ডেস্ক রির্পোট:- ময়মনসিংহে নিজের অনুসারীর গোপন ভিডিও ভাইরাল করার ঘটনায় জেলা যুব মহিলা লীগের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক স্বপ্না খন্দকারসহ ৬ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে। এনিয়ে সংগঠনটির ভেতরে-বাইরে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। গত ২রা মে ময়মনসিংহের সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতে এই মামলাটি করেন ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং জেলা যুব মহিলা লীগের এক সদস্য। সোমবার ময়মনসিংহ প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে ওই ভুক্তভোগী সাংবাদিকদের এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন- আওয়ামী লীগ কর্মী কাজী বাবু, হীরা, মশিউর রহমান রানা ও মোহাম্মদ রাকিবুল এবং জাওয়াদ নির্ঝর নামের ব্যক্তিরা। মামলা দায়ের সত্যতা নিশ্চিত করে জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য অ্যাডভোকেট শাহজাহান কবীর সাজু জানান, আদালতের বিচারক কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে বাদীর অভিযোগটি এফআইআর করার আদেশ দিয়েছেন।
কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাঈন উদ্দিন বলেন, আদালতে হওয়া মামলার একটি কপি হাতে পেয়েছি। এতে বাদীর অভিযোগটি এফআইআর করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এনিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এদিকে গোপন ভিডিও ভাইরাল করার ঘটনায় বিচার দাবি করে সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী বলেন, আমি ষড়যন্ত্র ও প্রতারণার শিকার। আমার নেত্রী স্বপ্না খন্দকার তার সহযোগীদের নিয়ে জোরপূর্বক আমাকে বাধ্য করে এই ভিডিও করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়েছে।
এতে আমি পারিবারিক ও সামাজিকভাবে বিপর্যস্ত। আমি এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তপূর্বক বিচার দাবি করছি।
ভুক্তভোগী আরও বলেন, আমার মতো অনেক নারী স্বপ্না খন্দকারের ষড়যন্ত্র ও প্রতারণার শিকার। কিন্তু ভয়ে কেউ স্বপ্নার বিরুদ্ধে মুখ খুলতে চায় না। রাজনীতির আঁড়ালে এই ধরনের অপরাধের মাধ্যমে বিভিন্ন লোকদের জিম্মি করে টাকা হাতিয়ে নেয়াই স্বপ্না খন্দকারের পেশা ও নেশা। আমি তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি। এ সময় সংবাদ সম্মেলনে জেলা ও উপজেলা যুব মহিলা লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। তারাও এই মানহানিকর ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি করেছেন। তবে ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও জেলা যুব মহিলা লীগের ১ নম্বর সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক স্বপ্না খন্দকারের বক্তব্য জানা যায়নি।