ডেস্ক রির্পোট:- চলছে উপজেলা নির্বাচনের মৌসুম। আসন্ন এই নির্বাচনে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই ও ভাগনে।
দলীয় নির্দেশের তোয়াক্কা না করে তারা তাদের নির্বাচনি প্রচার চালিয়ে ব্যাস্ত সময় পার করছেন। চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হচ্ছেন ছোট ভাই শাহদাত হোসেন। আর ভাইস চেয়ারম্যান পদে ভাগনে (আপনার বোনের ছেলে) মাহবুবের রশিদ মঞ্জু মনোনয়ন পেয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (২ মে) বিকেলে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে প্রকাশ করা চেয়ারম্যান পদের প্রার্থীদের তালিকায় ১ নম্বর ক্রমিকে শাহদাত হোসেনের নাম রয়েছে। আর ভাইস চেয়ারম্যান পদের প্রার্থীদের তালিকায় মাহবুবুর রশীদের নাম রয়েছে ৩ নম্বরে। মন্ত্রীর ছোট ভাই ছাড়াও এই উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে আরো তিন প্রার্থীর নাম রয়েছে।
ওই তিন প্রার্থী হলেন, উপজেলা যুবলীগের সাবেক আহ্বায়ক ও ব্যবসায়ী মোহাম্মদ গোলাম শরীফ চৌধুরী; সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান বাদল এবং যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী ওমর আলী।
অপর দিকে ভাইস চেয়ারম্যান পদে মাহবুবুর রশীদ ছাড়াও প্রার্থী হয়েছেন আরও দুজন। তারা হলেন, মামুন হোসেন ও মো. জসিম উদ্দিন। তারা দুজনই ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের দলীয় রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। দলীয় নির্দেশনা অমান্য করে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের ভাই ও ভাগনে নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় পর্যায়ে দলের নেতা-কর্মী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে নানা আলোচনা-সমালোচনা চলছে।
দলীয় নির্দেশনা অমান্য করে নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার বিষয়ে জানতে শাহদাত হোসেনের মোবাইলে ফোন করা হলেও তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
ওবায়দুল কাদেরের আরেক ছোট ভাই বসুরহাট পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল কাদের মির্জা বলেন, ‘হেতে লেখাপড়া জানে? হেতে মাদ্রাসায় কী পড়েছে, হেতেরলাই ভোট করবে কে? মন্ত্রী মহোদয় বলে দিয়েছে প্রত্যাহার করার জন্য।’
এ বিষয়ে ওবায়দুল কাদেরের ভাগনে মাহবুবুর রশীদ গণমাধ্যমে বলেন, দল থেকে বলা হয়েছে, এমপি ও মন্ত্রীদের নিকটাত্মীয়, বিশেষ করে ভাই, বোন কিংবা ভগ্নিপতি কেউ প্রার্থী হতে পারবেন না।
কিন্তু ভাগনের কথা সুনির্দিষ্ট করে বলা হয়নি। তার দাবি, ভাগনে নিকটাত্মীয়ের মধ্যে পড়েন না। তাই তিনি প্রার্থী হয়েছেন।