ডেস্ক রির্পোট:- চাইল্ড এন্ড ওল্ড এইজ কেয়ার নামের সামাজিক সংগঠনের চেয়ারম্যান মিল্টন সমাদ্দারের বিরুদ্ধে অপারেশন থিয়েটারে রোগীর অপারেশন করে অঙ্গপ্রত্যঙ্গ বিক্রিসহ নানা অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় দেশ ব্যাপী সমালোচনার জন্মদেয়। এরই প্রেক্ষিতে মিল্টন সমাদ্দারকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
ডিবি বলছে, মিল্টন সমাদ্দারের অপারেশন থিয়েটারের লাইসেন্স ছিল না। সেখানে অবৈধভাবে অপারেশন করা হতো। এছাড়া তার বিরুদ্ধে আরও পাহাড়সম অভিযোগ পেয়েছি।
বুধবার রাতে রাজধানীর মিন্টো রোডের ডিবি অফিসে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান ডিএমিপর অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।
তিনি বলেন, বরিশালের উজিরপুরের মিল্টন সমাদ্দারের উত্থান নিজ পিতাকে পিটিয়ে। এই অপরাধে এলাকাবাসী তাকে বাড়িছাড়া করেন। এরপর ঢাকার শাহবাগে এসে একটি ফার্সেমিতে কাজ শুরু করেন তিনি। ঔষুধ বিক্রির টাকা চুরি করায় সেখানেও বেশিদিন টিকতে পারেননি মিল্টন। এরপর মিঠু হালদার নামের এক নার্সকে বিয়ে করেন তিনি। বিয়ের পর ওল্ড এন্ড চাইল্ড নামের একটি কেয়ার সেন্টার স্থাপনের স্বপ্ন দেখেন তারা।
পরবর্তীতে মিরপুর এলাকায় চাইল্ড এন্ড ওল্ড এইজ কেয়ার নামের একটি কেয়ার সেন্টার স্থাপন করেন। তিনি খুঁজে গরীব বৃদ্ধ এবং বাচ্চা শিশুদের সেখানে নিয়ে আসতেন। বিভিন্ন মিডিয়ায় সে জানিয়েছে, তার কেয়ার সেন্টারে অপারেশন থিয়েটার আছে এবং সেখানে সে মানুষের সেবা প্রদান করেন। অপারেশন থিয়েটার থাকতে তো লাইসেন্স থাকতে হবে। তার লাইসেন্স ছিল না। এর আগে এদিন সন্ধ্যা ৭ টার দিকে মিরপুরের নিজ প্রতিষ্ঠান থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে ডিবির একটি দল। গ্রেপ্তারের পর তাকে আনা হয় ডিবি অফিসে।
হারুন অর রশীদ বলেন, মিল্টনের বিরুদ্ধে আমরা অজস্র অভিযোগ পেয়েছি। সে বলেছে তার দুইটা আশ্রম রয়েছে। সাভারের আশ্রমে ৫ থেকে ৭ শত লোক রয়েছে। কিন্তু খোঁজ নিয়ে জানা গেছে সেখানে ২০ থেকে ৩০ জনের বেশি লোক নেই। আমরা তাকে নিয়ে এসেছি। কিছু অভিযোগকারী রয়েছে তারাও মামলার রুজু করবে। আমরা মিল্টনকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করবো কত সংখ্যক মানুষ তার কাছে চিকিৎসার জন্য গিয়েছিল। কত সংখ্যক মানুষ মারা গেল। তার আশ্রমে যে অপারেশন থিয়েটার রয়েছে এর মাধ্যমে কিডনি বিক্রি করেছেন কিনা সেটাও তদন্ত করা হবে।
তিনি বলেন, মিল্টন সমাদ্দার নিজেই কেন ডেথ সার্টিফিকেট নিজের সাক্ষরে তৈরি করেছেন এবং সেখানে ডাক্তারের কোন সিগনেচার কেনো নেন নাই সেগুলো খুঁজে বের করা হবে। আমরা সবকিছু তদন্ত করে পরবর্তীতে আপনাদেরকে জানাবো। আমরা তার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ পেয়েছি সেগুলো তদন্ত করে তাকে রিমান্ডে নিয়ে পরবর্তী বিষয়গুলো জানাবো।