রাঙ্গামাটি:- রাঙ্গামাটি শহরে তাকে চেনেনা এমন সচেতন মানুষ খুব কমই আছেন। নানা সামাজিক সংগঠন আর মানুষের বিপদে আপদে পাশে থাকার প্রচেষ্টাই তার নিজস্ব একটি ভাবমূর্তি দাঁড় করিয়ে দিয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়া টিকটক কিংবা ফেসবুকে বরাবরই ভীষণ সক্রিয় এই নারী সুফিয়া কামাল ঝিমি এবার রাঙ্গামাটি সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে প্রার্থী হয়েছেন। জিততে চান প্রানান্ত প্রচেষ্টাতেই। পারিবারিকভাবেই মা কবিতা ত্রিপুরার রাজনৈতিক উত্তারাধিকার বহন করার পাশাপাশি স্বামী জাহাঙ্গীর কামালও তার অনুপ্রেরণার আরেক নাম।
নির্বাচনে আনারস প্রতীকে প্রার্থী হওয়া ঝিমি ইশতেহারে নিজের স্বপ্নের কথাই বলেছেন।
তিনি বলেছেন, ‘ মানুষের জন্য কাজ করার অদম্য ইচ্ছা থেকেই আমি উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছি।’
ঝিমি বলছেন, ‘ব্যক্তিগতভাবে আমি বরাবরই একজন আশাবাদী মানুষ। আমি বিশ^াস করি মানুষ মানুষের জন্য। নির্বাচিত হলে সরকার জনগণের জন্য যেসব সেবা প্রদান করে থাকে তা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিব আমি।’
সুফিয়া কামাল ঝিমি বলেন, রাঙামাটি সদর উপজেলাকে নান্দনিক পর্যটন এলাকা হিসেবে গড়ে তুলব। পরিবেশবান্ধব দৃষ্টিনন্দন পর্যটন অঞ্চল তৈরিতে ভূমিকা রাখব।’
নারী শিক্ষা ও নারীর ক্ষমতায়নে কাজ করার অঙ্গীকার করে ঝিমি বলেন, ‘ উপজেলাবাসির স্বাস্থ্যসেবার মানোন্নয়নে আমি আমার সর্বোচ্চ ভূমিকা রাখব। বিশেষ গরীব দুঃখী মানুষের পাশেই থাকব সবসময়।’
আনারস মার্কায় ভোট দিয়ে তাকে জয়যুক্ত করার আহ্বান জানিয়ে ঝিমি বলেন, ভোটাররা যদি আমাকে নির্বাচিত করেন তবে আমিই হবে এই উপজেলার প্রথম নারী চেয়ারম্যান। আমি চেষ্টা করব আমার জনগণের পাশে থেকে সর্বোচ্চ কাজ করার।
অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা পংকজ কুমার বড়ুয়া ও জাতীয় পার্টির সাবেক নেত্রী কবিতা ত্রিপুরা জৈষ্ঠ্য সন্তান সুফিয়া কামাল ঝিমি জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে দুইবার জয়িতা পুরষ্কারপ্রাপ্ত। এছাড়াও তিনি খেলাঘর,আলোরফুল,হিলসার্ভিস,স্বপ্নযাত্রী ফাউন্ডেশন,ইয়ুথ,রাটারি ক্লাব, এশিয়া ছিন্নমূল মানবাধিকার সংগঠন,ওয়ার্ল্ড পিচ হিউম্যান রাইটস,নারী মঞ্চ,রাঙ্গামাটি উইম্যান চেম্বার অব কমার্স,বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ,বধিকল্যান সমিতি,কচিকাচার আসর,নতুনকুড়ি,সন্ধানী,ব্লাডব্যাংকসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক,সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের সাথে জড়িত ছিলেন বা আছেন।
ব্যক্তিগতজীবনে ভীষণ চটপটে ও পরোপকারি এই নারী স্বপ্ন দেখেন বিজয়ী হয়ে মানুষের সেবা করার। পাহাড় টোয়েন্টিফোর