টি ক্যাডার থেকে ২৫ শতাংশ উপ-সচিব হিসেবে নিয়োগ করা হয়। উল্লেখ্য, ক্যাডার রুলস অনুযায়ী সরকারের উপ-সচিব, যুগ্মসচিব, অতিরিক্ত সচিব ও সচিব পদগুলো বিশেষ কোনো ক্যাডারের কম্পোজিশনভুক্ত পদ নয়। উপ-সচিব পদে পদোন্নতি পাওয়ার পর কর্মকর্তার আগের ক্যাডার পরিচয় বিলুপ্ত হয়।

এবং সমঅধিকার সহকারে তিনি পরবর্তী উচ্চপদে পদোন্নতির জন্য বিবেচিত হবেন। এ বিষয়টি সর্বোচ্চ আদালতের মামলার রায়ে উদ্ধৃত রয়েছে।

প্রশাসনের বাইরে অন্য ক্যাডার থেকে আসা কর্মকর্তারা জানান, প্রশাসন থেকে আসা কর্মকর্তার নিজ নিজ ব্যাচের সঙ্গে পদোন্নতি পেলেও অন্য ক্যাডার থেকে আসা কর্মকর্তাদের ক্ষেত্রে নিয়মটি ভিন্ন ও পক্ষপাতমূলক মনে হয়। অন্যান্য ২৫ ক্যাডার থেকে আসা যে অল্পসংখ্যক কর্মকর্তাকে যুগ্মসচিব পদোন্নতি দেয়া হয় তা কয়েক ব্যাচ জুনিয়র উপ-সচিবের সঙ্গে। তাদের সংখ্যাটিও অনেক কম। এমনটি ইচ্ছাকৃতভাবে করা হয় বলে অভিযোগ রয়েছে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, চাকরিজীবীদের জন্য জ্যেষ্ঠতা কেবল পদোন্নতির অন্যতম প্রধান শর্তই নয়, এটি প্রশাসনিক শৃঙ্খলার মেরুদণ্ডও। সরকারি কর্মকর্তারা পিএসসি কর্তৃক সুপারিশকৃত যে ব্যাচে যোগদান করেন সেটিই তাদের নিয়মিত ব্যাচ। এবং পিএসসি কর্তৃক সুপারিশকৃত সম্মিলিত মেধা তালিকাই জ্যেষ্ঠতার একমাত্র ভিত্তি। জ্যেষ্ঠতা নির্ধারণে এ নিয়মের ব্যত্যয় ঘটানো আইন ভঙ্গের সমান। সৃষ্ট বৈষম্যের ফলে জ্যেষ্ঠতা হারানো ও পদোন্নতি বঞ্চিত ২৫ ক্যাডারের দীর্ঘ জটের তৈরি হয়েছে।

এ জট আরও দীর্ঘ হয় যখন প্রতিবছর অন্য ২৫ ক্যাডার থেকে উপ-সচিব পদে পদোন্নতির জন্য আবেদন আহ্বান করা হয়। এ আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে সরকারের পুলে এসে পিএসসি’র জ্যেষ্ঠতা পর্যায়ক্রমে হারানো এবং বৈষম্যের শিকার হওয়া অন্যান্য ক্যাডার থেকে আসা কর্মকর্তারা বঞ্চনার মধ্যে পড়েন।

বৈষম্যের সর্বশেষ উদাহরণ হচ্ছে ২০২০ সালে প্রশাসন ক্যাডারের সঙ্গে সাবেক ইকোনমিক ক্যাডার একসঙ্গে ফিডার পদে কাজ না করে, মাঠ প্রশাসনে কোনো প্রকার অভিজ্ঞতা না থাকা সত্ত্বেও প্রয়োজনীয় প্রশাসনিক প্রশিক্ষণ প্রদান না করেই সরকারের পুলে নিজ নিজ ব্যাচের সঙ্গে সকলকে রাতারাতি ভূতাপেক্ষ পদোন্নতি প্রদান করা। এক্ষেত্রে তাদের অনেকেই ফিডার পদে একদিনও কাজ না করে পরপর ৩ দিনে পর্যায়ক্রমে ৩টি পদোন্নতি পেয়েছেন। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এ একীভূতকরণের আগে সরকারের পুলে আসা অন্যান্য ক্যাডার কর্মকর্তারা যাদের জ্যেষ্ঠতা হরণ করে পদোন্নতি বঞ্চিত করা হয়েছে। তাদের নিজ ব্যাচের সঙ্গে জ্যেষ্ঠতার সমতা নিশ্চিত করে পদোন্নতি দেয়া উচিত ছিল। কারণ এ কর্মকর্তারা বহু আগে থেকে ফিডার পদে কাজ করা, মাঠ প্রশাসনের বাস্তব অভিজ্ঞতা ও প্রশাসনিক প্রশিক্ষণ সম্পন্ন এবং সন্তোষজনক চাকরিকালসহ উচ্চপদস্থ ছিলেন।

বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের রায়ে বলা হয়েছে, ‘যখনই কোনো কর্মকর্তা ২০০২ সনের বিধিমালা অনুসারে উপ-সচিব পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত হইলেন, তাহা যে কোনো ক্যাডার হইতেই হউক না কেন, তিনি তখন একজন পরিপূর্ণ উপ-সচিব। তাহার পূর্বের ক্যাডার পরিচয় তখন বিলুপ্ত হইবে। তিনি সচিবালয়ের উচ্চতর উপ-সচিব পদে তখন তিনি অধিষ্ঠান। সেই অধিষ্ঠা লইয়াই অন্য সকল উপ-সচিবের সহিত একশ্রেণিভুক্ত হইয়া সম-অধিকার লইয়া তিনি পরবর্তী উচ্চতর যুগ্মসচিব পদে বা পরবর্তীতে অতিরিক্ত সচিব পদে পদোন্নতি প্রাপ্ত হইবার জন্য বিবেচিত হইবেন।’

এ বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের নিয়োগ, পদোন্নতি ও প্রেষণ অনুবিভাগ এর (ঊনি-১ শাখা) উপসচিব মো. আলমগীর কবির বলেন, যখন আবেদন করা হয় তখন সিনিয়র ব্যাচে যারা থাকেন তারা স্বেচ্ছায় আবেদন করেন সরকারের উপ-সচিব হওয়ার জন্য। এখানে তাদের সিনিয়রিটি থেকে যখন উপ-সচিব হবেন তখন থেকে এটা হিসাব করা হবে। তারা যখন পরবর্তীতে ২৯ ব্যাচের সঙ্গে ২০তম ব্যাচের কেউ উপ-সচিব হন সেক্ষেত্রে তারা তো নিজেই আবেদন করেছেন। উপ-সচিব হিসেবে তখন তাদের তিন বছর পার করতে হবে। এর আগে তারা যুগ্মসচিব হিসেবে পদোন্নতি পাবেন না। এর মধ্যে প্রশাসন ক্যাডারে জুনিয়র ব্যাচের যারা থাকবেন দেখা গেছে তারা আগেই উপ-সচিব এর মেয়াদ পাঁচ বছর উত্তীর্ণ করে ফেলেছেন। এটা তো বৈষম্য না। প্রক্রিয়াটি আসলে এভাবে হয়ে আসছে। যদি এমন হতো ২৯তম ব্যাচের প্রশাসন ক্যাডারের সঙ্গে ২৯তম ব্যাচের অন্য ব্যাচ থেকে আসতেন সেক্ষেত্রে এই ভেদাভেদটা হতো না। এটা বিধানের মধ্যেই বলা আছে। মানবজমিন

পোস্টটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো
© All rights reserved © 2023 Chtnews24.com
Website Design By Kidarkar It solutions