খাগড়াছড়ি:- খাগড়াছড়ি সড়ক ও জনপথ বিভাগের প্রধান নির্বাহী প্রকৌশলী মাকসুদুর রহমান সরকারি সফরে রয়েছেন দেশের বাহিরে। এদিকে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান আবেদ মনছুর কনষ্ট্রাকশানের পক্ষে দায়িত্ব পালনকারী এমদাদ পাটোয়ারী নিরুদ্দেশ। মোবাইল রিসিভ করছেন না তিনি। তাহলে পানছড়ি-খাগড়াছড়ি সড়কটি ভবিষ্যৎ কি তা জানতে ভুক্তভোগীদের প্রচুর আগ্রহ। এতদিন ছিল সড়কে বড় বড় গর্ত আর ধুলোবালি। গত দু’দিনের বৃষ্টিতে গর্তগুলো পরিণত হয়েছে ছোট ছোট পুকুরে সাথে হাঁটু সমান কাঁদা। বিদ্যালয়গামী কোমলমতি শিক্ষার্থীসহ পথচারীদের কাপড়চোপড় নষ্ট হচ্ছে নিত্য। তিন থেকে চার কিলোমিটার রাস্তা ঈদের আগে খোঁচা মেরে আবার কাজ রয়েছে বন্ধ।
নির্বাহী প্রকৌশলী বলেছিলেন, ঈদের আগেই অন্তত: ভাইবোনছড়া থেকে পানছড়ি পর্যন্ত রাস্তার কাজ শেষ হবে। কিন্তু তৃতীয় দফা কাজের সময়সীমা বাড়ালেও রাস্তাটি দেখেনি আশার আলো। গর্ভবতী মা-বোন আর জরুরি মুমূর্ষু রোগী বহন করা মানেই নিশ্চিত মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেওয়া। বর্তমানে রাস্তায় শোভা পাচ্ছে ময়লা মিশ্রিত হাঁটুজল আর কাঁদা।
অ্যাম্বুলেন্স চালক আবদুল কাদের জানান, সড়কে রোগী পরিবহণ করাতো দূরের কথা খালি গাড়ি নিয়ে চলাচল করাও কষ্টকর।
গাড়ি চালক আবুল হোসেন, জামাল হোসেন, নাঈম, রুবেলসহ অনেকেই জানান, প্রতিনিয়তই ঘটছে বড় বড় দুর্ঘটনা। তাছাড়া গাড়ির যন্ত্রাংশের পাশাপাশি মানুষের শরীরের যন্ত্রাংশগুলো রাস্তার কারণে চুরমার হয়ে গেছে।
বর্তমানে খাগড়াছড়ি সড়ক ও জনপথ বিভাগের দায়িত্বে থাকা উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী তৌহিদুল বারী জানান, সময় বৃদ্ধির পরে কাজটি দ্রুত সম্পন্ন করতে সড়ক বিভাগের পক্ষ থেকে ঠিকাদারকে বেশ কয়েকবার চিঠি দেয়া হয়েছে। অতিদ্রুত যদি পুনরায় কাজ শুরু না করে তাহলে ঠিকাদারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। কী ব্যবস্থা নেয়া হবে পানছড়ি-খাগড়াছড়ি সড়কের ভুক্তভোগীরা জানতে অপেক্ষায় রয়েছে।