শিরোনাম
রাঙ্গামাটিতে ইউপিডিএফ সদস্যসহ ২ জনকে হত্যার প্রতিবাদে ২০ মে জেলায় অর্ধদিবস সড়ক ও নৌপথ অবরোধের ডাক রাঙ্গামাটির লংগদুতে সন্তু গ্রুপ কর্তৃক ইউপিডিএফ সদস্যসহ ২ জনকে গুলি করে হত্যার নিন্দা ও প্রতিবাদ রাঙ্গামাটিতে ব্রাশ ফায়ারে ইউপিডিএফের সদস্যসহ দুইজন নিহত এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পদ ৯৬,০০০ আবেদন ২৪,০০০ রিজার্ভ নিয়ে তিন হিসাব, চাপ বাড়ছে বিরোধী রাজনীতিতে নতুন মেরূকরণ! এক মঞ্চে আসছে বিএনপি-জামায়াত পাহাড়ে অস্ত্রধারীদের গোপন আস্তানা,দেড় বছরে ৮০ খুন গ্রেফতার ১১০ * অপরাধীদের শনাক্ত করতে চলছে অনুসন্ধান মেয়াদোত্তীর্ণ সিন্ডিকেট সদস্য দিয়ে চলছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সারা দেশে ১৭৩ কিশোর গ্যাং ইসরায়েলে ৭৫টি রকেট হামলা করেছে হিজবুল্লাহ

নোয়াখালীতে ভুল চিকিৎসায় নবজাতকসহ প্রসূতির মৃত্যু, হাসপাতালে ভাঙচুর

রিপোর্টার
  • আপডেট সময় রবিবার, ৫ মে, ২০২৪
  • ২৫ দেখা হয়েছে

ডেস্ক রির্পোট:- নোয়াখালীর মাইজদীতে ভুল অস্ত্রোপচারে নবজাতকসহ প্রসূতি মায়ের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় রোগীর স্বজনরা হাসপাতালে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর করেছে।

শনিবার (৪ মে) রাত সাড়ে ৮টার দিকে মাইজদী আধুনিক হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।

নিহত সীমা আক্তার (২১) বেগমগঞ্জ উপজেলার কাদিরপুর ইউনিয়নের লন্ডন মার্কেট এলাকার জহির উদ্দিনের স্ত্রী এবং নোয়াখালী পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের ইউসুফ সওদাগর বাড়ির মো. হারুনের মেয়ে।

নিহতের চাচাতো ভাই মো. নাঈমুর রহমান বলেন, শুক্রবার দুপুরে সীমাকে মাইজদী আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে দুপুর ২টার দিকে চিকিৎসক আশিকা কবির অস্ত্রোপচার করে সন্তান প্রসব করান। কিন্তু অপারেশনের সময় তার জরায়ুর রক্তনালী কেটে ফেলায় অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হয়।

পরে বিষয়টি গোপন রেখে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ রোগীকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (ঢামেক) প্রেরণ করে। সেখানে নেওয়ার পর ডাক্তার সীমাকে মৃত ঘোষণা করে। অন্যদিকে তার নবজাতক সন্তানকে চট্টগ্রাম নিয়ে গেলে সেও সেখানে মারা যায়। এ ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে নিহতের স্বজন ও এলাকাবাসী মাইজদী আধুনিক হাসপাতালে ভাঙচুর চালায়।

মাইজদী আধুনিক হাসপাতালের চেয়ারম্যান রফিকুল বারী আলমগীর ভাঙচুরের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এ নিয়ে আমরা রোগীর স্বজনদের সঙ্গে বসেছি। কোনো ডাক্তারই ইচ্ছাকৃতভাবে কাউকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয় না।

সুধারাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহেদুল হক রনি বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। তবে গভীররাত পর্যন্ত এ বিষয়ে কেউ থানায় অভিযোগ দায়ের করেনি।

জেলা সিভিল সার্জন ডা. মাসুম ইফতেখার বলেন, অভিযোগ পেয়ে তাৎক্ষণিক সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. নুসরাত নাঈমা জাবিনকে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে। পরবর্তীতে তদন্ত করে এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এদিকে খবর নিয়ে জানা গেছে, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বৈঠক করে রোগীর স্বজন, সাংবাদিক ও স্থানীয় প্রভাবশালীদেরকে টাকার বিনিময়ে ম্যানেজ করেছেন। তাই এ নিয়ে থানায় কোনো অভিযোগ করা হয়নি।

পোস্টটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো
© All rights reserved © 2023 Chtnews24.net
Website Design By Kidarkar It solutions