শিরোনাম
ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজে হামলা-সংঘর্ষ: ৩ শিক্ষার্থী নিহতের দাবি কর্তৃপক্ষের শিক্ষার্থীদের শান্ত থাকার আহ্বান সরকারের সংঘর্ষে রণক্ষেত্র যাত্রাবাড়ী, ৬ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন বান্দরবানের রুমায় নিহত কেএনএফ’র তিন সদস্যের মরদেহ উদ্ধার রাঙ্গামাটির কাপ্তাইয়ে বাংলাদেশ-সুইডেন পলিটেকনিকে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ থেকে আওয়ামীপন্থীদের অপসারণ করে জেলা পরিষদ পুনর্গঠনের দাবি রাঙ্গামাটির লংগদুতে জেলা পরিষদের সদস্য মিনহাজ মুরশীদ ও হাবীবকে সংবর্ধনা রাঙ্গামাটিতে বিনামূল্যে চক্ষু চিকিৎসা সেবা: ৬৭৬ রোগীর চিকিৎসা রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদ পুনর্গঠনে তীব্র ক্ষোভ জনমনে: বিতর্কিত নিয়োগ বাতিলের দাবি আওয়ামী লীগ পাহাড়ে বিভাজনের রাজনীতির জন্য দায়ী : ওয়াদুদ ভূইয়া

বান্দরবানে কালবৈশাখী ঝড়ে লন্ডভন্ড সহস্রাধিক বসতবাড়ি

রিপোর্টার
  • আপডেট সময় শুক্রবার, ৩ মে, ২০২৪
  • ১৭৬ দেখা হয়েছে

বান্দরবান:- বান্দরবানের লামায় আঘাত হানে কালবৈশাখী ঝড়। বৃহস্পতিবার (২ মে) রাত সাড়ে ৩টায় ঘণ্টাব্যাপী আঘাত হানা ঝড়ে কমপক্ষে সহস্রাধিক বাড়িঘর লন্ডভন্ড হয়েছে। রাস্তার পাশে গাছ ভেঙে বৈদ্যুতিক তারের ওপর পড়ে ৩০টির ওপর বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে ও অসংখ্য স্থানে তার ছিঁড়ে পড়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। উপজেলার বিভিন্নস্থানে রাস্তায় গাছ ভেঙে পড়ে যোগাযোগ বন্ধ হয়েছে।

স্থানীয় লোকজন, বিদ্যুৎ অফিস ও সড়ক- জনপদ বিভাগ কয়েক ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে যোগাযোগব্যবস্থা স্বাভাবিক করলেও বিদ্যুৎ সচল হতে আরও দু-একদিন লাগতে পারে বলে জানিয়েছে পিডিবি লামার আবাসিক প্রকৌশলী মো. সাজ্জাদ হোসেন।

জানা যায়, কালবৈশাখী ঝড়ে উপজেলার ১টি পৌরসভা ও ৭টি ইউনিয়নে সব এলাকায় কমবেশি বিধ্বস্ত হয়েছে। সবকয়টি ইউনিয়নে ছোটবড় বহুঘর আংশিক ভেঙে গেছে। এ ছাড়া রূপসীপাড়া ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড বৈদ্যভিটা এলাকায় বজ্রপাতে এক কৃষকের ৫টি ছাগল ও পূর্ব শিলেরতুয়া এলাকায় রমজান আলী মেম্বারের খামারে ঘর চাপা পড়ে ছাগল মারা গেছে।

রূপসীপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান ছাচিং প্রু মার্মা বলেন, গতরাতের কালবৈশাখী ঝড়ে আমার ইউনিয়নের দুই শতাধিক ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং বৈদ্যভিটা ও পূর্ব শিলেরতুয়া এলাকার ৬টি ছাগল মারা গেছে। গাছ পড়ে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে। সকাল থেকে স্থানীয় লোকজন নিয়ে গাছ কেটে যোগাযোগ স্বাভাবিক করেছি। কমবেশি সব মানুষের ক্ষতি হয়েছে। যাদের বসতবাড়ি সম্পূর্ণ ভেঙে গেছে তাদের ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ হতে সহায়তা করা হবে।

লামা পৌরসভার হরিণঝিরি এলাকার হাবীব বলেন, আমাদের ৯নং ওয়ার্ডের কালবৈশাখী ঝড়ে অনেকের বসতবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। এতে কয়েকটি পরিবার খোলা আকাশের নিচে দিনাতিপাত করছেন। এ ব্যাপারে প্রশাসনের সুদৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

লামা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, আমরা ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর তালিকা প্রস্তুত করছি। তালিকা লামা ইউএনওর সুপারিশ নিয়ে বান্দরবান জেলা প্রশাসকের কাছে পাঠানো হবে। বরাদ্দ পেলে ক্ষতি বিবেচনা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। বেশি ক্ষতিগ্রস্তদের শুকনো খাবার দেওয়া হয়েছে।

লামা ইউএনও মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, কালবৈশাখী বাতাসের প্রবল ঘূর্ণিপাকের কারণে সব কয়টি ইউনিয়নে বেশ কয়েকটি বসতবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। কয়েকটি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। ইউপি চেয়ারম্যান ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা দিলে সরকারি অনুদানের ব্যবস্থা করা হবে।

পোস্টটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো
© All rights reserved © 2023 Chtnews24.com
Website Design By Kidarkar It solutions