খাগড়াছড়ি:- মারমা সম্প্রদায়ের বড় উৎসব সাংগ্রাই ও বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি উপজেলার যোগ্যাছোলা পশ্চিম পাড়ায় মৈত্রী বর্ষণ (জলকেলি), ঐতিহ্যবাহী বলি খেলা, আলোচনা সভা ও মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
বিগত সময়ের ন্যায় এবারও নানা অনুষ্ঠানের জমজমাট আসরে বলিখেলা দেখার জন্য সহস্রাধিক মানুষের ভিড় ছিল দেখার মত। এতে চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি, মানিকছড়ি ও গুইমারা উপজেলার ১১ জন বলি খেলায় অংশগ্রহণ করেন।
খেলায় গুইমারা উপজেলার মং মারমা চ্যাম্পিয়ন ও যোগ্যাছোলার সাথোয়াইপ্রু মারমা রানার্সআপ হন।
শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সকালে যোগ্যাছোলা পশ্চিমপাড়া মাঠে অনুষ্ঠিত হয় মৈত্রী জলবর্ষণ (জলকেলি) ও নানা ঐতিহ্যবাহী ক্রীড়া প্রতিযোগিতা। বিকেল ৩টায় উৎসবমুখর পরিবেশে শতশত দর্শকের উপস্থিতি অনুষ্ঠিত হয় ঐতিহ্যবাহী বলি খেলা।
পরে ইউপি সদস্য অংশেপ্রু মারমা ও আয়োজক কমিটির সদস্য উলাচাই মারমার যৌথ সঞ্চালনায় এবং পাড়া প্রধান ক্যজাই কার্বাবির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভা ও বলিখেলায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন মানিকছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. জয়নাল আবেদীন। উদ্বোধক ছিলেন মারমা উন্নয়ন সংসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ম্রাগ্য মারমা।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন মানিকছড়ি উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) শাহীনা নাছরিন, জেলা পরিষদ সদস্য ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মাঈন উদ্দিন, মানিকছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ইকবাল উদ্দিন, ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল মতিন ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান এম.কে আজাদ। আলোচনা শেষে বলি খেলায় চ্যাম্পিয়ন ও রানার্সআপ প্রতিযোগীর মাঝে পুরস্কার তুলে দেন অতিথিরা।
এ সময় অন্যান্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা যুবলীগ সভাপতি মো. সামায়উন ফরাজী সামু, উপজেলা মারমা উন্নয়ন সংসদের সভাপতি নিপ্রু মারমা, উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি মো. জামাল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক চলাপ্রু মারমা নিলয়, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি তৈয়ব আলী ও সাংগঠনিক সম্পাদক মো. জামাল উদ্দিন পাটোয়ারীসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
সন্ধ্যায় টেলিভিশন ও বেতার শিল্পীদের পরিবেশনায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে সমাপ্ত হয় আনুষ্ঠানিকতা।
এসআই মেহেদী হাসান আরও জানান, গ্রেপ্তার আসামি হোসেনের ব্যাগ থেকে তার নামে ছাপানো নাম সর্বস্ব অসংখ্য অনলাইন নিউজ পোর্টালের ভিজিটিং কার্ড পাওয়া যায়। সে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিকট নিজেকে একেক সময় একেক অনলাইন নিউজ পোর্টালের সাংবাদিক পরিচয় দেয়। জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা স্বীকার করে তারা বিভিন্ন সময় ডিবি পুলিশ পরিচয়ে এয়ারপোর্ট থেকে আসা যাত্রীদের নিকট হতে স্বর্ণালংকারসহ বিভিন্ন মালামাল হাতিয়ে নিত। তাদেরকে যাতে যাত্রীরা ডিবি পুলিশ মনে করে সেজন্য তাদের কাছে ওয়াকি টকি থাকতো। জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা আরও জানাই তারা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন বেকারি ও ফ্যাক্টরিতে ম্যাজিস্ট্রেট সেজে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করতো।